পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধশাস্ত্র | [ s 3. বৌদ্ধশাস্ত্র .ও বিনয়োত্তর গ্রন্থ। উত্তরদেশীয় লোকোত্তরবাদিগণ মহাবস্তুকেও বিনয়পিটকের মূলগ্রন্থ বলিয়া প্রচার করিয়াছেন, কিন্তু তাহ প্রকৃত বলিয়া মনে হয় না। ਗੈਸੀ। পূৰ্ব্বতন আচার্যগণের মতে মহাসত্যিকদিগের মহাবস্তু গ্রন্থেই ধৰ্ম্মগুপ্তসম্প্রদায়ের অভিনিস্ক্রমণসূত্র’ এবং সৰ্ব্বাস্তিবাদিগণের "ললিতবিস্তর বিবৃত হইয়াছে। . চীনপরিব্রাজক হিউএন সিয়াংএর বর্ণনায় জানা যায়, মহাসাঙ্গিকদিগের প্রাচীন ধৰ্ম্মগ্রন্থগুলি স্বত্র, বিনয়, অভিধৰ্ম্ম, সংযুক্ত ওPধারণী বা বিদ্যাধরপিটক নামক পাচ ভাগে বিভক্ত। অবদান গুলিতে সুত্রপিটকের স্মৃতি বিরাজমান। চীনদেশে সুত্রপিটকের যে সকল্ল অমুৰাদ রহিয়াছে, তৎসমুদায়ই আগম, দীর্ঘ, মধ্যম, একোত্তরিক ও সংযুক্তাগম নামে পরিচিত। তারনাথবর্ণিত ক্ষুদ্রাগম গ্রন্থখানি খুন্ধনিক্লার গ্রন্থের অংশবিশেষ কি ম। তাহ স্থির বলা যায় না। উপরি কথিত চীন দেশীয় অনুদিত স্বত্রনিচয়ে এবং তিব্বতদেশীয় স্থত্রের অনুবাদসমূহে প্রাচীর মূল সূত্রগুলির পূর্ণ অনুবাদ পাওয়া যায় না। মহাপরিনিৰ্ব্বাণস্বত্র ও অন্যান্ত কতকগুলি প্রাচীন স্বত্ৰ “বৈপুল্যসুত্র” আকারে বৌদ্ধসমাজে বিদিত আছে এবং তাহাই বর্তমানে মহাবান মতের ধৰ্ম্মগ্রন্থ বলিয়া সাধারণে প্রচলিত রহিয়াছে। শাক্যবুদ্ধের সুপরিচিত শিষ্য কাত্যায়ন ( কাত্যায়নীপুত্র ) কৃত জ্ঞান-প্রস্থান ( পালি পটুঠান ), শারিপুত্র বিরচিত ধৰ্ম্মস্কন্ধ, পূর্ব (বহুমিত্ৰ ) কৃত ধাতুকায়, মোগল্যায়ন কৃত প্রজ্ঞপ্তিশাস্ত্র (মতান্তরে গোষ্ঠবিরচিত অমৃতশাস্ত্র ), দেবক্ষেম ( দেবশৰ্ম্মস্) কথিত বিজ্ঞানকায়, শারিপুত্র ( কোঁঠল) কৃত সঙ্গতি, পৰ্য্যায় এমং বসুমিত্রকৃত প্রকরণপাদ নামক সাতখানি গ্রন্থ অভিধৰ্ম্মবিষয়ক । চামদেন য় অনুবাদে উন্থ রক্ষিত আছে। পাণি ভাষায় লিখিত বিভঙ্গ, কথাবথ ও যমকগ্ৰন্থ য় শাষাক্ত তিনখানি অভিধৰ্ম্মের উপসংহার বলিয়; গ্রহণ করিলেও করা যায় । বক্ষবন্ধুৰিয়চিও অভিধৰ্ম্মকোষ খানি ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিষয়ক নহে । কৌস্তুদিগের থ্রিপিটক একথানি সুপরিচিত শাস্ত্র । মহাযান মতের বৈপুল্য-স্থা এ ও উক্ত গ্রন্থবর্ণিত তন্থনিচয়ের যথেষ্ট আভাস পাওয়া যায়। ভাষার বিস্তাস আলোচনা করিলে বৈপুল্যস্বত্রকে একখানি স্ব গ্ৰন্থ গ্ৰন্থ বলিয়া গ্রহণ করা যাটতে পাঁর কিন্তু ভাবসাদৃশ্ব অনুসরণ করিলে উহাকে আগে পৃথক বলিয়াe গণনা করা যায়না । ইহাতে সংস্কৃত গদ্য এবং সংস্কৃত ও প্রাকৃত মিশ্রিত গাথ। প্রচলিত আছে । হইলে এবং সংস্কৃতভাষার প্রাপর বৃদ্ধি ঘট ল সম্ভবতঃ প্রাকৃত অংশগুলি সংস্কৃত অনুদিত হই; এইরূপে গ্রন্থ মধ্যে স্বী পাইয়াছে। প্রত্নতত্ত্ববিদের অনুমান করেন, "মহারাজ কনিষ্ক • লিখিত আছে। প্রাকৃত ভাষা অপ্রচলিত | কর্তৃক মহাবোধিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে বা পরে উপর উক্ত ৰৌদ্ধধৰ্ম্মগ্রন্থে সংস্কৃত ভাষা প্রবেশ লাভ • করিয়াছে। ললিতবিস্তর গ্রন্থেও ঐরূপ ভাষা এবং পালিভাষার লিখিত ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের অবিকল বাক্যবিন্যাস দৃষ্ট হয়। চীনদেশীয় গ্রন্থকারদিগের মতে ললিতবিস্তু গ্রন্থ একখানি মহাযানস্বত্র ও সৰ্ব্বাস্তিবাণী শাখাসম্মত। ইহা হইতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, মহাযানীরা স্বসম্প্রদায়ের মতপোষক এরূপ অনেক হীনম্ন-সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ নিজস্ব বলিয়া গ্রহণ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। ' ' ১৪-১৭ খৃষ্টান্ধ মধ্যে মহাযানস্বত্র স্বশ্ববতীবৃহ বা জমিতাযু-স্বত্র চীনভাষায় অনুদিত হয়। ঐ সময়ে অধবা কনিক্ষের রাজাকালে মহাযানমত-প্রতিষ্ঠাতা নাগার্জনের জন্ম যদি टैिंक হয়,তাহা হইলে এই গ্ৰন্থখানিকে মহাযান-মতের আদিগ্রন্থ বলিয়া গণনা করা যায়। - • মহাসাক্তিত্বকগণ ও মহাযানগণ ধারণীর অধিকারী ছিলেন । এই কারণে ঐ দুইটী সম্প্রদায়কে পরস্পন্ন সংশ্লিষ্ট বলিয়া প্রতীয়মান হয়। চীনপরিব্রাজকগণ যখন ভারতে আইসেন, তখন ঐ দুইটী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে সম্বন্ধ বিছুমান ছিল। : ধারণী শাস্ত্র হইতেই বৌদ্ধতন্ত্রের বিস্তৃতি"হয়, ইছ হইতেও বেশ বুঝা যায় যে, বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রকৃত প্রভাব অপনোদিত হইলে বৌদ্ধ তান্ত্রিক মতেরই প্রসার বৃদ্ধি হষ্টন্স’ছিল। এই সময়েও উত্তর ও দক্ষিণভারতের বৌদ্ধদিগের মধ্যে ধৰ্ম্মশাস্ত্রসমূহ ত্রিপিটক ভিন্ন আরও কয়ট অঙ্গে বিভক্ত হইয়াছিল । দক্ষিণভারতের পালিশাস্ত্রানুসারী বৌদ্ধদ্বিগের মধ্যে নিম্নলিথিত নয়ট অঙ্গ দেখা যায়। যথা—১ সুস্থ, ২ গেব, ৩ ধেয্যাকরণ, ৪ গাথা, উদান, ৬ ইতিবুন্তক, ৭ জাতক, ৮ অস্তুতধৰ্ম্ম ও ৯ বেঙ্গল্প। উত্তরভারতীয় বৌদ্ধদিগের মধ্যে ঐ নয়টা ব্যতীত আরও ৩টা অধিক অঙ্গ । যথা- ১ স্বত্র. ২ গেয়, ৩ ব্যাকরণ, ৪ গাথা, • উদান, ৬ নিদান, ৭ অবদান, ৮ ইত্যুক্ত (ভ্রমবশতঃ কেহ কেহ ইহাকে ইতিবৃত্তক বলেন, বাস্তবিক ইহা ইতিবৃত্তক নহে, ইং বুদ্ধপ্রোক্ত নীতিনিচয় ), ৯ জাতক, ১ বৈপুল, ১৯ অদ্ভুতধৰ্ম্ম ও ১২ উপদেশ। এই ধৰ্ম্মশাস্ত্রীয় যুগের পর, অর্থাৎ উপরিউক্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্রসমূহের পরিশিষ্টাকারে আরও কতকগুলি প্রবাদমূলক, ইতিহালাখ্যায়িকামূলক ও অন্যান্ত ধৰ্ম্মক ধাপ্রতিপাদক কতকগুলি ধৰ্ম্মশাস্ত্র কাব্যাকামে রচিত হইয়াছিল ৯ এই শ্রেণীর গ্রন্থের মধ্যে অখকথা, অনাগতবংশ, সদ্ধাসংগ্রহ, মহাবোধিংশ, রসবাহিনী, ঘাঠবিংশ ছকেশধাতুবংশ, কৰ্ম্মবংশ, দীপবংশ, মহাবংশ, সাসনবংশ, গন্ধবংশ, পঞ্জমধু সদ্ধৰ্ম্মোপায়ন, কথাৰ4. থেষ্ট্রীগণ, দিব্যাবদান, ভদ্রকল্পাবদান, অবদানশতক, অবস্থান