পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छशनै* उकलिकांद्र মৰীপে জগদীশের বংশধরেরা আজিও বর্তমান আছেন, পুরুষ গণনার জগদীশ হইতে এখন ১৯১১ পুরুষ পাওয়া যায় । ইহাতে র্তাহাকে ৩০ • বৎসরের পূৰ্ব্ববর্তী বলিতে কোন আপত্তি হইতে পারে না । জগদীশের পিতার নাম যাদবচন্দ্র বিস্তাবাগীশ । ইহার পাশ্চাত্য বৈদিক শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। যাদব একজন প্রধান নৈয়ায়িক ছিলেন, তাহার পাঁচপুত্র, তন্মধ্যে জগদীশ তৃতীয় । যখন জগদীশের বয়স ৫৭ বৎসর, তখন তাহার পিতৃবিয়োগ হয় । জগদীশ বালককালে অত্যন্ত দুষ্ট স্বভাব ছিলেন, পিতৃবিয়োগে তাছার বৃত্তত আরও বাড়িয়া উঠিল। তাহার জ্যেষ্ঠ ষষ্ঠদাস র্তাহাকে অনেক তিরস্কার করিতেন, কিন্তু জগদীশ তাহাকে বড় একটা গ্রাহ করিতেন না। দুবৃত্ততার মধ্যে পক্ষিশাবক ধরা একটা প্রধান রোগ ছিল। কোন এক দিন জগদীশ পক্ষিশবিক পাড়িবার মানসে এক প্রকাগু তালগাছে আরোহণ করিয়া ছানা বাহির করিবার জন্ত পার্থীর বাসায় হাত ঢুকাইয়া দিলে এক প্রকাও সর্প ফণা বিস্তার করিয়া তাহাকে দংশন করিতে উদ্যত হইল। এই আকস্মিক বিপদে জগদীশ বিচলিত হইলেন না, আর কোন উপায় না দেখিয়া দৃঢ়মুষ্টিতে সৰ্পের মুখ চাপিয়া ধরিলেন। তখন সাপও লেজ দিয়া তাহার হাত জড়াইয়া ধরিল ; কিন্তু জগদীশ ইহাতেও ভীত হইলেন না । তালবৃক্ষের ধারাল প্রান্তে ঘর্ষণ করিয়া সাপের গলা কাটিয়া মুখটকে দূরে নিক্ষেপ করিলেন এবং অক্ষতশরীরে বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিলেন । এক জন সন্ন্যাসী জগদীশের অসাধারণ সাহস ও তীক্ষ্ণবুদ্ধির এইরূপ পরিচয় পাইয় তাহাকে নিকটে ডাকিয়া অনেক উপদেশ দিতে লাগিলেন । জগদীশও এই বিপদের সময়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞ করিয়া ছিলেন যে, এ যাত্রায় রক্ষা পাইলে এমন কাৰ্য্য আর কখনও করিবেন না, এখন সন্ন্যাসীর কথায় তাহার নিকটে অধ্যয়ন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। জগদীশ যখন অধ্যয়নে প্রবৃত্ত হন, তখন তাহার বয়স অষ্টাদশ বৎসর। এখনও তাছার বর্ণপরিচয় হয় নাই। জগদীশ প্রগাঢ় পরিশ্রমে দিবারাত্রি অবিশ্রান্ত অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন এবং অতি অল্পকাল মধ্যেই ব্যাকরণ ও কাব্যাদি পাঠ সমাপ্ত করিলেন। এই সময়ে জগদীশ অকুল দুঃখসাগরে ভাসমান, রাত্রিতে তৈলাভাবে তাহার পাঠ হইত না। তজ্জন্তু তিনি বাশের পাতা জালিয় তাহার আলোকে অধ্যয়ন করিতেন । এইরূপ দুঃখে পড়িয়াও জগদীশ অধ্যরন পরিত্যাগ করেন নাই, সৰ্ব্বদাই অবিচলিত অধ্যবসায়ে অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন । [ 6 &t | জগদীশ তর্কালঙ্কার কাব্যাদি পাঠ শেষ হইলে সুপ্রসিদ্ধ অধ্যাপক ভবানন্দ निकांखबाणैरभद्र हङ्कणा?