অভিfধৎসা 88ઝ ] অভিনন্দ । অভিধানচিস্তামণি । এই শব্দ কোষ জৈনাচাৰ্য্য হেমচন্দ্রের সঙ্কলিত। হেমচন্দ্র নিজে শ্বেতাম্বর জৈন ছিলেন, তজ্জন্ত র্তাহার পুস্তকে প্রচলিত সংস্কৃত শব্দ ভিন্ন জৈনধৰ্ম্মের অনেক পারিভাষিক শব্দও গৃহীত হইয়াছে । তভিধানী (স্ত্রী) অভিধীয়তে অভিমুখ্যেন প্ৰিয়তে স্থাপাত ইতি যাবৎ বস্তুবন্ধনেন অনয়, অভি-ধা-করণে লুটি । রঞ্জ। দড়ী। দড়ীদ্বারা বাধিয়া সকল বস্তুকেই সম্মুখে রাখা যায় বলিয়া ইহাকে অভিধানী কহে । অভিধামলা (স্ত্রী) অভিধ-শক্তি বিশেষে মূলং যন্তাঃ। অলঙ্কার মতে, ব্যঞ্জন বৃত্তি বিশেষ । এ স্থলে ‘অভিধাশ্রয়।’ এ রূপ শব্দও ব্যবহৃত হইয় থাকে । অভিধা লক্ষণ মূল শকস্ত বাঞ্ছনা দ্বিধা। অনেকীর্থস্ত শব্যস্ত সংযোগাদ্যৈ নিয়ন্থিতে । একত্রার্থেইষ্ঠধীহেতু ব্যঞ্জনাসাভিধাশ্ৰয়া:(সাহিত্য দ০) ব্যঞ্জনাবৃত্তি-অভিধামূল এবং লক্ষণামূল এই দুই প্রকার। তন্মধ্যে অনেকার্থ শব্দের একটা অর্থ, সংযোগদি দ্বারা নিয়মিত রূপে প্রতিপাদিত হইলে, তাহাতে অন্ত আর একটা অর্থ যে কারণে বুঝা যায় তাহাকে অভিধামূলী ব্যঞ্জনা বলে। প্রথমে সংযোগাদি দ্বার নিয়মিত অর্থ বোধ করাইয়া অভিধাশক্তি নিবৃত্ত হইলে, পরে বিশেষ পর্য্যালোচনা দ্বারা অন্ত অর্থের বোধ হয় বলিয়। অর্থাৎ পূৰ্ব্ব অর্থের বোধ না হইলে পরের অর্থের বোধ হয় না, এ জন্ত উহাকে অভিধামূলা ব্যঞ্জন কহে। যেমন রাম লক্ষণ বলিলে সাহচর্যা হেতু প্রথমে দশরথ পুত্রকেই বুঝায়, পরে পর্য্যালোচনা দ্বারা রাম শব্দে অন্য রামকেও বুঝায়, কিন্তু পূৰ্ব্ব বোধ না হইলে এ পর বোধট হয় না বলিয়াই এস্থলে অভিধামূল ব্যঞ্জনা বলিতে হইবে । অভিধায়ক (ত্রি) অভিধত্বে অৰ্থং ধারয়তি অভিধা-ধুল। বাচকশব্দ । যেমন ঘটের বাচক ঘট এই শব্দ। শব্যের উচ্চারক। অভিধায়িন (ত্রি) অভিদধীতি-অভি-ধা-ণিনি যুক্। শক প্রয়োগ কর্তা । ( স্ত্রী ) উীপ অভিধায়িনী । অভিধাবক (ত্রি ) আভিমুখ্যেন ধাবতি ংল। সন্মুখ হইয়া বেগে গমন কৰ্ত্ত। অভিধিৎসা (স্ত্রী) অভিধাতুমিচ্ছ অভি-ধা-সন্ অ টুপি । কহিবার নিমিত্ত ইচ্ছ। বিবক্ষ সনিমীমায়ুরভলভশক পত পদামচ ইস্ । পা ৭ । ৪ । ৫৪। অনিটু সন্ম পরে থাকিলে মী মা ঘু (দ্বাধী) রড লভ শক পত পদ অভি-ধাব-জবে: এই সকল ধাতুর অচের স্থানে ইস্ হয়।