পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযক্ষন বৈষ্ণবশাস্ত্র মতে, বিষ্ণুর শয়নাবস্থায় রাজমাঘ ভক্ষণ করিতে নাই, এই সময় ভক্ষণ করিলে চাওালত্বপ্রাপ্তি হয় । এই কালের মধ্যে কার্টিস মাসে বিশেষ নিষিদ্ধ। যদি কেহ কীৰ্ত্তিক মাসে রাজমাষ ভক্ষণ করে, তাহা হইলে প্রলয়কাগ পৰ্য্য ; তাহার নরক হহয়! থাকে । “নিম্পাবান রাজমষিাংশ্চ মুপ্তে দেবে জনাৰ্দ্দনে। ধে ভগ্নয়তি রাজেন্দ্র চাণ্ডালাদধিকো হি স: ॥ কাৰ্বিকে তু বিশেষেণ রাজমাষাংশ বর্জয়েং। নিম্পাবান মুনিশাল যাবদাহ শুনায়কী ” (তিথিতত্ত্ব) রাজমাম্য (ত্রি ) রাজমাধন্ত যোগ্যম্। রাজমাষচাষের উপযুক্ত । ब्रालभाषप्ञा't१म्न छूमि। রাজমুকুট, লঘু বটাকারচন্তি । রাজমুদগ (পুং ) মুদ্রগানাং রাজা, রাজদস্তাদিত্বাং পরনিপাত । মুকষ্টক, উত্তমমুগ ( হেম ) রাজমুনি (পুং ) রাজ চাপে মুনিশ্চেতি। রাজর্ষি। রাজমৃগাঙ্করস (পূ) যক্ষ্মরোগাধিকারের ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-র সিন্দুর ৩ ভাগ, স্বর্ণ এক ভাগ, রৌপ্য একভাগ, মন:শিলা, গন্ধক, হরিতাল প্রত্যেকে ২ ভাগ একত্র করিয়া কড়ির মধ্যে পুরিতে ইহবে, পরে ইহাতে ছাগদুগ্ধে সোঙ্গাগা ওলিয়। মৃংঙtা ও পূরিয়৷ মুথবদ্ধ করিয়া দিবে। পরে গঙ্গপুট দিতে হইবে । শীতল হইলে এই ঔষধ গ্রহণ করিতে হয় । ইহার পরিমাণ ৪ রতি । অনুপান পিপুল ও মধু বা স্কৃত ও মরিচ । এষ্ট ঔষধ সেবনে রাজযক্ষ্মরোগ আগু প্রশমিত ছয় । ( রসেক্স সারসং যক্ষ্মরোগাধি০ ) ভৈযঞ্জ রত্নাবলীতে ইহার প্রস্তুত প্রণালী নিদিষ্ট হুইয়াছে । পারদ ৪ তোলা, স্বর্ণ ১ তোলা, তাম্র ১ তোলা, মনঃশিলা ২ তোলা, হরিতাল ২ তোলা, গন্ধক ২ তোলা এষ্ট সকল একত্র মদন করিয়া বড় বড় কড়ির মধ্যে পুরিতে হষ্টবে, পরে ছাগদুগ্ধে সোহাগা পেষণ করিয়৷ উদ্বারা ঐ কড়ি সকলের মুখ রুদ্ধ করিয়া মৃত্তিকাভাণ্ডে স্থাপিত ও রুদ্ধ করিয়। লেপ দিতে হইবে । পশ্চাৎ লেপ শুকাইলে গজপুটে পাক করিয়া শীতল হইলে ঔষধ চুৰ্ণ করিয়া লইবে । মাত্র ৪ রতি। অমুপান—স্থত ও মধু, বা ১•ট পিপুল বা ১৯টি মরিচের সহিত সেব্য। এই ঔষধ লেবনে সৰ্ব্বপ্রকার ক্ষয়রোগ আগু প্রশমিত হয় । ( ভৈষজ্যরত্না • যক্ষ্মরোগাধি• ) রাজ্যক্ষন (পুং ) রাজ্ঞশ্চন্দ্রস্ত ক্ষয়কারকে বঙ্গ, রাজা চাগে। যক্ষ। চেতি বা । ক্ষম্বুয়োগ, যক্ষ্ম কাস, এই রোগ সকল রোগের ९ब् ब्रि ७ द्रtot । এইরূপ [ ৩৭৪ ] রাজ্যক্ষন

  • অনেক রোগামুগতে বহুয়োগপুরঃসর । রাজযক্ষ গয়; শোধে রোগরাড়িতি সংস্কৃত: ॥” (বাগ ভট} চরকে এচ রোগের নিদানাদির বিষয় এইরূপ অভিহিত হইয়াছে। ক্রোধ, জর, রোগ ও দুঃখ ইহার পর্য্যাঙ্গক শব্দ । নক্ষত্ররাজ চন্দ্রের এই রোগ সৰ্ব্বপ্রথম হয় বলিয়া হ হার নাম

রাজযক্ষ্মা । নক্ষত্ররাজ চন্দ্রের যক্ষ্মা অশ্বিনীকুমার-কর্তৃক হস্কৃত হইয়া মনুষ্যলোকে আগত ক্ষয় এবং বক্ষ্যমাণ চারিপ্রকার হেতু লাভ করিয়া মানবদেহে প্রবেশ করে। চারি প্রকার হেতু যথা— অযথা বল আরম্ভ (বলের অতিরিক্ত ব্যায়ামাদি শারীর কৰ্ম্ম), মলমুত্রাদির বেগধারণ, ধাতুক্ষয় ও বিষমাশন । এই চারিটাই এই রোগের কারণ। অযথা বলারম্ভছে তু-বলের অতিরিক্ত যুদ্ধ, অধ্যয়ন, ভারবহন, ৫ জঘন, সপ্তরণ, উচ্চস্থান হইতে পতন, অভিঘাত ও অপর সাহসের কার্য। এই রূপ--অযথা বলারস্তু দ্বার বক্ষঃ বিগত হইলে বায়ু প্ৰকুপিত হইয়া পিগু ও কফকে উদারিত ক1রয়। ধাবিত হয়। সেই প্রকুপিত ৰায়ু শিরঃস্থ হইয়। শির: শূল, গলদেশস্থ হইয়া কঠোদ্ধংস (গলা খুদ খুধ করা ), কাস, স্বরভেদ ও অরুচি, পাশ্বস্থ হইয়। পাশ্বশূল, গুদনাড়াস্থ হইলে মলভেদ, সন্ধিস্থ হইয়া জুম্ভ ও জর, উরঃস্থ হইয়া উরঃশুল উৎপাদন করে । কাসবেগে উরঃ ক্ষতের বিদারণহেতু রোগী জর্জরিতবক্ষ; এবং অতি কষ্টপ্রদ উরঃশুলে প্রপীড়িত হইয়া সশোণিত কফ নিষ্ঠ বন করে। উক্তরূপ . সাহসের কাৰ্য্যে রাজযক্ষ উৎপন্ন হইয়। এই শিরঃশূলাদি একাদশ প্রকার লক্ষণযুক্ত হয়। অতএব আত্মবান পুরুষ কখনই উক্তরূপ সাহসের কার্য্য করিবেন না । বেগধারণহেতু—লজ্জ বা ঘৃণাবশতঃ অথবা ভয়প্রযুক্তই হউক—মানব যদি বাতমুত্র ও পুরীষের আগতবেগ রুদ্ধ করে, তাহা হইলে সেই বেগ প্রতিরূদ্ধহেতু প্ৰকুপিত বায়ু কফ ও পিত্তকে উদারিত করে। উদ্ধ, অধঃ ও তিৰ্য্যকৃ দেশে নিম্নোক্ত লক্ষণ সকল প্রকাশ পাইয়। রাজধক্ষ্ম রোগ হইয়া থাকে । প্রতিষ্ঠায়, কাস, স্বরভঙ্গ, অরুচি, পার্শ্বখুল, শিরঃশূল, জর, অঙ্গমৰ্দ্দ, মুহুমুহু বমন ও মলভেদ এই সকল ত্রিদোষ লক্ষণ উপস্থিত হয়। 爆 ক্ষয়হেতু রাজধক্ষ্মোৎপত্তি—ঈর্ষা, উৎকণ্ঠা, ভয়, ত্রাস, শোক ও ক্রোধ দ্বারা অতিকর্ষণ এবং অতি মৈথুন ও অনশন এই সকল কারণে শুক্র ও ওজঃ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এই স্নেহপদার্থের ক্ষয়হেতু বায়ু প্ৰকুপিত হইলে পিত্ত ও কফকে উদীৱিত করিয়া প্রতিস্তার, জয়, কাস, অঙ্গমৰ্দ্দ, শিরঃশূল,