পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সাহস—যে ব্যক্তি নিজে দুৰ্ব্বল হইয়া বলবানের সহিত মল্লযুদ্ধাদি করে, অতি বৃহৎ ধনুরাকর্ষণে প্রাণপণে চেষ্টা করে, অতি উচ্চৈঃস্বরে কথা বাৰ্ত্তী ৰলে ও সঙ্গীতাদি করে, গুরুতর ভার প্রগাঢ়রপে হরিদ্রাদি দ্বারা গাত্র মর্দন করে, অতিশয় জোরের সহিত অর্থাৎ বীরপে কোন স্থানে পদাঘাত করে, অতি দীর্ঘ পথ প্রমণ করে, পৰ্ব্বতাদি অত্যুচ্চ বন্ধুর স্থান হইতে দ্রুত গতিতে অবতরণ করে, কিংবা যে ব্যক্তি বিষমভাবে অতিমাত্র ব্যায়াম করে, তাহার এই সকল ক্রিয় দ্বারা তদীয় বক্ষঃস্থল ক্ষত বা আহত ও শরীরস্থ বায়ু প্ৰকুপিত হয়। অনন্তর সেই কুপিত বায়ু ক্ষতবক্ষঃকে বিশেষ রূপে আশ্রয় করিয়া তত্ৰত্য শ্লেষ্মা ও পিত্তকে দূষিত করে এবং ক্রমে উদ্ধ, অধঃ ও তির্যাগ ভাবে সমস্ত শরীরে বিচরণ করিতে থাকে। উক্ত উদ্ধাধস্তিৰ্য্যগ্রগমনশীল বায়ু কফ ও পিত্রে সহিত মিলিত হইয়া শরীরের সন্ধিস্থল সকলে আশ্রয় করিলে জুস্ত, অঙ্গমর্দ ও জর উৎপন্ন হয়, আমাশয়কে আশ্রয় করিলে মলভেদ হয়, হৃদয়কে আশ্রয় করিলে বক্ষোবেদন হয়, জিহাকে আশ্রয় করিলে কণ্ঠ কওয়ন বা উৎকাস ও স্বরভঙ্গ, প্রাণবহ স্রোতঃসমূহকে আশ্রয় করিলে শ্বাস ও সন্ধি এবং মস্তকাশ্ৰয় হেতু শিরঃশূল উপস্থিত হয়। বক্ষঃক্ষতহেতু, বায়ুর বিষম গতিহেতু ও কণ্ঠকওয়ন হেতু তাহার নিরস্তর কাস হয় এবং পূর্বকৃত ক্ষতযুক্ত বক্ষঃ কাসবেগে পুনঃপুনঃ ক্ষত হওয়ায় রোগীর সরক্ত শ্লেষ্মা নিৰ্গত হটতে আরম্ভ হয়। রক্তনির্গমহেতু দৌৰ্ব্বল্য জন্মে। অতএব সাহস হইতেই শরীরশোষকর এই সকল উপঞ্জব দ্বার উপক্রত হইয়৷ সেই ব্যক্তি ক্রমে ক্রমে শুষ্ক হইতে থাকে। বেগধারণ—পুরুষ যে সময়ে রাজসমীপে, প্ৰভু সমীপে, গুরুর পাদমূলে, কোন সাধুসমাজে বা স্ত্রীসমাজে অথবা নানাবিধ যানে গমন করে, তখন যদি তাহার অধোবায়ু, মুত্র বা মলের বেগ উপস্থিত হয় এবং লজ্জ বা ভয় হেতু ঐ সকল বেগ রোধ করে, তাহা হইলে বেগসন্ধারণহেতু উছার বায়ু প্ৰকুপিত হইয়া পিত্ত ও শ্লেয়াকে দূষিত করিয়া পুৰ্ব্ববৎ উদ্ধাধস্তির্যাগ, ভাবে রিচরণ করিতে থাকে ও নানা প্রকার উপদ্রব উপস্থিত করে এবং - তাহাতে পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে ঐ লোকের শরীর ক্রমে ক্রমে শুকাইতে থাকে । ক্ষয়-যখন মঞ্জুষ্য অতিমাত্র শোক ও চিন্তায় উপহতচিন্তু হয় অথবা ঈর্ষা, উৎকণ্ঠা, ভয় বা ক্রোধাদি দ্বার অভিভূত হয়, কিংবা কৃশাবস্থায় রুক্ষ অন্নপান সেবন, অল্পাহার বা অনাহার করে, তখন তাহাৰু হৃদয়স্থ রস ক্ষয় প্রাপ্ত হয়। রসক্ষয় হওয়ায় সে ব্যক্তি ক্রমশঃ শুস্ক হইতে থাকে। আবার যদি কোন ব্যক্তি হর্ষ t 41 אי শোষ 總 