পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નિશ [ ৩৫৭ ] শিখ --- -------------سے--- کے শিক্ষিত (ত্রি ) ৯ বিজ্ঞ, শিক্ষাযুক্ত, যাহাঁদের উত্তম রূপে শিক্ষা হইয়াছে, পণ্ডিত, জ্ঞানী । “আপঞ্জিতোষাম্বিদুষাং ন সাধু মস্তে প্রয়োগবিজ্ঞানং। বলবদপি শিক্ষিতানামাত্মন্ত প্রত্যয়ং চেতঃ ” (শকুন্তলা ১অ”) নিকিতব্য (ত্রি ) শিক্ষ-ভবা । শিক্ষণীয়, শিক্ষার যোগ্য। শিক্ষার উপযুক্ত। শিক্ষিতাক্ষর ( পুং ) শিক্ষিতানি অক্ষরাণি ৰেন। শিক্ষাকারী छ्ॉब्ल, पाशंद्र चिंत्र्क करव्र । ‘দ্যাদক্ষত্রমুখ কালাক্ষরিক শিক্ষিতাক্ষরঃ ' (ত্রিকা" } ( ত্রি ) ২ শিক্ষিত । শিক্ষু (ত্রি ) অভিমত ফল প্রদান করিতে ইচ্ছুক। “স্বপত্যন্ত - শিক্ষোঃ” ( বাৰু ৩১ ॥৩ ) শিক্ষোঃ অভিমতফল প্রধানে শকিতুমিচ্ছেঃ, শক শৰেী সন, সনি ধাতে রচ, ইসাদেশঃ। অত্র অভ্যাসন্ত লোপ:, ততঃ সনাশংশসেতি উরিতু প্রত্যয়ঃ’ ( সায়ন ) শিখ ( দেশজ ) ছাতার শিক্, বাড়ীর ছাদের শিক্ । শিখ, গমনার্থ। লটু শিখতি । শিখ, পঞ্জাববাদী ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বিশেষ। ইহার একেশ্বরবাদী এবং বাবা নানক শাহের মতপোষক । ১৫২৬ সংবতে ( ১৪৬৯খু: ) লাহোর রাজধানীর উত্তরস্থ ইরাবতী তীরবর্তী তালবন্দী গ্রামে নানকের জন্ম । ইহার পিত কালু স্থানীয় ভূম্যধিকারী রায় বুলারের অধীনে তালবনী গ্রামের পাটোয়ারী কাৰ্য্য করিতেন এবং ঐ গ্রামেই র্তাহার একটা দোকান ছিল । বাল্যকাল হইতেই নানক এই দুঃখের সংসারে প্রতিপালিত । গ্রোম্য পাঠশালায় তাহার বর্ণপরিচয় হয় । তৎপরে তিনি কতক পরিমাণে শাস্ত্রাদি আলোচনা করিয়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ অবগত হইবার জন্তু ব্যাকুল হইয় উঠেন । ঐ সময় হইতেই দেবতত্বের রহস্তপূর্ণ দুৰ্ব্বোধ ছায়। তাছার স্বজয়ে নিপতিত হয়। তিনি সেই অজ্ঞাত তত্ত্বের অশ্বট আলোকে

        • T*-*-xe

ক্রমশঃই দিশেহারা হইয় প্রকৃত তত্বের উদঘাটনে নিৰ্ব্বাক্ চিন্তায় জিন যাপন করিতেন। কিন্তু তখনও ঠাহীর অমুসন্ধিৎসা হ্রাস ત્યાર્થ इब নাই । জ্ঞানান্বেষণের প্রবল পিপাসা তাহাকে আহাল্পনিদ্রাবর্জিত করিলেও প্রকৃষ্ট পথ হইতে অপসারিত করিতে পারে নাই । তিনি লক্ষ্য ভ্ৰষ্ট না হইয়া ক্রমশঃই শাস্ত্রাচেনা করিতে লাগিলেন । হিন্দু সস্তানের হিন্দুশাস্ত্রে স্বভাবতঃ ৰে অনুরাগ থাকিতে পারে, নানকে তাহা যথেষ্ট ছিল, তদ্ভন্ন তিনি ইসলাম ধর্মের সারত্তৰ অৰগত হইতেও সবিশেষ উৎসুক ছিলেন। কারণ উহা স্নাৰধৰ্ম্ম, এবং হিন্দুমুসলমান সংঘর্ষে রাজ- } XX "φ শক্তির প্রভাবে তখন প্রজার ধৰ্ম্ম হীন প্রভ হইয় পড়িতেছিল। কাহারও মতে নানক