পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখ [ সময়ে ৩২ বর্ষে ও ৩৬ বর্ষে নানকের যথাক্রমে ঐচাদ ও লক্ষ্মীর্চাদ নামে তুই পুত্র জন্মে । লক্ষ্মীর্চাদের অতি শৈশবাবস্থায় মানক সংসারাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া ফকিরের বেশে দেশপৰ্য্যটনে বাহির হইলেন। এই সময়ে বিখ্যাত রবাব বাদ্যকর মিরাশীবংশীয় মদ না লহন ( পরে তাহার পদাধিকারী অঙ্গদ নামে খ্যাত ), রামদাস বুড়া ও জনৈক সিন্ধুদেশীয় জাট তাহার অনুসরণ করেন। নানক এই সময়ে যে ধৰ্ম্ম মত বাক্ত করিয়াছিলেন তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া বাহারা তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিল, তাহারাই শিষ্য শব্দের হিন্দী অপভ্রংশ ‘শিখ” নামে পরিচিত হইলেন । তীর্থযাত্রায় বহির্গত হইয়া নানক সমগ্ৰ ভারতীয় তীর্থপরিভ্রমণাস্তে কাবুল ও পারস্ত হইয়া পশ্চিম এসিয়ার নানাস্থান পৰ্য্যটন করেন। প্রবাদ, তিনি মক্কাদর্শন করিয়া স্বদেশে প্রত্যবৃত্ত হন এবং গুজরাণবালার অন্তর্গত এম্নাবাদ নগরে লালু স্বত্রধায়ের আলয়ে বাস করিতে থাকেন । তালবনীর সর্দার রায় বুলার বালক নানকের ভগবৎ প্রেম সন্দর্শনে তৎ প্রতি আকৃষ্ট হইলেন। এক্ষণে র্তাহার গৌড় জীবনে সেই প্রেম-প্রস্রবণ উথ লিয়া উঠিয়াছে এবং সম্প্রতি তিনি তীর্থযাত্রা হইতে স্বদেশে আসিয়াছে শুনিয়া তিনি একবার সাক্ষাতের প্রার্থন জানাইলেন। তদনুসারে নানক জন্মভূমি সন্দর্শনে আসিলেন, এখানে র্তাহার মাতাপিতা তাঙ্গকে গৃহে থাকিতে বিশেষ অনুরোধ করেন, তিনি তাহাতে কর্ণপাত করিলেন না, বরং তাহাদিগকে স্বীয় সত্যধর্মের নীতি বাক্য দ্বারা সাত্বনা করিতে লাগিলেন। অতঃপর মানক পুনরায় তীর্থভ্রমণে বহির্গত হন । এ যাত্রায় তিনি বাঙ্গাল দেশে আসিয়া যোগী গোরক্ষনাথের মতাবলম্বীর সাক্ষাৎ পান। তাহার সহিত ঐশ-তত্ত্ববিষয়ে নানকের বিস্তর বাদামুবাদ হয় । অতঃপর নামক দাক্ষিণাত্য পৰ্য্যটন করিয়া সিংস্থলে উপনীত হন এবং সংস্থলপতি শিবনাভকে স্বমতে দীক্ষিত করেন। সংহলে অবস্থিতি কালে নানক "৫াণসন্দলি” গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া ছিলেন । দুই বৎসর পাচ মাস পরে এখান হইতে ফিরয়! পাকপত্তনের অন্তর্গত বাবা ফরিদের সমাধিমন্দির সণাশনে আইসেম এবং তথায় উক্ত ফাকরের বংশধর বহরামকে ধৰ্ম্মোপদেশ দানছ ল “আশ’ নামক গ্রন্থ রচনা করেন । অঙঃপর সিন্ধু প্রদেশ হইয়া তিনি পুনরায় আফগানস্থানে উপনীত হইলেন। পথি মধ্যে খুলম নামক স্থানে তাহার মুসলমান শিষ্য বীণকায় মর্গানার মৃত্যু ঘটে । মৰ্দ্দানার ইচ্ছানুসারে ঐ স্থানেই তাঙ্গার দাহুক্ৰিয়া সমাপ্ত হয় । এই ঘটনার পর, নানক পুনরায় বতাল হইয়া তালবনী ○Qbア ফিরিয়া আইলেন । মর্গানার পুত্র শাজাদ। এই সময় হইতে শিষ্য • ] βήεί রূপে তাহার পদামুসরণ করিল। মূলতানের নিকটবর্তী তালাৰ নামক