ৰ অতি আসক্তির সহিত স্ত্রীতে রত হয় এবং উত্তরোত্তর কেবল উদ্ধর বিবৃদ্ধিই ঘটতে থাকে, তাছা হইলে অভ্যধিক পরিমাণে শুক্র ক্ষরণহেতু তাছার বায়ু প্ৰকুপিত হইয়া শোণিতৰৰ ধমনীৰহন করে, বড় বড় নদীতে অনেক দূর পর্যন্ত সস্তরণ করে, অতি | সমূহে প্রবেশপুৰ্ব্বক তাহা হইতে শোণিত প্রচু্যত করিয়া দেয়। બરે অবস্থার তাছার শুক্রের এত অল্পত ঘটে যে, পুনমৈথুনকালে শুক্র নির্গত:না হইয়া বায়ু কর্তৃক বিপথগামী শোণিত শুক্রম্বার্গে নীত ও তথা হইতে বহির্গত হয়। এই রূপে শুক্রক্ষয় ও শোণুিভনির্গম হেতু সেই ব্যক্তির সন্ধি সকল শিথিলীভূত এবং শরীর অত্যন্ত কক্ষ ও হুর্বল হয় ; এই সময়ে প্ৰকুপিত বায়ু রসহীন শরীরের সর্বত্র গিয়া শ্লেষ্মা ও পিত্তকে প্রকুপিত করিয়া মাংস ও শোণিতকে পরিশুদ্ধ করে এবং উক্ত শ্লেয় ও পিত্তকে নিঃসারিত করে ; পাশ্বদ্বয়ে ও স্কন্ধদেশে বেদন, কণ্ঠে কওয়ন অর্থাৎ গলা খুদখুলি, প্লেয়াকে উদ্ধগত করিয়া সেই শ্লেষ্মাম্বারা মস্তককে পরিপূর্ণ এবং সন্ধিস্থানসমূহকে প্রপীড়িত ও অঙ্গমৰ্দ্দ, অরুচি, অপাক প্রভৃতি উপস্থিত করে। পিত্ত ও শ্লেষ্মায় উৎক্লেশ অর্থাৎ বহির্গমনোন্মুখত এবং প্রতিলোমগামিত্বহেতু জর, কাস, শ্বাস, স্বরভেদ ও প্রতিশ্যায়াদি রোগ উৎপন্ন হয়। কাসপ্রসঙ্গহেতু ক্রমশঃ বক্ষঃক্ষত হওয়ায় রোগী রক্ত নিষ্ঠীবন করে এবং তাঁহাতে সাতিশয় দুৰ্ব্বল হইয় পড়ে। এইরূপে শরীর ক্রমে ক্রমে শুষ্ক হইতে থাকে। বিষমাশন—“বহুস্তোকর্মকালে চ ভজজ্ঞেয়ং বিষমাশনং" সাধারণতঃ অল্প, অধিক ও অসময়ে ভোজন করাকে বিযমাশন কহে। ফল চৰ্ব্ব্য, চোষ্য, লেহ ও পেয় এই চতুৰ্ব্বিধ আহার, আহার বিধির অর্থাৎ প্রকৃতি, করণ, রাশি, সংযোগ, দেশ, কাল, উপযোগসংস্থা ও উপশয়, ইহাদের বৈষম্যভাবে অর্থাৎ অযথাবৎ নিয়মে সেবন করার নামই বিষমাশন । [ বিষমাশন দেথ ] উক্ত বিষমাশন দ্বারা যুগপৎ ত্রিদোষেরই প্রকোপ হইয়া থাকে ; এই প্ৰদুষ্ট দোষত্রয় সৰ্ব্ব শরীরে গমনপূর্বক রসরক্তবিহু স্রোতোমুখ সকলকে আবরণ করিয়া অবস্থিতি করে ; এই অবস্থায় লোকের আহাৰ্য্য পদার্থ প্রায়ই প্রচুর পরিমাণে মল মূত্ৰাদি রূপে পরিণত হয় ; স্বতরাং भै छूङ अदा इॉब्र! **ौद्र রসরক্তাদি অন্য কোন ধাতুর সম্যগুৎপত্তি হইতে পারে না ; পরস্তু ক্রমশঃ তাছাদের হ্রাস হইতে থাকে। এতদবস্থায় মাত্র পুরীবের উপষ্টস্ত হেতুই গোক বাচিয়া থাকে। এই সময়ে কোন কারণে রোগীর মলনিঃসরণ হইতে থাকিলে স্বল্প কালের মধ্যেই সে মৃত্যুগ্রাসে পতিত হয় ; এই কারণেই উক্ত হইয়াছে যে শোষাক্রান্ত ব্যক্তির মল অবহু রক্ষণীয়। “শুক্রমূলং বলং পুংসাং মলমূলং হি জীবিতং। তন্মাদ্যয়েন সংরক্ষেৎ বক্ষিণাং মলরেতলী ॥” (বিজয়রক্ষিত)