পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণদেব [ 8లిసి ) রামকৃষ্ণদেব বাটীর লোকের। কোন বীরাঙ্গণকে তাহার নিকটে পঠাইয়। দিয়াছিল। এই স্ত্রীলোক উপযুপিরি কয়েক দিন তাহার মোহিনী জাল বিস্তায় করে, জিতেন্দ্রিয় রামকৃষ্ণ অনায়াসে সেই জাল ছিন্ন করিয়া ফেলিয়াছিলেন। রামকৃষ্ণদেব কৃতাপ্ললিপুটে বলিয়াছিলেন, দেখ তুমি আমার মানন্দময়ী মা,আর অামি তোমার স স্থান । বারাঙ্গণ কোন মতে না শুনিয়া রামকৃষ্ণদেবকে বার বার উৎত্য ক্র করে । তিনি তদনগুয় সিংহনাদে তা স্থার প্রতি কটাক্ষ করিলেন, তদশনে সে প্রাণভয়ে পলাইতে বtধ্য হইয়াছিল । সেই সময়ে মেছুয়-বাজারে লছমী বাই নামী একজন স্বচতুরা বারাঙ্গণা ছিল। তাহার সহিত পরামর্শ করিয়া কোন ভদ্রলোক রামকৃষ্ণদেবকে তথায় লইয়। গিয়াছিলেন । রামকৃষ্ণদেব সে সময়ে পুর্ণ যুবা । বায়াঙ্গণাগৃহে তাহাকে লইয়া গিয়া ভদ্রলো কটা তথা হইতে সরিয়া পড়িলেন । লছমী প্রায় ১৫১৬টি যুবতীকে অৰ্দ্ধেtলঙ্গাবস্থায় বসাইয়। এবং গৃহটি ও সুগন্ধি দ্রব্যের দ্বার সুবাসিত করিয়া রাখিয়াছিল। সে ভাবিয়াছিল, যে মোহিনীর ফাঁদে মহাযোগী মহা ঋষি পর্যন্ত পতিত হইয়াছিলেন, যে মোহিনীর রূপ দৰ্শন করিয়৷ বৃদ্ধ পরাশরের ধৈর্য চুতি হইয়াছিল,অম সেই মোহিনীমূৰ্ত্তির বাজার বসাইয়াছি। এই মনে করিয়া লছমী রামকৃষ্ণদেবের চিত্ত্ব হরণ করিবার জন্ত বিধিমতে চেষ্ট পাইতে লাগিল, রামকৃষ্ণদেব গৃহে প্রবেশ করিয়াই কৃতাঞ্জলিপুটে ভূমিষ্ট হই। সকলকে, “মা আনন্দময়ি” বলিয়া প্রণামপুৰ্ব্বক তাহদের মধ্যস্থানে যাইয়া উপবেশন করিলেন। তাছাকে মধ্যস্থানে উপবেশন করিতে দেখিয় বারাঙ্গণার ভাবিল যে, এইবার আর কোথায় পলাইবে ? আমরা অনেক সাধু দেখিয়াছি, আমরা অনেক ভদ্রলোক দেখিয়ছি, আমরা বহুবিধ সভ্য মহাত্মাকে দেখিয়াছি, সে হিসাবে ইহাকে অতিসামান্ত, क्रूझङम दणिtट७ दण। बांग्र । दाबू निडाड भूर्श । यद्र সহিত সংগ্রাম করিতে এত আয়োজন করিবার কোন প্রয়োজন ছিল না । বাস্তবিক মশা মারিতে কামান পাত হইয়াছে। রামকৃষ্ণদেব সকলের দিকে এক একবার চাহিয়৷ দেখিলেন। প্রত্যেককে ‘মা মানন্দমক্সি’ বলিতে বলিতে গ্রেমে তাহার জিহবা জড়াইয়। যাইতে লাগিল । তখন লছমী চগের ভঙ্গী দ্বারা—ব সাধুঞ্জী ! এই যে তোমার লালপানিও চলে। রামকৃষ্ণদেব যে কি পানি সেবন করিতেন ত{হ। বীরাঙ্গণার কেমন করিয়া বুঝিবে ? লছমী উলঙ্গ হইয় যেমন বাহু প্রসারণ করিল, রামকৃষ্ণদেব অমনি কৃতাঞ্জলিবদ্ধ হইয় তাহার প্রতি একদৃষ্টিতে ‘কালী কালী বলিয়া