পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যম [ শ্ৰীক্ষাগবত, দেবীভাগবত, ব্রহ্মপুরাণ, নারদীয়পুরাণ (উত্তরভাগ ৫-৬ অঃ ) অগ্নিপুরাণ এবং স্কন্দপুরাণে যম, যম, লোক ও যমদূতাদির বর্ণনা আছে। ] পরিভাষিক যমদণ্ডকাৰ্ত্তিকের ৮ দিন হইতে অগ্রক্ষায়ণ মাসের ৮ দিন পর্য্যন্ত যমদ ও নামে কথিত। এই কয়দিনে লঘু আহার করা উচিত, এই দিনে লঘুছার দীর্ঘজীবি হইয়া থাকে।

  • কাৰ্ত্তিকস্ত দিনান্তটাবষ্টাগ্রহায়ণন্ত চ | যমস্ত দশন এতে লম্বাহারা স জীবতি।” (বৈদ্যক ) ২ শরীরসাধনাপেক্ষ নিত্য কৰ্ম্ম । ( অমর ) ভরত ইহার এইরূপ ব্যাখ্য। করিয়াছেন, উপায়ান্তর নিরপেক্ষ শরীরমাত্রসাধ্য অথচ নিত্য যাবজ্জীবন পৰ্য্যস্ত সত্যাস্তেয়াদি অবশুকন্তব্য যে কাৰ্য্য, তাহাকে যম কহে ।
  • অহিংস সত্যবচনং ব্রহ্মচৰ্য্যমক স্বতা । অস্তেয়মিতি পঞ্চৈতে যমাশ্চৈব ব্রতানি চ ॥” (মনু ) অহিংসা, সত্যবাক্য, ব্রহ্মচৰ্য্য, অকল্কতা ও অন্তেয় এই কয়টির নাম যম ।

“অহিংসাসত্যমস্তেয়ং ব্রহ্মচৰ্য্যাপরিগ্রহে । যমা: পঞ্চাথ নিয়মা: শৌচদ্বিবিধমারিতম্ ॥” ( গরুড়পু• ১ e৯ অe ) অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচৰ্য্য ও অপরিগ্রহ এই পঞ্চবিধ যম। অন্ত স্থলে আবার যম দশ প্রকার বলিয়া উল্লি থিত হইয়াছে । যথা— “ব্রহ্মচৰ্য্যং দয়া ক্ষান্তিধ্যানং সত্যমকষ্কতা । অহিংসাস্তেয়মাধুৰ্য্যং দমশ্চৈতে যমা: স্থতা: ॥” ( গরুড়পু• ১•৯ অ• ও যাজ্ঞবল্কাল ৩০১৩) ব্ৰহ্মচৰ্য্য, দয়া, ক্ষণস্তি, ধ্যান, সত্য, অকল্কতা, অহিংসা, অস্তেয়,-মাধুর্ঘ্য ও দম, এই দশবিধ যম । “আনৃশংস্তং ক্ষম৷ সত্যমহিংসা দম আৰ্জবম্। প্রতিঃ প্রসাদে মাধুর্য্যং মাৰ্দবঞ্চ যম দশ ॥” ( পার" গৃহ- ২৭ ) আনৃশংস্ত, ক্ষম, সত্য, অহিংসা, দম, ঋজুতা, প্রতি, প্রসাদ, মাধুর্য্য ও মৃস্থত এই দশবিধ যম । যম পাতঞ্জলোক্ত অষ্টাঙ্গযোগের অন্তর্গত যোগবিশেষ । যচ্ছতি নিযচ্ছতি ইন্দ্রিয়গ্ৰামমনেনেতি যম-ঘএঃ, । ৩ সংযম । *fবযামো বিষমে ধামো যমঃ সংঘামসংযমেী । ( অমর ) ৪ কাক । ও শলি । ( মেদিনী ) ৬ বিষ্ণু । *অতীজঃ গংগ্রক সর্গো ধুভাত্মা নিয়মে যমঃ।” ( ভারত ১৩১৪৯৩e ) [ ৫৭১ ] যমক (ত্রি) যচ্ছতি একত্র গর্তাশয়ে মিয়তো ভবতীতি যম-জচ । ৭ যমজ। ( মেদিনী ) o যমক ( ক্লী ) যমং যুগ্মভাবং কাল্পতি গ্রাপ্লোতীতি কৈ-ক। শঙ্কালঙ্কারবিশেষ । ইহার লক্ষণ--- “সত্যর্থে পৃথগর্থায়াঃ স্বরব্যঞ্জনসংহeেঃ । ক্রমেশ তেনৈবাবৃত্তিৰ্যমকং বিনিগদ্যতে ॥” ( সাহিত্যদ• ১• পরি" ) ভিন্নার্থক স্বরব্যঞ্জনসমূহের ক্রমিক আবৃত্তি হইলে এই অলঙ্কার হয়, অর্থাৎ একই শব্দ ভিন্নার্থে ৰারংবার প্রযুক্ত হহ’লেই এই অলঙ্কার হইবে । উদাহরণ— “নবপলাশপলাশবনং পুরঃ ফুটপরাগপরাগতপঙ্কজম্। মৃদুলতান্তগতা গুমলোকয়ং স সুরভিং স্বরভিং সমনোভরৈ: ” (সাহিতদ’ ১০ পরি" } পলাশ, পলাশ, পরাগ, পরাগ, লতাস্ত, লতাত্ত, মুরভি, সুরভি এই শব্দ ভিন্নার্থে ব্যবহার হওয়ায় এই অলঙ্কার হইয়াছে । “যমকাদে ভবেদৈ ক্যং ডলোর্ববোলরোস্তথা ।” ( সাহিত্যদ• ১০ পরি" ) যমকাদি স্থলে ‘ড, ল, ব, ব, র, ল’ এই সকল বর্ণের ঐক্য হইয়া থাকে । “ভূজলতাং জড়তামবলাজনঃ” এই স্থলে "জলতা ও জড়তা' এই দুইটী শব্দের প্রয়োগ হওয়ায় যমক অলঙ্কারের - হানি হইল না। এই অলঙ্কার যুগ্মপাদযমক, অযুগ্মপাদযমক, আদিযমক ও অস্তযমক, পাদ মধ্যযমক, পাদান্তযমক, পাদাদিযমক, পাদাদিমধ্যষমক, পাদাস্কস্তধমক, মধ্যাস্তযমক, কাঞ্চীযমক, গর্ভধমক, চক্রবালধমক, পুষ্পযমক, মহাযমক, মিথুনঘমক, অন্তযমক, বিপথযমক, সমুদগযমক ও সৰ্ব্বধমক ভেদে বস্থ প্রকার । ইহার লক্ষণ ও উদাহরণাদি কাব্যাদশের দশম পরিচ্ছেদে এবং ভটিকাব্যের দশম সর্গে লিখিত আছে । ২ বৃহবিশেষ । “ততো বিরাটন্ত স্বতঃ সব্যমাবৃত্য বাজিন: । ধমকং মণ্ডলং কৃত্ব डार्न যোধান প্রত্যবরেরং ॥” (मशङॉब्रड elee॥९२ ) ‘ঘমকং শক্রণাং নিরোধকঃ মওলং’ ( নীলকণ্ঠ ) ৩ সদৃশ। “মওলানি ৰিচিয়ালি ধমকানীতরাণি চ - ( ভারত ৩,১৯৮) o 幽