পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গালয় (যুরোপীয় ) [ s७७ ] রঙ্গালয় (য়রোপীয় ) আসিয়৷ নানা প্রকার সঙ্গীত, ভূবিভাব ও অঙ্গ সঞ্চালনাদি দ্বারা শ্রাস্ত কৃষক বুনের মনে শাস্তিদান করিতে চেষ্ট পাইত । তাঙ্কার। আপনাদের কৃতকার্য্যের বিনিময়ে যে ধাপ্তাদি লাভ করিত, তত্ত্বারাহ জীবিকা নিৰ্ব্বাহ কল্পিত । এই সম্প্রদায় Ministrels নামে অভিহিত । গ্রীক কলি হেরেশ ( খৃঃ পূঃ ৬৫ ) লিখিয়াছেন, সেই প্রাচীন সময়ে কোন প্রকার রঙ্গালয় ছিল না । অধ্যক্ষগণ গোরুর গাড়ীতে চড়াইয়। আপনাপন দলকে গ্রামের সকল অশেই ঘুরাইয়া আনিতেন। থেসপিয, মামক জনৈক গ্ৰীক বাসী প্রথমে ঐ গাড়ীতে বাস্তাদি যোগে যুদ্ধের গান গাইবার প্রথা আবিষ্কার করেন । সেই সঙ্গে নানা প্রকার অঙ্গভঙ্গীও দেখান হইত। মানব যখন অপেক্ষাকৃত সভ্য হইল ; নগর, উপনগরাদির শোভা দিগঙ্ক ব্যাপিয়া পড়িল, বাসোপবেগী মুন্দর সুন্দর অটুচিকাদি ওস্তুত হইল, তখন আমোদের জন্ত স্থায়ী নাট্যশালা স্থাপনের স্বচনা ঘটিল। পাশ্চাত্য জগতের প্রাচীনতম সভ্য ওীক ও তৎপরবর্তী রোমক জtতির মধ্যে সোপানবিলম্বিভ রঙ্গালয় গঠিত হইয়াছিল। তৎকালে অভিনেতৃগণ অঙ্গে বস্ত্রাদি জড়াইয়া দেখের খুষ্ঠত দেখাইত, মুখে প্রকাও মুখোধ এবং পায়ে খুব উচু গোড়াণী ওয়াল জুতা পরিয়া প্রায়ই অভিনয় করিত। অভিনয়ারস্তের পুবে.এক দল গায়ক দুই একটা গান গাষ্টয়া অভিনেয় বিষয়ের স্থল বৃত্তান্ত দর্শককে জানাইয়ু দিত।* নাট্যশাস্ত্ৰবিং পণ্ডিতগণের মতে, গান গাইবার প্রথা হইত্তেই প্ৰথমে গীতিনাট্যের উৎপত্তি হইয়াfছল। নাটক কারগণ তখন স্বাধীন ভুবে গ্রন্থ রচনা করিতে পারিতেন না, তাহদের কতকগুলি নিয়মাধীনে কাৰ্য্য করিতে হইত। কোন ঘটনার দ্বাদশ বৎসর পরবর্তী ঘটনার সহিত সংযোগ ক্ষমতা তাহার ছিল না । ইচ্ছা করিলেই যে তিনি শত যোজন বাবধানে দর্শক বুন্দকে লইয়া যাইবেন, এরূপ শক্তি র্তাহার ছিল না । করুণ রসাত্মক বা বিয়োগাস্ত নাটকেও তিনি স্থান বিশেষে হাস্ত রসের অবতারণা করিতে পারিতেন না । এঠ. রূপ কোন কারণেই বোধ হয়, গ্রীক রঙ্গালয়ে বিয়োগান্ত (Tragedy) নাটক ভিন্ন, মিলনান্ত নাটকের অভিনয়কালে গ্রীক রমণীগণের রঙ্গালয়ে প্রবেশের অধিকার ছিল না । গ্রীসের গৌরব রবি অস্তমিত হইলে রোমের অভু্যদয় হয় ;

