পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিকন r stotest: “লাহ মংডাবর বৈঠিয়ে আঠোং মঙ্গলৰার। জো জো বৈরী সংচরে সে সে গিয়ে মার ॥* প্রিয়তম কনিষ্ঠ পত্নীসকৃত উক্ত দুইটা পুত্র ব্যতীত সঙ্গৎ রাজের অপর মহিষীর গর্ভজাত আরও উনবিংশতিটা পুত্র ছিল, তাহারা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে গমনপূৰ্ব্বক আধিপত্য স্থাপন করিবার চেষ্টা করেন। জৎ, প্রদেশের প্রসিদ্ধ সর্দারগণ র্তাহাদিগের অন্ততমের বংশ । উপরিলিখিত চাহমানবংশীয়ের মুসলমামণিগের আধিপত্যবিস্তারে পুনঃ পুনঃ বাধা প্রদান করিয়াছিলেন এবং কেহ কেহ মুসলমানরাজাদিগের রাজত্ব সময়ে ক্ষিয়ংকাল স্বরাজ্যে স্বাধীন জয়-পতাকা উড়ীয়মান করিয়াছিলেন । - রেব রাজ্যের পূৰ্ব্বে এবং কৈযুর পাহাড়ের দক্ষিণে সারগুজা ও সোহাগপুরের মধ্যে চৌহানখণ্ড নামক একটা বিস্তৃত্ত স্থান আছে ; এখানে অনেক চাহমানবংশীয় লোক বাস ফরিয়া থাকে এবং তাহারা মৈনপুরী চাহমানদিগের ৰংশসস্তৃত বলিয়া পরিচয় দেয় । চাহমানদিগের বাস জষ্ঠ বোধ হয় উক্ত স্থানের নাম চৌহানখগু হইয়াছে। চাহমামট্রিগেস্থ বিখ্যাত নায়ক চন্দ্রসেনের নামানুসারে চৌহানখণ্ডের চন্দ্রকোণ মাম হইয়াছে। উত্তরপ্রদেশীয় চাহমানগণের মধ্যে কেহ কেহ বলেন চন্দ্রকোণ। রেবারাজ্যের সন্নিকট নহে। উহা কলিকাতা হইতে ৪ • মাইল অন্তরে মেদিনীপুরের নিকট অবস্থিত। অপর কেহ কেহ বলেন বৰ্দ্ধমানের নিকট চন্দ্রকোণা মামক যে স্থান আছে, উহাই সেই চন্দ্রকোণ। ফলে য়েৰাঁরাজ্যের নিকটস্থ অনাৰ্য্যজাতির বাসভূমি পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে চাহমানগণ না গিয়া বৰ্ত্তমান বঙ্গপ্রদেশের মধ্যে যে তাহারা উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন, ইহা অসঙ্গত বলিয়। বোধ হয় না । কেহ কেহ বলেন, গোরক্ষপুরের চাহমানগণ চিতোররাজ রত্নসেনের পুত্র রাজসেনের বংশ । এই বংশের একটা শাখা বিহারপ্রদেশে উপনিবেশ স্থাপন করেন । কোম কোন স্থানের চাহমানগণ এত নিকৃষ্টবংশসস্তৃত ষে তাহার রাজপুতদিগের মধ্যে গণনীয় নহে। উত্তররোহিলথওঁ প্রদেশের চাহমানগণ ঠিক ঐন্ধপ । চাহনি (দেশজ ) দৃষ্টপাত । “তুমি যে চাহনি চাও সে চাহনি কোথা পাও।” ( ভারতচন্ত্র বিদ্যা” ) চিক ( দেশজ ) ১ কণ্ঠভিয়ণ ভেদ । ২ বংশথওনিস্টিভ এক প্রকার পর্দা । চিকন ( দেশজ, সংস্কৃত চিকণ শব্দজ ) ১ সুত্ৰ, চকচকে । ২ সুচিকাৰ্য্য স্বারা কার্পাস, উর্ণ বা রেসমী বক্সের উপর ૨૧૭ ] फ्रिकन 鱸 竺 - . so নানাবর্ণের