রঘুনাথপুরম [ 585 J রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী মালা গ্রন্থ ( স্তবাবণাগ্রন্থ ), সংস্কৃত দানচরিত ও মুক্তচরিত । গ্রন্থ রচনা করেন । এই স্থানে থাকিয়াই তিনি বঙ্গভাষায় কয়েকট পদ রচনা করিয়া বঙ্গ ভাষার গৌরব বৃদ্ধি কfরয়। গিয়াছেন । - বৃন্দাবনে শ্রীরূপাদির অন্তৰ্দ্ধানে রঘুনাথ অতি ব্যথিত হন, তখন তিনি চারিদিক্ শুষ্ঠ দেখিতেন, তিনি লিখিয়াছেন— “শুষ্ঠায়তে মহাগোষ্ঠং গিরীদ্রোহ জগরায়তে । ব্যাঘ্ৰ তুওয়তে কুণ্ডং বাবাতুরহিতস্ত মে ॥” ইত্যাদি। তাহার তখনকার অবস্থা কর্ণানন্দের নিম্নলিখিত দুট ছত্রে প্রকাশিত আছে ; যথা—
- বড়ষ্ট বিয়োগে গোসাঞির কাতর আস্তর । কি রূপে দেহত্যাগ, ইহা ভাবে নিরস্তুর ॥” রঘুনাথ শেষাবস্থায় নীলাচলে আসিলেন । তাহার নীলাচল-লীবন তৈলহীন প্রদাপের ন্যায়—মনে স্ফক্তিমাত্র
ছিল না ; এখানে আশ্বিনী শুক্ল দ্বাদশ তিথিত্তে তিনি দেহ ত্যাগ করেন । রঘুনাথ দাস গোস্বামী, গুণলেশমুখদ, মনঃশিক্ষা ও মু রাধলী নামক গ্রন্থ ত্রয় প্রণে তা । রঘুনাথ দীক্ষিত, আশ্বলায়নগৃহকারিকা-রচয়িত । ২ কবীন্দ্রচন্দ্রেদয়োদ্ধত জনৈক কবি। রঘুনাথ পণ্ডিত, কৃষ্ণপ্ৰেমতরঙ্গিণী নামক ভাগবতের অম্বু 3. বাদক । ইহার উপাধি ভাগবতাচাৰ্য্য । ইনি গদাধর পণ্ডিতের । শিষা, ষোড়শ শতাদের পুরভাগে এই ভাগবত মুবাদ প্রচার করেন। ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে বিরচিত কবিকণপূরের গেীরগণে|দেশদীপিকায় এই পুস্তকের উল্লেখ আছে । অতুবাদ প্রায় ২০ হাজার শ্লোকে পূর্ণ । রঘুনাথ পণ্ডিত, রাজকোষনিঘণ্ট, বা রাজব্যবহারকোষ নামক অভিধান প্রণে ষ্টা । ইহার পিতার নাম নারায়ণ । ইনি মহারাষ্ট্র কেশরী শিবাজীর ( ১৬৬৪-৮ • খু: ) প্রধান মন্ত্রী ছিলেন । রঘুনাথপুর, বাঙ্গালার মানভূম জেলার অন্তর্গত একটা মংকুমা। গৌরাঙ্গডিছি হইতে ৮ মাইল পশ্চিমে রঘুনাথপুরের বনরাজি সমাবৃত গণ্ডশৈলমালা দৃষ্টিগোচর হয়। উঠা সমুদ্রপৃষ্ঠ চষ্টতে ১ হাজার ফিট উচ্চ । উচ্চার তিনট শৃঙ্গ এরূপ সোজা উঠিয়াছে যে, তাহাষ্ঠে সঙ্কজে আরোঙ্কণ করা দুঃসাধ্য। রঘুনাথপুর, বাঙ্গালার ২৪ পরগণার অন্তর্গত একটী গ গুগ্ৰাম । রঘুনাথপুরম । মাম্রাজ প্রেসিডেন্সীর গঞ্জাম জেলার অন্তর্গত একটা নগর। অক্ষা ১৯৪৩৪ - উঃ এষং ৮৪°৪১' পূঃ । XVI - র ठू | | ·ළුණූ এই স্থানে অবস্থানকালে রঘুনাথ স্বীয় অপুৰ্ব্ব সংস্কৃত স্তব রঘুনাথ ভট্ট, ১ স্থতির নামক গ্রন্থ প্রণেতা। ২ যাজ্ঞবল্কা স্মৃতিটাকা-রচয়িত । মণি প্রদীপ নামক জ্যোতিগ্রস্থসঙ্কলয়িত।। ৪ গোবিন্দলীলামৃত নামক গ্রন্থ কওঁ । ৪ গোত্রপ্রবরনির্ণয়-রচয়িত । ঘুনাথ ভট্ট গুর্জর, জনৈক কবি। কবীন্দ্ৰচঞ্জোদয়ে ইহার পরিচয় পাওয়া যায়। ঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী, গৌরাঙ্গ প্রবর্তিত "ছয় গোস্বামীর অনুতম। বৈষ্ণবসমাজে এই ছয় জন "সাধারণ গুরু" বলিয়। কথিত । ইছারা বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচারকল্পে বহুসংখ্যক বৈষ্ণব গ্রন্থ প্রকাশিত করেন । এই ছয় গোস্বামীর যত্নেহ বৃন্দাবনধাম প্রকাশ ও চতুরশীতি বন-নিৰ্ণয় সাধিত হইয়াছিল। পদ্মানদীর তীরবর্তী রামপুর গ্রামে তপন মিশ্র নামে জনৈক সাধুত্তম বাস করিতেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু পূৰ্ব্ববঙ্গ ভ্রমণে মাসিয়া তপনমিশ্রের সহিত মিলিত হন । তিনি তপনমিশ্রকে সাধjসাধনতত্ত্ব শিক্ষা দিয়াছিলেন । সহিত নবদ্বীপে আসিতে চাহিলে তিমি র্তাহাকে বারাণসী যা তে আদেশ করেন এবং *তথায় আমার সঙ্গে মিলন হু চবে” এই রূপ আশ্বাস দেন । তদনুসারে তপন সস্ত্রীক বারাণসী যা । করেন । আঠুমানিক ১৪২৭ শকে তপনমিশ্রের এক পুত্র জন্মে। তাহারই নাম রঘুনাথ, পরে তিনি ভট্ট গোস্বামী উপাধিতে বৈষ্ণবসমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন । শ্ৰীমহা প্ৰভু সন্ন্যামগ্ৰহণাস্তর যখন বৃন্দাবন যাত্র করেন, তখন তিনি বারাণসীধামে উপস্থিত হং য়। তপনমিশ্রের গুহে অবস্থান ও আহারাদ করিয়tছলেন, তপনের পুত্র রঘুনাথ J তপন প্রভুর তখন যথাসাধ্য মহা প্রভুর সেবা শুশ্ৰiযা করিতেন । শ্ৰীমহা প্রভু নীলাচলে প্রত্যাগমন করিলে রঘুনাথ ভট্ট নীলাচলে আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন । তিনি নীলাচলে আটমাস কাল থাকিয়া প্রভুর লীলা প্রত্যক্ষ করেন, অর্থাৎ বৈষ্ণবধৰ্ম্মে বিশেষ অভিজ্ঞত লাভ করেন । রঘুনাথ পাক কাৰ্য্যে সুদক্ষ ছিলেন ; নীলাচলে তিনি স্বয়ং পাক করিয়া মহা প্রভুকে খাওয়াইতেন ; রঘুনাথের পাক পারিপাট্যের কথা বৈষ্ণব গ্রস্থাদিতে বিস্তুত রচিয়াছে । নীলাচল হইতে রঘুনাথ কাশ্য ফিরিয়া আসিতে চাঙ্গিলে প্রভু কৃপা পরবশ হষ্টয় তাহাকে এই উপদেশ বা আদেশ দান করিয়াছিলেন । “অষ্টমাস রহি প্ৰভু ভট্টে বিদায় দিল । বিবাহ না করিহ বলি নিষেধ করিল ॥ বৃদ্ধ পিতা মাত। যাই করই সেবন । বৈঞ্চব পাশ ভাগবত কর মধ্যয়ন ॥