  • সংস্কৃত নাটকের আরম্ভে নাঙ্গাঙ্কে, নট ও মটা শ্রোতৃবর্গকে তাহদের অভিনেয় বিষয় জানাইয়৷ দ্বিত । কালিদাস প্রভৃতি প্রাচীন নাটককারগণও বহুপুৰ্ব্বকাল হইতে এই পথাবলম্বী আছেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় রোমের প্রভূত্বকালে নাট্যশালায় বিশেষ কোন উন্নতি সাধিত হয় নাই। যুদ্ধপ্রিয় নি, প্রকৃতি রোমকগণ নাটকাভিনয়ে বিশেষ পরিতৃপ্তি লাভ করিতে পারেন নাই । তাহারা পশ্বাদির যুদ্ধ ও প্রাণঘাতক মল্লদের যুদ্ধ সন্দর্শন করিয়৷ আমোদ লাভ করিতেন। সন্ত্র। স্তু ব্যক্তিগণের দৃষ্টি যে দিকে, সাধারণের উৎসাহও সেই দিকে। কাজে কাজেই স্বাধীন ভাবে নাটক রচনা ও তাহার অভিনয় বিষয়ে কাহার ও আগ্রহ ছিল না। যে দুই একখানি পুস্তকের অভিনয় হইয়াছিল, তাহা ও গ্রীক রচনাপদ্ধতির ছায়া লষ্টয়া গঠিত হয় । নাটক গুলির অভিনয় সাধারণের মনোমত হইতেছেন। দেখিয়। নাট্যশালার অধ্যক্ষ গণ ক্রমশ: রঙ্গমঞ্চে মল্ল দ্ব, সিংহ • ব্যাস্ত্রাদি হিংস্র বস্ত জস্তগণের সহি মনুষ্যগণের যুদ্ধ প্রভৃতি সুরুচিৰিক্লদ্ধ ও বীভৎস রসের অবতারণা করিয়া রোমক-রঙ্গালয় কলঙ্কিত করিত। প্রায়ই এই রূপ ত্বণি ত আনন্দ উপভোগের জন্ত একজন না একজন মনুষ্যকে কালক্রোড়শায়া হইতে হইত। এই বীভৎস মামোদ ছাড়িয়। রোমকগণ পবিত্র কাব্যরস অtশ্বাদনে স্বীকৃত হয় নাই । এই প্রকার পশু সদৃশ ও লোমহর্ষণ দৃপ্ত দেখিতে দেখিতে রোমকদিগের মানসিক স্বকোমল বৃত্তিসমুহ ক্রমেই কলুষিত হইয়া পড়িতেছিল। তাছার পরিণামফলে রোমক জাতির নৈতিক ठ१छ। ८*ा5नौभ्रं श्ग्रा शैक्लिाइंग्रा छूिल । যথন রোমক রঙ্গমঞ্চসমূহে এই সকল কুৎসিত কামোর অনিবাৰ্য্য স্রোত প্রবাহিত ছিল, তখন যীশু খৃষ্ট কর্তৃক নুতন খৃষ্টান্‌ মত প্রচারিত হয়। নাট্যশালাসমূহ এই নবপ্রচারিত খৃষ্টান ধরে ধিনয়নে পতিত হইয়াছিল। উক্ত ধরে বহুল প্রচারের সহিত নাট্যাগারেরও অবনতি ঘটিতে থাকে । খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মযাজকের নাট্যমঞ্চকে পাপের কেন্দ্র’ এবং তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাত্রকেই মূৰ্ত্তিমান কদাচার বলিয়া ঘোষণ। করিলেন। তাছাদের অধ্যবসায় ও বক্তৃষ্ঠাগুণে ক্রমেই লোকে নাটক ও নাটকাভিনয়ের প্রতি বীতরাগ হইয়া পড়িল । অভিনেতা ও অভিনেত্রীগণ এবং নাট্যালয়ের অধ্যক্ষের সাধ1. রণের নিকট ছেয় বলিয়৷ বিবেচিত হইয়াছিল। এমন কি, বিগত শতাব্দীর শেষভাগেও রোমান্‌-কাথলিক পুরোহিতমণ্ডলী বিধেবশে भूङ अछित्नड श। अडिएनडौंभिन्न শবদেহ সাধারণ সমাধিক্ষেরে প্রোথিত করিড়ে দিতেন না । এমন কি, এই সভ্যতা প্রধান যুগে ও ধৰ্ম্মগ্রাণ হিন্দু বা খৃষ্টানদিগের মধ্যে অনেকেই ধৰ্ম্মনাশের ভয়ে বেশু-সংশ্লিষ্ট রঙ্গালয়ে अभन कब्रिट्ठ दू%िङ श्न ।