স্থাদি যোগে পুষ্প প্রভৃতির চিত্র অস্তি করাকে হিন্দি ও বাঙ্গালাভাষায় চিকণ, চিকণকারি ও চিক্ষণগাজি ৰলে । কাপড়ের উপর ফুলতোলা ও বুটা-তোলার নামও চিকণ । ভারতবর্ষ বহুপ্রাচীনকাল হইতে এই কার্য্যেয় জঙ্গ বিখ্যাত। গৰ্হিকুতা ও শুশ্নকার্ঘ্যে নৈপুণ্য থাকায় এদেশীয় লোকে অস্তি অঙ্গারাসেই চিকণ শিক্ষণ করিতে ও উহাতে নৈপুণাপ্রদর্শন করিতে পারে। সভ্য অসত্য পৃথিবীর সকল দেশেই চিকণ প্রচলন জাছে । সকল সুসভ্যদেশেই একটা উৎকৃষ্ট শিল্পের জঙ্গবোধে চিকণকাৰ্য শিক্ষা দেওয়া হয় । ইংলও, ফ্রাঙ্গ, জামেয়িকা প্রভৃতি স্থানে প্রাসাদস্থিত রাজকষ্ট হইতে ফুটৗরবাসিনী ধরিত্রবালিকা পর্যন্ত এই কার্য্য শিক্ষা করে। যাহা ইউক যদিও এক্ষণে মানারূপ যন্ত্রাদি পাহায্যে যুরোপে অতি অল্পসময়ে ও অল্পব্যয়ে বহুবিধ চিফণের কাজ করা বস্ত্রাদি প্রস্তুত হইতেছে, তথাপি প্রৰল প্রতিদ্বস্থিতার মধ্যেও আজ পর্য্যন্ত ঢাকার জামদানি, কাল্পচ প্রভৃতি প্রাধান্ত ও গৌরবরক্ষা করিতেছে। চীন, পারস্ত, তুর্কিস্থান ও ভারতবর্ষের চিকণ কাজ আজও যুরোপ প্রভৃতি সভ্যদেশে সাদরে বিক্রীত হইয়া থাকে । সচরাচর কাপাসস্থত্র, রেসম, উর্ণ অথবা স্বর্ণরৌপ্যাদির তার প্রভৃতিই এই কার্য্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। সুত্রাদি যথাসাধ্য সুরঞ্জিত করিয়া লইতে হয়। কখন কখন তৎসহ পক্ষীপতঙ্গাদির পালক, পরকল খও, চুমকি, প্রাণীদিগের নখকেশাদি কিম্বা মুদ্রাদিও সংযোজিত হয় । ভিন্ন ভিন্ন জমির উপর ভিন্ন ভিন্ন সূত্রাদি দ্বারা কাজ করাতে উছাদের মামও ভিন্ন ভিন্ন হইয়া থাকে। যথা— কারচষ্ট্ৰ, জামদানি, কাল্পন, চারখানা, মুগা, কসিদ! ইত্যাদি । কাপীসবক্সের উপর সূত্র, হ্মেসম, উর্ণ অথবা স্বর্ণরৌপ্যাদির জরিদ্বারা ফুল তোলা হয়। রেসর্মী ও পসমী কাপড়ে কাপসিস্বত্র ব্যতীত ঐ সকল দ্রব্য রিও ফুচিকাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। স্বর্ণরৌপ্যাদির তার ও রেসমপূত্র জড়াইয়। একরূপ স্বত্র হয়, উহাকে চলিত ভাষায় “কালাবতুন" বলে। স্থচিকাৰ্য্যে ইহারই বেশী ব্যবহার। এইরূপে ধুতি, উড়ানি, পিন্ধান, জ্যাকেট, টুপি, কোট, চোগা, শাল, চাদয়, গদি ও বালিশ প্রভৃতির আবরণ অতি সুন্দরস্কপে ও আশ্চৰ্য্য নৈপুণ্য সহকারে নানাবর্ণের পত্র-পুষ্পজীবাদির প্রতিকৃতি দ্বার। শোভিত হয় । রাজা ও ঐশ্বৰ্য্যশালী ব্যক্তিগণ ঐ সকল বহুমূল্য পরিচ্ছদ ব্যবহার করেন ও মহা আড়ম্বরযুক্ত জাসবাবের জন্ত রাখিয়া দেন। কেহ কেহ বহু সহস্ৰ ষ্টাকী