সমাধিস্থ হইয়া পড়িলেন, তাছার শরীর হইতে জ্যোতিঃ নিৰ্গত হইতে লাগিল, সেই জ্যোতিঃ দর্শনপূর্বক বারাঙ্গণার ভীত হইয়া নিজ নিজ বস্ত্রপরিধানপুৰ্ব্বক কেহ বাতাস করিতে লাগিল, কেহ জল আনিতে ছুটিল, কেহ কৃতাঞ্জলি পুটে গলায় অঞ্চলগ্রভাগ প্রদানপুলক চরণে মস্তক বিলুষ্ঠিত করিতে লাগিল, কেহ অজ্ঞানকৃত অপরাধের জন্য বার বার ক্ষম প্রার্থনা করিতে লাগিল । তিনি শক্তির উপালক হইয়া কালী সাধনা করিয়াছিলেন, পরে তন্ত্রাদি মত সাধন ব্যতীত সমুদয় সাধনগুলি নিজে সম্পন্ন করিয়াছিলেন । উৰ্দ্ধমুখে তন্ত্রের সাধন। অতীত্ব ভয়ালক এবং সামান্ত মানব দ্বারা সাধিত হইতে পারে কি না সন্দেহ ; কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণীর সহায়তায় তাহাতে ও কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন । বৈদান্তিক মতে তিনি গুপ্ত সন্ন্যাসী হইয়া শঙ্করের শাখা বিশেষ পুরী শ্রেণীর অন্তর্গত তোতাপুরী নামক নেট সাধুর দ্বারা দীক্ষিত হইয়া নিৰ্ব্বি কল্প সমাধি লাভের জন্য গ্রবৃত্ত হন এবং সেই সাধনে তিনি তিন দিবসে কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন । এই সাধনের পূৰ্ব্বেই তিনি কুম্ভকাদি যোগপ্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ছিলেন । তোতাপুরী রামকৃষ্ণের সমাধি দেখিয়া অবাস্থ হইয়। গিয়াছিলেন । তিনি রামকৃষ্ণের বিশেষ অনুরোধে তিন দিবস অবস্থিতি করিতে স্বীকার করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহার পর এক কালীন এগারমাস স্থান পরিবর্তন করিতে র্তাহার ইচ্ছা হয় নাই। এতদিন থাকিবার হেতু এই যে, যাছা কখন কেহ কল্পিতে পারেন নাই, যে অবস্থার নিমিত্ত তিনিই চুয়াল্লিশ বৎসর অতিবাহিত করিয়াছিলেন, সেই দুঃসাধ্য নিৰ্ব্বিকল্প-সমাধি রামকৃষ্ণ তিন দিবসে কেমন করিয়া সম্পূর্ণ করিয়া ফেলিলেন । ইহার কারণ নির্ণয় করা তাহার নিতান্ত বাসন ছিল, কিন্তু তিনি রামকৃষ্ণকে বুঝিতে ন পরিয়ু পরিশেষে গঙ্গায় ডুবিয়া মরিতে গিয়াছিলেন, কিন্তু অদৃষ্ট ক্রমে সেখানে ডুজিল ছিল না, সুতরাং পুনরায় রামকৃষ্ণের নিকট আসিয়া আয়ুদৌৰ্ব্বল্য স্বীকারপুঞ্জক প্রস্থান করেন • * রামকৃষ্ণ বৈদিক মতে পঞ্চবটী প্রস্তুত করিয়া ও ধ্যানাদি করিয়াছিলেন । অপ্তাপি দক্ষিণেশ্বরের কালীবাটীতে সেই পঞ্চবটী এবং তাক্সিকসাধনের পঞ্চমুণ্ডী ও বেলতলার নিদর্শন পী ওয়া যtয় | তিনি রামমন্ত্র সাধন করিবার নিমিত্ত হনুমানের ভাল অবলম্বন করিয়াছিলেন। যেহেতু হনুমানের স্তায় বিশুদ্ধ ভক্ত অতি বিরল।