পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রস [ २१> ] রস “জীয়ান্তন্মন ভূত্বা পূৰ্ব্বং তু মধুরং রসং । “মধ্যেইমলবণে পশ্চাৎ কটুতিক্তকধায়কাল। ফলাস্কাদে সমপ্লয়াদাড়িমানি বুদ্ধিমান ॥” (ভাবপ্রকাশ) ভোজনকালে তন্মন হইয়া প্রথমে মধুর রস পরে অন্ন ও লবণরস ; তৎপরে কটু, তিক্ত ও কষায় রস ভোজন করা বিধেয় । ২ শরীরস্থ ধাতুবিশেষ। রসধাতু, পৰ্য্যায়—রসিক, ঙ্গেদ মাতা, বপুঃশ্রব, চৰ্ম্মান্তঃ, চৰ্ম্মসার, রক্তসার, অস্ত্ৰমাতৃক, আহারসম্ভব, তেজ:সম্ভব, অগ্নিসম্ভবন, ষড় রসালব, আত্ৰেয়, অস্থঙ্কর, ধাতুঘন, মুলমহাপর । ( হেম ) জীব যে মধুরাদি রস ভক্ষণ করে, তাহা পরিপাক হইয়া রস ধাতুতে পরিণত হয়। ভাবপ্রকাশে ই হার বিষয় এইরূপ ভিহিত হইয়াছে। রসের নিরুক্তি ও স্বরূপ-- গভ্যর্থরসধাত্বর্থস্ততোং ভবদয়ং রসঃ । সদৈব সকলং দেহং রসঙ্গীতি রস: স্মৃত: | সম্যক পৰ্যন্ত ভূক্তস্ত সারে নিগদিতে রমঃ। স তু দ্রব্য: পিভ: শীত: স্বাদুঃ স্নিগ্ধশ্চলে ভবেৎ “(ভাবপ্র) গত্যৰ্থবাধক রস ধাতু হইতে রস এই শব্দ নিম্পন্ন হষ্টয়াছে। এই রস সৰ্ব্বদ। সমস্ত শরীরে বিচরণ করে, এই জন্য ইহাকে রস কহে। ভুক্ত দ্রব্য সম্যক্ পরিপক্ক হইয়া যে সারভাগ উৎপন্ন হয়, তাছাকে রস বলা যায়। এই রস দ্রবপদার্থ, শ্বেতবর্ণ, শীতল, মধুররম, স্নিগ্ধ ও গমনশীল ङ्हेम्न श्रीप्टक । রসের অবস্থিতিস্থান-রস সৰ্ব্বদেহচারী হইলে ও হৃদয়ই ইহার বিশেষ স্থান, যে হেতু এই রস সমান বায়ুকর্তৃক প্রথমতঃ হৃদয়দেশেই নীত হইয়া থাকে । রসের কার্য্য—এই রস হৃদয়গম্ভ হইলে তত্রত রসবাহিনী ধমনী প্রাপ্ত হইয়া সমস্ত ধাতু পোষণ করে, তদনন্তর স্বকীয় গুণদ্বারা সৰ্ব্বশরীরে ব্যাপ্ত হইয় থাকে জঠরাগ্নির মন্দ্যিতাপ্রযুক্ত জাহারীয় সামগ্ৰী বিদগ্ধ পাক হইয়া যদি তজ্জাত রস কটু বা অন্নভাবাপন্ন হয়, তাহা হইলে সেই রস বিষ তুল্য কার্য্যকারী কইয়৷ বহুবিধ রোগ উৎপাদন করিয়া থাকে । পরিপক্ক আহারের সারাংশ রস বলিয়। কথিত হয়, এবং অবশিষ্ট গ্রহণীনাষ্ট্ৰীস্থ দ্রবরূপী মলভাগের জলীয় অংশ মুত্রবাহিনী শিয়াসমূহ দ্বারা বস্ত্যাশয়ে নীত হইয়া মুত্ররূপে পরিণত হয় এবং অবশিষ্ট ষে মলভাগ থাকে, তাহ! বিষ্ঠা হয়। এই বিষ্ঠা সমান বায়ু কর্তৃক চালিত হইয়৷ মলাশয়ে যাইয় অবস্থিতি করে। আস্থায় জাত স্নল সমান বায়ুষ্কর্তৃক চালিত হইয়। রসবাহিনী थममॆौ *षदांब्र! *न्नैौब्राङ्गलक झांब्रिब्रप्मब्र भयहिडिशम