*। অত্রলোপে৷ ইভ্যাসন্ত। পা ৭। ৪ । ৫৮। সনি মী মা ইত্যাদি স্বত্র পৰ্য্যন্ত অভ্যাসের লোপ হয়। * । স: স্তাদ্বধাতুকে । পা ৭। ৪ । ৪৯। সকারাদি আৰ্দ্ধ ধাতুক পরে থাকিলে স স্থানে ত হয়। অভিপ্লযু (ত্রি) অভিধর্ষিতৃ শীলমন্ত অভি ধূষর, অত্যন্ত ধর্ষক । নিপীড়নকারী । অশ্বিফালনকর্তা । * । ত্রসি গৃধি বৃষি ক্ষিপেঃ রু, । পা ৩। ২। ১৪০। ত্ৰ গৃধ পৃষ ক্ষিপ ধাতুর উত্তর কু প্রত্যয় হয়। অভিধেয় (ত্রি ) অভিধীয়তে অভিধাবৃত্তা জ্ঞায়তে অভি ধা-কৰ্ম্মণি যৎ । বাচার্থ। সঙ্কেত যুক্ত অর্থ। বাচা । অর্থ। ‘অর্থোইভিধেয়ে বৈ বস্তু প্রয়োজন নিবৃত্তি । (অমর )। গ্রন্থের প্রতিপাদ্য (বর্ণনীয়) (ইতি প্রযোজন। ভিধেয় সম্বন্ধাঃ’ । (মুগ্ধং ) । এই সকল শব্দের সহিত ব্যাকরণের প্রয়োজন কিম্ব এই সকল শবাই ব্যাকরণের প্রয়োজন ও প্রতিপাদ্য এবং এই সকল শব্দের সহিত ব্যাকরণের সম্বন্ধ) । স্বাথে কন্ করিলেও প্রতি পাদ্য অর্থ বুঝায় । গ্রন্থাদে তেন বক্তব্য: সম্বন্ধঃ সাভিধেয়কঃ । ( ভট্ট ) সেই হেতু গ্রন্থের আদিতে সম্বন্ধ এবং অভিধেয়ের সহিত প্রয়োজন বক্তব্য । অভিধ্য ( স্ত্রী ) অভিধায়তে অভি-ধৈ চিস্তনে-অ । টাপ । পরধন হরণেচ্ছ । বিষয় প্রার্থনা । চিস্ত। আলোচনা। অভিধাতব্য (ত্রি ) অভি-ধ্যৈ-তব্য। সৰ্ব্বদা চিন্তনীয় । অভিধান (ক্লী ) অভি-ধ্যৈ-লুটি, । পুনঃ পুনঃ পর ধনে অভিনিবেশ । হরণেচ্ছ। বিযয় প্রার্থনা । আলোচন । ( পরদ্রব্যেস্বভিধানং’ । স্মৃতি । অভিধানং পুনঃ পুন রভিনিবেশ: )। স্মাৰ্ত্ত । অভিনদ্ধ (ত্রি ) অভিনহাতে স্ম। অভি-নহ-ক্ত। সৰ্ব্বথাবদ্ধ । * । নহোধ: ! প৷ ৮ ৷ ২ ৷৷ ৩৪। বাল পরে থাকিলে পদান্ত বিষয়ে নহ ধাতুর হ স্থানে ধ হয়। অভিনন্দ (পুং ) অভি-নন্দ ঘএঃ। সন্তোষ। প্রতিপাদ্যের গুণ কথন দ্বারা আনন্দ। প্রশংসা। অল্পমুখ । সন্তোষ জনক । চতুর্থ জৈন তীর্থঙ্কর । (ত্রি) উৎসাহ প্রদর্শন দ্বারা প্রবর্তক। অভিতোননী: দুঃখাভাবে যত্র । ৭-বহুব্রী। পরব্রহ্ম ৷ পরমাত্ম। পরমেশ্বরে সর্বদাই আনন্দ থাকে এজন্য র্তাহার নাম অভিনন্দ। সচ্চিদাননা। সদানন্দ। নিত্যানন্দ। ইত্যাদি।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৭২
অবয়ব