পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জঙ্গম জঙ্গম পুরুষমাত্রেই গায়ে বিভূতি, কণ্ঠে রুদ্রাক্ষ ও চোক৷ ৰূপায় ডিব এবং লিঙ্গ রাখিবার একটা গুদগুদগী বা গোলাফার রূপার কৌট ধারণ করে। স্ত্রীলোকের সকল প্রকার অলঙ্কার পরে। জঙ্গমের সাধারণতঃ নম্র, সংপ্রকৃতি ও আতিখেদ ।. শাস্তিস্বস্ত্যয়ন, স্নানাহিক, লিঙ্গোপাসন, সাধারণ লিঙ্গারতের মিকট পূজাগ্রহণ, সাধারণকে শাস্ত্রীয় উপদেশ প্রদান ইত্যাদি জঙ্গমদিগের বিশেষতঃ বিরক্ত ও পটুদয়দিগের উপজীবিক। হাল-কণাঞ্জা ভাষায় লিখিত বাসবপুরাণ ও চেনবাসবপুরাণই তাহাদের প্রধান শাস্ত্রীয় গ্রন্থ, ইহাতে জঙ্গম গুরু ও সাধুদিগের উপাখ্যান বর্ণিত আছে । জঙ্গমের হিন্দু হইলেও বিষ্ণু, রাম, কৃষ্ণ প্রভৃতি অপরাপর দেবতার উপাসনা করে না অথবা অপর কোন ব্রাহ্মণকে সন্মান করে না । উলবী ও শ্রীশৈলই ইহাদের প্রধান পুণ্যক্ষেত্র। চিত্তলচুর্গে মাৰ্গস্বামী নামে জঙ্গমদিগের প্রধান আচাৰ্য্য বাস করিয়া থাকেন । অপরাপর ব্রাহ্মণের দ্যায় জঙ্গমের সকল সংস্কার করে না । সস্তান প্রসুত হইবামাত্র নাড়ীকাটা হয়, একজন জঙ্গম পুরোহিত আসিয়া আঁতুড়ঘরে গিয়া বসেন । তাহার পাদধৌত ধূল-পাদোদক সকলের মাথায় ও গৃহচত্বরে ছড়াইয়া সকলে পরিশুদ্ধ হয়। তৎপরে পুরোহিতের পাদপুজা, লিঙ্গপুজা, করুণবারি পান প্রভৃতি আয়ুষ্ঠানিক কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় । তৎপরে পুরোহিত একটা নব পাষাণ-লিঙ্গ লইয়া দুই এক মিনিটের জন্ত নবজাত শিশুর গলায় ঠেকাইয়া প্রস্থতির গলায় বাধিয়া দেন এবং পুরোহিত এই বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করেন যেন শিশু বড় হইয়া ঐ লিঙ্গ ধারণে উপযুক্ত হয় । তৎপরে পুরোহিত আপনার পাওনা লইয়া বিদায় হয়। পঞ্চমদিনে রাত্রিকালে অন্নাদি উৎসর্গ করিয়া ষষ্ঠদেবীর পূজা করা হয় । লিঙ্গায়তের বলে এ প্রথা তাহদের ছিল না । অপর হিন্দুর অমুকরণে এখন প্রচলিত হইয়াছে। ত্রয়োদশ দিনে পুরোহিত আসিয়া ধূলপাদোদক ও করুণ-বারি প্রদানাস্তে সস্তানের নামকরণ করেন । এই দিন সন্ধ্যাকালে পাচজন সধবা মাসিয়া শিশুকে দোলায় স্থাপন করে । এই দিন অভ্যাগতদিগকে পাণ মুপারি দেওয়া হয় । মাসের ছুই এক দিন থাকিতে আত্মীয় রমণীগণ প্রস্থতিকে নদী বা কোন পুষ্করিণীতীরে লইয়া যায়। এখানে সিন্দুর ও হলুদ দিয়া জলদেবের পুজা করিয়া গ্রন্থতি এক কলসী জল কক্ষে ভাইরা ফিরিয়া আসে। এক