সৈয়দ হসন নামক একজন মুসলমান প্রতিবেশীর নিকট ইভে ইসলাম ধৰ্ম্মতৰ সম্যক অবগত হইয়াছিলেন । নানকের পিতামাতা স্নেহবন্ধন সুদৃঢ় করিতে সচেষ্ট থাকিলেও দৈববিড়ম্বনায় তাহাজের সে উদ্দেশু সফল হয় নাই। নানক বেণীবংশীয় ক্ষত্রিয়সস্তান। নবমবৰ্ষ পদার্পণ করিলে পুঞ্জের দীক্ষার আয়োজন করিয়া পিতা আত্মীয় স্বজনকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন ; কিন্তু নানক সমাগত লোক সমক্ষে দীক্ষা গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া বলিলেন, যজ্ঞস্থর সংসারীর, উহা ঈশ্বর প্রয়াণীর নছে। অতঃপর পুত্র পঞ্চদশে উপনীত হইলে কালু একদিন নানককে বলিলেন: বৎস! তুমি বয়োবৃদ্ধ হইয়াছ, এক্ষণে ৰিষয় কৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিয়া পৈতৃক ব্যবসা পরিচালনা কর এবং এই ৪•ট টাকা লইয়া গ্রামান্তর হইতে পণ্য দ্রব্য ক্রয় করিয়৷ অfল ।” নানক পণ্যক্রয় করিতে চলিলেন, সঙ্গে বালা নামে র্তাহার বিশ্বস্ত ভৃত্য চলিল, কিন্তু কিছু দূর গিন্নাই নানক দেখিতে পাইলেন, কতকগুলি ফকির খাস্তাভাবে অনাহারে মৃতপ্রায় হইয়া রছিয়াছে । তিনি সেই অর্থে খাদ্য দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া ফকিরদিগকে ভোজন করাইলেন। এই সংবাদে পিতার ক্রোধ দ্বিগুণ জলিয়া উঠিল । তিনি পুত্রকে নির্ধ্যাতন করিবার জষ্ট অগ্রসর হইলেন । পুত্র বনে বৃক্ষশাখায় লুকাইয়া পরিত্রাণ পাইল । এরূপ গোপনবাসে নানকের বিশেষ কষ্ট হইল না। কারণ এই বাল্যাবহtয়ই ঈশ্বরচিন্তায় বিভোর হইয়া নানক কএক দিন বনে রাত্রি ধাপন করিয়াছেন। ঐ সময়ে তাহাকে দেখিলে বোধ হইত সংসার ও অরণ্য, জিন বা রাত্রি তাহার পক্ষে সমান। শ্বাপদসন্ধুণ অরণ তাকার পক্ষে শাস্তিময় নিকেতন। যাহা হউক, ভূম্যধিকারী রায় বুলার ঐ ৪০ টাকা দিয়া এ বারের মত পিতার ক্রোধ হইতে পুত্রকে রক্ষা করেন । অতঃপর কালু পুত্রের জন্য সুলতানপুরে একটা স্বতন্ত্ৰ দোকান করিয়া দিলেন । পুত্র সকল মালপত্র দরিদ্রকে দান করিয়া পিতার ঘৃণা ও ক্রোধভোজন হইলেন । পুহকে কৰ্ম্মপথে আনিতে না পাধিয়া কালু অবশেষে পুত্রের ৰিবাহ দিৰেন স্থির করিলেন। বতালাবালী মুলা বংশীয় সুলক্ষণী নামী এক স্বন্দরী কন্যার সৱিত নানকের বিবাহ হইয় গেল, তথাপি পুত্র গৃহবাসী হইতে চাহে ন৷ দেখিয়া তিন স্বীয় পুত্রকে জামাতা জয়রামের নিকট পাঠাইলেন। জয়রাম তৎকালে মুলতানপুরের জায়গীরদার নবাৰ দৌলৎ খ্ৰী লোদীর অধীনে কৰ্ম্ম করিতেন। জয়রামের প্রার্থনায় উক্ত নৰাৰ নানককে “মোদীখানার” কর্তৃত্ব প্রদান করেন। এখানে স্বীয় ভগিনী নানুকীর অক্সনয়ে নানক গৃহবাসে অভিলাৰী হন । এই