স্থানে জনৈক ঠগীসর্গার শাজাদাকে কারারুদ্ধ করিলে তিনি জ্ঞানগর্ভ বাক্যে র্তাহাকে এরূপ উপদেশ দিয়াছিলেন যে, সেই কঠোর হৃদয় ঠগীসর্দার অবিলম্বে তাহার পদাশ্রয় ভিক্ষা করিয়া শাজাদাকে মুক্তি দিলেন। ঐ সর্দার সালে তাঙ্গর ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলে তাহার শিষ্যসংখ্যা বৃদ্ধিত হয়, এই সময়ের মধ্যে র্তাহার পিত কালুও সর্দার রায় বুলালের মৃত্যু হইলেও নানকের মাহাত্ম্য अरु5उठ झहेंग्रां छाछे ७ डिग्लि छाउँौम्न बहtशांक ॐांशद्र तिबाङ् গ্রহণ করিয়াছিল। এক সময়ে নানক মূলত্তানের গড়ছত্র মেলায় উপস্থিত হইয়া সাধারণের সমক্ষে স্বীয় একেশ্বরবাদ মত প্রকাশ করেন । মুসলমামগণ কোরাণ সরিফ অবহেলা করিয়া তাহার মত পোষণ করিবে ভাবিয়া স্থানীয় সরদার তাছাকে অবরুদ্ধ করিয়া দিল্লীশ্বরের নিকটে প্রেরণ করেন । নামক নিৰ্ভীকচিত্তে সম্রাট, ইব্রাহিম লোদীর সমক্ষে বলিয়া ছিলেন, বেদ বা কোরাণের ধৰ্ম্ম ফকিরের নহে । ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া পাঠান সম্রাট, তাহাকে কারারুদ্ধ কবেন । সাতমiস কারাবাসে অতিকষ্টে জীবন যাপন করিয়াও ষ্ঠাহীর ধৰ্ম্মমত পরিবস্থিত হয় নাই। মোগলসম্রাট, বাবর শাহ কর্তৃক ইব্রাহিম লোদীর পরাজয়ে তাঙ্গর দুঃখের অবসান হয়। অতঃপর নানক ইরাবতী তীরে ফকির বেশে বাস করিতে থাকেন । তিনি এথানে তাহার শিষ্য সম্প্রদায়ের বাসের জন্য অনেক বাট প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন, ঐ স্থান ডেরা-বাবানানক নামে খ্যাত। তাহার পুত্রদ্বয়ের মধ্যে লক্ষ্মীর্চাদ গৃহস্থাশ্রম অবলম্বন করেন এবং শ্ৰীচাদ ফকির হইয়া উদাসীন সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তক হন। ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দে ৭১ বৎসর বয়সে নানকের তিরোধান ঘটে । যে সময়ে পঞ্জাব প্রদেশে ধৰ্ম্মণীর নানক শাহের অভু্যদয় হয়, সে সময়ের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে জানা যায় যে পাঠানগণ তৎকালে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে রাজ্যভিত্তি বদ্ধমূল করিয়াiছলেন। একদিকে পাঠানদিগের হন্তে হিন্দুনিগ্ৰহ, দেবমন্দির ও তীর্থ ক্ষেত্ৰাদি ধ্বংসসহ পৌত্তলিকতার বিলয়সাধনচেষ্ট এবং ভারতবালী হিন্দু সাধারণকে ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত, করিবার প্রয়াস যেমন প্রবল ভাব ধারণ করিয়াছিল, অন্যদিকেও সেইরূপ হিন্দুগণ বহশতাব্দী ধরিয়া মুসলমান সংস্রবে বাস হেতু মুসলমান ভাবাপন্ন হুইতেছিলেন । উত্তর ভারতবাসী জাট ও ভট্টীগণ আচার ব্যবহারে প্রায় মুসলমান হইয়াছিলেন। এইরূপ বিপ্লবের সময় নানকের জন্ম। তিনি পুরাণ ও কোরাগ পাঠ করিয়া দেখিলেন প্রকৃত ধৰ্ম্ম উভয়েই বিরল। হিংসা ও দ্বেষাদ্বেষী যাহাতে বর্তমান, তাহাঁতে সত্য ধৰ্ম্মেয় স্থান কোথায় ? তিনি