বর্ষ হইলে বালকের চুড়াকরণ झ्छ । ५ नमुद्र পুরোহিত আসিয়া দুইটী পাণ ফাচির মত ऊँॉस्त्र Yi >Q 8 ( ఆలీ } खङ्गम ஆம் করিয়া বালকের চুলে ঠেকায়, তৎপরে মাপিত আলিয়া মুড়াইয়া দেয়, ইহাকে জঙ্গমের সদি-কত্রি-লোশ বলে । বালকের যে কোন অযুগ্ম বর্ষে চুড়াকরণ হইতে পারে, কিন্তু কম্ভার পাচ বর্ষের পর চুড়াকরণ হয় না । কোন কোন জঙ্গম বলেন যে, পঁচিবর্ষে কষ্ঠার চুল বড় হইলে কাটিয়া দিতে হয়। তাহাদের বিশ্বাস যে ঋতুকালে ঐ চুল ঠেকিলে নবজাত শিশুর কোন পীড়া হইতে পারে। দশমবর্ষে জঙ্গমবালকের উপনয়ন হইয়া থাকে । বর ও কন্যাপক্ষের এক গোত্র অথবা এক গুরু হইলে বিবাহ হইতে পারে না । বিবাহের সময় আচাৰ্য আসিয়া বরকস্তার কোষ্ঠী মিলাইয়া দেখে । কোষ্ঠী মিলিলে শুভদিনে পুরোহিত, আত্মীয় কুটুম্ব ও পাচজন সধবা স্ত্রীলোকের সমক্ষে বিবাছের দিন ধার্য্য হয় । পাণ-বিতরণ ও বরপক্ষীয়দিগকে ভোজ দেওয়া হয় । বিবাহের পূর্বদিনে কষ্টকর্তা বরের বাড়ীতে দুই খণ্ড জামার কাপড়, ৫টা পাণ, ৫টা সুপারি, ৫ সের চাউল, ৫টি নেবু, ৫ খানি হলুদ ও ৫ট চাপ গুড় পাঠাইয়৷ দেন ও তাহার গৃহে আসিয়া কষ্ঠার পাণিগ্রহণ করিবার জন্তু লিখিয়া পাঠান । বিবাহের সময় ইহাদের মধ্যে হলুদের ছড়াছড়ি খুব বেশী। বরের বাড়ী অপর গ্রামে হইলে, বরযাত্রীগণ কছার গ্রামে আসিয়া পৌছিলে কছাপক্ষীয়গণ মহা সমারোহ করিয়া কিছুদূর পথ হইতে অভ্যর্থনা করিয়া লইয়া আসে । বরযাত্রদিগের থাকিবীর জন্ত একটা ভাল ঘর ঠিক করা থাকে । এখানে বর আসিয়া উপস্থিত হইলে কষ্ঠাপক্ষীয়েরা পাচটা মঙ্গলীভাড় পূজা করিয়া বর যে বাড়ীতে উপস্থিত হয়, কস্তাকে তথায় লইয়া মাসে । বর কম্ভা উভয়ে একখানি চৌকির উপর বসিতে পায়, পাচজন সধবা উভয়কে উত্তমরূপে তৈলহরিদ্র। লেপন করে । পরে তাহীদের চারিদিকে এলণ্ডুত ঘেরিয়া দেয় । তার পর বর ও কষ্ঠ উড়য়ে কস্তার বাড়ীতে আসিয়া প্রথমে পুরোহিতের পদধৌত করুণ-বারি পান করে । পরদিন বরকভা উভয়ে আবার রীতিমত হলুদ মাখে ও করুণ-বারি পান করে। পরে নব দম্পতি বরের বাড়ীতে আগমন করে । এই সঙ্গে কম্ভাকৰ্ত্ত। পাণ সুপারি ও কাপড়াদি পঠাইয়া দেন । এ সময়ে বর ও কস্তার উড়য়ের বাড়ীতেই লিঙ্গপুঞ্জ ও লিঙ্গায়ত-মন্দিরে মাটর দীপ দিয়া “গুগল” নামক উৎসব করে । পরদিন সধবার বরকস্তাকে আবার তৈল-হরিদ্র। মাখাইয়া থাকে । কস্তাপক্ষীয়গণ বরের বাড়ীতে গিয়া পকান্ন জাহার করে, বরকেও তাছার কিছু কিছু থাইতে