ीरउ छांद्र अशाब्रन काञ्चन। डिनि আপনার প্রতিভাবলে অল্পকাল মধ্যেই সমস্ত গুয়িশাস্ত্র অধ্যয়নে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়া চতুষ্পাঠীর মধ্যে সৰ্ব্ব প্রধান হইয়া উঠিলেন। এই চতুষ্পাঠীতে পাঠ সমাপ্ত করিয়া জগদীশ সিদ্ধাস্তবাগীশ কর্তৃক তর্কালঙ্কার উপাধি প্রাপ্ত হইলেন । তিনি নবদ্বীপে একটা চতুষ্পাঠী খুলিতে ইচ্ছা করেন, কিন্তু অর্থাভাবে কিছুদিন তাহার সেই বাসনা পূর্ণ হয় নাই। পরে গ্রামস্থ লোকের সাহায্যে তাহার চতুষ্পাঠী স্থাপিত হয় । অরদিন মধ্যেই তাহার চতুষ্পাঠী জম্‌কাই উঠিল, দেশ বিদেশ হইতে অসংখ্য ছাত্র আসিয় তাহার চতুষ্পাঠী পূর্ণ করিল। তাহার পূৰ্ব্বে দীধিতিগ্রন্থ অনেক স্থলে অনেকেই হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিত না, এই কারণে অধ্যয়নের ব্যাঘাত হইত । জগদীশ সেই অভাব পূরণ করিবার জন্য দীধিতির টীকা রচনা করেন । তৎকৃত অনুমানদীধিতি টকার মঙ্গলাচরণ শ্লোক এই— “প্রাচ্যৈরঙ্কুচিতবিবিধক্ষেদৈঃ কলুষীরুতোহ ধুনা । দীধিতিযুতমণিবেষ শ্ৰীজগদীশ প্রকাশিত ফরতু।” লোকপরম্পরায় শুনিতে পাওয়া যায় যে, এই সময়ে জগদীশ অর্থাভাব পূরণ করিবার জন্ত ৩৬০ ঘর শূদ্র শিষ্য করেন । জগদীশ যথাক্রমে অনুমানদীধিতির তক, সামান্তাভাব, ব্যপ্ত্যমুগম, সিংহব্যাক্স, পক্ষতা, উপাধিবাদ, টিপ্পনী এবং বাপ্তাহমানদীধিতির অনুমিতি, ব্যাপ্তিপঞ্চক, সিংহবাস্ত্রী, পূৰ্ব্বপক্ষ, সিদ্ধাস্তলক্ষণ, ব্যধিকরণ ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্নাভাব, অবচ্ছেদক নিরুক্তি, বিশেষ নিরুক্তি বা ব্যাপ্তিগ্রহোপায়, অতএব চতুষ্ঠয়তর্ক, সামান্ত লক্ষণ, সামান্তাভাব, পক্ষতা, পরামর্শ, কেবলম্বী, কেবলব্যতিরেকী, অস্বয়ব্যতিরেকী, বাধ, অসিদ্ধি, সংপ্রতিপক্ষ, ব্যাপ্ত্যমুগম, অনুপসংহারী, অবয়ব, হেত্বাভাষ, সাধারণ, সব্যভিচার প্রভৃতি, দীধিতিপ্রকাশিকার টপ্পনী, গঙ্গেশোপাধ্যায় কৃত অনুমানময়ুৰ্থ গ্রন্থের ভাষ্য, প্রশস্তপাদ আচার্য্যের কৃত বৈশেষিক স্বত্রের দ্রব্যভাস্থ্যের টিপ্পনী, শিরোমণি কৃত ন্যায়লীলাবতী প্রকাশ-দীধিতি গ্রন্থের টীকা ও শৰাশক্তিপ্রকাশিকা রচনা করিয়া ন্যায়জগতে অসাধারণ কীৰ্ত্তিলাভ করিলেন । ইহা ছাড়া ইহার কৃত তর্কামৃত গ্রন্থ এবং রহস্তপ্রকাশ নামে কাব্যপ্রকাশের একখানি টীকা পাওয়া যায় । নবীপের পণ্ডিত হরিনাথ তর্কসিদ্ধান্তের ঘরে হস্তলিথিত একখানি “কাব্যপ্রকাশ রহস্তপ্রকাশ” আছে। পুথির শেষে লেখকের বাক্যানুসারে জানা যায় যে ১৫৭৯ শকে ঐ পুস্তক লিখিত হয় এবং সই সেময় পৰ্য্যন্ত জগদীশ তর্কালঙ্কার জীবিত