झनtब्र প্রবেশপূৰ্ব্বক ঐ স্থায়িয়সের সহিত সংযুক্ত হয়। রস তিনপ্রকারে বিভক্ত-স্থলভাগ, স্বল্পম্ভাগ ও মলভাগ। রস 4हे डिनधकारद्र दिङऊ श्हेब्र हूगङाश प्रकौब छांव श्रवणशन করে, স্বল্প ভাগ পরধাতুর পোষণ করে এবং মলভাগ তাহার মলত্ব প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ রস পরিপক্ক হইয় তাহার স্থলভাগ রগই থাকে, হুক্ষভাগ পরধাতুর রক্তের পোষণ করে এবং মলভাগ কফরাপে পরিণত হয়। এই রস তিন সহস্ৰ পঞ্চদশ কলা করিয়া এক এক ধাতুতে অবস্থান করে। বিংশতি কলাতে এক মুহূৰ্ত্ত অর্থাৎ দুই দও । ইছাতে ভোজের মত এই যে, আহারজাত রস ক্রমে পাচদিন পাচরাত্রি ও দেড়দও কালে রসাদি মজ্জা পৰ্য্যস্ত ধাতুর এক একটতে পরিণত হয় । ७झे बन जांदाग्न छूण ७ एक ठूहेडांtश विछख् । তন্মধ্যে স্থলভাগ শরীররেস্তুক স্থায়িরসের সহিত সংযুক্ত হইয়। তৎসদৃশ হয়। তৎপরে সর্বশরীরব্যাপী ব্যান বায়ুকর্তৃক চালিত হইয়। ধমনীপথে সঞ্চরণপূর্বক পোষণ, ম্লেছন, এবং : জঠরাগ্নির উত্মা জনিত সস্তাপ নিবারণ প্রভৃতি গুণদ্বারা সমস্ত শরীর পোষণ করে ; সুক্ষ্মভাগ প্রাণ বায়ুকর্তৃক গ্রেরিত হইয়া ধমনী পথদ্বারা শরীরারম্ভক রক্তের স্থান যকৃৎ প্লীহাতে গমন করিয়া স্থায়ী রক্তের সহিত মিশ্রিত হয়। তৎপরে ঐ স্থায়িরক্তস্থ তেজোম্বারা পুনর্বার পরিপাক হইতে থাকিয়া পাচদিন, পাচরাত্রি ও দেড়দণ্ড কালে রক্ত ধাতুতে পরিণত হয় । আহার জাত রস কেদারীকুলার স্তায়ে সমস্ত ধাতুতে পূরণ করিয়া একমাস নয়দও কাল পরে শুক্র ও আৰ্ত্তবরূপে পরিণত হয়। প্রথমে ‘রসাদবৈ শোণিতং জাতং রস হইতে রক্তের উৎপত্তি হয়, রক্ত উৎপত্তির পর রস হইতেই মাংস, মাংস উৎপত্তির পর রস হইতে মেদ, মেদ উৎপত্তির পর রস হষ্টতেই অস্তি, অস্থির পর রস হইতে মজ্জা এবং মজ্জার পর ঐ রস হইতে শুক্র উৎপত্তি হয় । রস শরীরে তিনপ্রকারে সঞ্চরণ করিয়া থাকে। “রসঃ শরীরে শঙ্কাৰ্চ্চিলসস্তানবৎ ত্রিধ । সঞ্চরত্যকুরূপোহয়ং নিত্যমেৰ হি দেহিনাম্ ॥"(ভাবপ্রকাশ) এই রস শাসন্তানবৎ, অর্চিসস্তানবৎ (অগ্নিশিখা-প্রবাহের gায় ) এবং জলসস্তানবৎ এই তিন প্রকারে দেহীদিগের দেহে সঞ্চরণ করিয়া থাকে । এই বচনের অভিপ্রায় এই যে, প্রাগিসকল তীক্ষাগ্নি, মধ্যারি ও মনাগ্নিবিশিষ্ট হইয়া থাকে। অতএব তীক্ষাগ্নিবিশিষ্ট্র ব্যক্তিগণের শরীরে শস্বসন্তানৰৎ শীঘ্রই সঞ্চরণ করে, মধ্যমাগ্লিবিশিষ্ট ব্যক্তিদিগের শরীরে অগ্নিশিখা-প্রবাহের স্থায়