অরন্ধজিব পা ভাঙ্গিয়া যায়। মুজার হস্তীও আহত হয়। দুই জনেই জাপন আপন হস্তী হইতে নামিয়া অন্ত হস্তীতে চড়িবার জন্ত উপক্ৰম করিতে লাগিলেন। মিরজুমা, অরঙ্গজিবকে কহিলেন,—"প্ৰভু! এখন হস্তী হইতে নামিলে আপনার রাজ্য গোল জানিবেন । অরঙ্গজিব নামিলেন ন। কিন্তু সুজ। আপনার হস্তী পরিত্যাগ করিয়া অশ্বের উপরে গিয়া চড়িলেন। কাজেই তাহার সৈন্তের প্রভুকে অপর না দেখিতে পাইয়। চারিদিকে পলাইয়া গেল। সুজা বাঙ্গালায় ফিরির আসিলেন । কিন্তু অরঙ্গজিবের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মহ্মদ এবং উজির মিরজুমা পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া বাঙ্গালা হইতেও তাহাকে দূরীভূত করেন। ভারতে পলাইবার আর স্থান নাই; যে দিকে যাইবেন, সেই খানেই অরঙ্গজিবের বিজয় পতাকা উড়িতেছে। অবশেষে তিনি অনেক ভাবিয়া আরাকানে গেলেন। তাহার সঙ্গে বহুমূল্য রত্ন এবং প্রায় দেড় হাজার লোক ছিল । কিন্তু আরাকানের জলবায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। দেড় হাজার লোকের মধ্যে ক্রমে ক্রমে প্রার সকলেই মরিয়া গেল। কেবল শা-সুজা নিজে, তাহার দ্বিতীয় পত্নী, দুইটী পুত্র, তিনটী কন্যা এবং চল্লিশ জন অমুচর জীবিত থাকিলেন। বিধাতা বিমুখ হইলে চারিদিকে বিপদ ঘটে। আরাকানের রাজা একে ত অরঙ্গজিবের ভয়ে সৰ্ব্বদা শঙ্কিত, তাহার উপর আবার সুজার রূপবর্তী কস্তাদের প্রতি র্তাহার দৃষ্টি পড়িল। সঙ্গে বহুমূল্য হীরা মুক্ত ছিল, তাহাও কাড়িয়া লইতে লোভ জন্মিল । তৰ্জ্জন্ত তিনি নানা প্রকার ছল করিয়া আশ্রিত রাজপুত্রকে আপনার রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিলেন। সুজা আপনার পরিবারবর্গ ও সঙ্গের অঙ্গুচরদের লইয়া একটা পৰ্ব্বতের খডে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সে স্থান অত্যন্ত দুৰ্গম । দুই দিকে পাহাড়, পাশে গভীর খড় ; নিয়ে বেগবতী নদী কল কল করিয়া বহিতেছে। এই দুর্গম স্থানে আরাকান রাজের সৈন্তের আসিয়া স্বজ ও তাহার সঙ্গের লোকদের উপর বাণবৃষ্টি করিতে লাগিল। কেহ কেহ পৰ্ব্বতের উপর হইতে বড় বড় পাথর গড়াইয়া ফেলির দিল। শা-সুজা অনেক ক্ষণ প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াছিলেন, শেষে একটা বড় পাথরের আঘাতে তিনি অভিভূত হইয়া পড়েন। রাজ সেনারা তাহাকে ও র্তাহার ছুই জন অনুচরকে একটা ডোঙ্গার উপরে তুলিয়া নদীর মধ্যস্থলে ছাড়িয়া দিল। তাহারা দেই প্রবল স্রোতে সাতার দিয়া উঠিতে পারিলেন না, { ১৩৩ ] te» ] ছুই একবার অঙ্গাস্ফালন করিয়া শেষে অগাধ জলে অরস্কাজিৰ T - ডুবিয়া গেলেন। তাহার পর সৈন্তের, সুজার অন্তাষ্ঠ অনুচরদিগকে বিনষ্ট করিয়া তাহার স্ত্রী, তিনটী কন্যা এবং পুত্র টুইটকে রাজার কাছে আনিয়া দিল। রাজা, স্ত্রীলোকদিগকে অন্তঃপুরে রাখিলেন। কিন্তু হতভাগ্য বালক দুইটার প্রাণ বিনষ্ট করা হইল। সুজার পত্নী সুলতান পেয়ার বাণ পরমাসুন্দরী। তিনি সে সময়ের রমণীকুলের অলঙ্কার স্বরূপ ছিলেন। তৈমুর কুলবধুর এবং তৈমুর কুলকন্যার চরিত্রে কলঙ্ক পড়িবে, তাহার চেয়ে মৃত্যু ভাল। কিন্তু শক্রকে মারিয়া ন মরিতে পারিলে তেমন মরণে মৰ্য্যাদা কি ? তজ্জন্ত পেয়ার বাণী কাপড়ের ভিতরে একখানি ছুরী লুকাইয়া রাখিলেন। পিশাচকৃত্তি রাজা গৃহে প্রবেশ করিলেই তাহাকে বিনষ্ট করিবেন। কিন্তু দাসীরা কি রূপে জানিতে পারিয়া চুরী থানি কাড়িয়া লইল । তখন আর অন্ত উপায় নাই ; সুতরাং তিনি আপনার মুখের মাংস ছিড়িয়া ক্ষত বিক্ষত করিলেন। মুখচন্দ্রের সৌন্দৰ্য্য কমিয়া গেল। তাহার পর একখানি পাথরে মাথা ঠুকিয় তিনি প্রাণত্যাগ করেন। সুজার দুই কস্তা বিষ খাইয়া মরিল। অবশিষ্ট আর একটা কন্যাও অধিক দিন জীবিভছিল না। সুজার দুর্দশার সংবাদ পাইয়। অরঙ্গজিষ পুলকিত হইয়া উঠিলেন । কিন্তু তাহার মনে একদিনের জন্য সুথ জন্মে নাই। শাজেহান বৃদ্ধদশায় আটবৎসর কারারুদ্ধ ছিলেন। পাছে র্তাহার অনুগত সিপাহীরা কথন বিপদ ঘটায়, তজ্জন্ত তিনি সৰ্ব্বদাই উদ্বিগ্ন থাকিতেন । এ দিকে দারা এখনও জীবিত আছেন ; তাহার পুত্র সলিমান শ্রীনগরে গিয়া আশ্রয় লইয়াছেন। অবসর পাইলে তাহারাও বিপদ ঘটাইতে পারেন। তদ্ভিন্ন পিতাকে কারারুদ্ধ করিয়া রাজ্যলাভের যে সহজ কৌশল তিনি দেখাইয়া দিয়াছেন, তাহার নিজের পুত্রেরাওঁ যে সেই কৌশল শিখিয় লয় নাই, তাহাই বা বিচিত্র কি ? রাজাদের মন সৰ্ব্বদা সঙ্গিন্ধ। ক্ষমতাবান লোক তাহাদের চক্ষুশূল । নিজের ছায়া দেখিলেও রাজাদের মন ঈর্ষায় শিহরিয়া উঠে । সুতরাং সকল আশঙ্ক। লুইতে নিরুদ্বেগ হইবার জন্য তিনি আপনার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ भक्रप्रश्रक ८ोग्राशिङ्गट्द्रङ्ग झुप्पी यादब्लैौवन आदछ করিয়া রাখিলেন। মক্ষমদের একটী অপরাধও হইয়াছিল। বাঙ্গালার যুদ্ধের সময়ে তিনি শারদ্বার:বঙ্কার
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৫৩
অবয়ব