পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় অক্ষরাদি প্রস্তুত করাইয়া নিজে ধৰ্ম্মতলার ‘ইউনিটেরিয়ান প্রেস’ নামে একটা মুদ্রা-যন্ত্ৰালয় স্থাপন করিলেন। উছার কাৰ্য্য প্রায়ই দেশীয় লোকের দ্বার সম্পন্ন হইত। ১৭৪৫ শকে ( ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে ) এই স্থান হইতে র্তাহার নিজের নাম দিয়া তিনি 'Final Appeal’ নামক তৃতীয় উত্তরপুস্তক প্রকাশ করেন । এই পুস্তকে তাহার পাণ্ডিত্য ও তর্কশক্তি এতদূর প্রকাশিত হইয়াছিল যে, লোকে দেখিয়া অবাক হইল। মাসমান সাহেব স্বমত সমর্থন জন্য ইংরাজী বাইবেল হইতে বহুল প্রমাণ প্রদর্শন করিলেন" রামমোছন রায় ইংরাজী অমুবাদে সস্তুষ্ট ন হই। ওীক ও হিব্রু ভাষায় লিখিত মূল বাইবেল হইতে প্রমাণ সকল উদ্ধৃত করিয়৷ তাহ। স্বয়ং ইংরাজীতে অনুবাদ পূর্বক দেপাইলেন যে, মাসমান সাহেবের কথা ত;হার অবলম্বিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রসঙ্গত নহে। মাস মান সাহেব পরাস্ত হইলেন। ১৮২৩ খৃঃাগে আর একটি আমোদজনক তর্কযুদ্ধ উপস্থিত হয়। একদিকে ডাক্তার টাইট্‌গর সাহেবের ভ্রাত (হিন্দুকলেজের অন্যতম শিক্ষক ) ও শ্রীরামপুরের মিসনরিগণ এবং অপর দিকে রামমোহন রায় । মু প্রসিদ্ধ হরকর ও ফ্রে ও অব ইণ্ডিয়৷ নামক পত্রদ্বয় পরস্পরের অবলম্বন হইয়াছিল । ‘হরকরা’ পত্রে টাইটুলীর সাহেব, প্রথমত: রামমোহন রায়কে আক্রমণ করেন । তা হাতে “রামদাস” এই কল্পিত নাম স্বাক্ষর করিয়া হিন্দুভাব অবলম্বনপুৰ্ব্বক রামমোহন রায় ঠাহাকে এই রূপ উত্তর দিলেন যে, "রামমোহন গায়, পো গুলিক হিন্দু ও ত্রিত্ববাদী খৃষ্টান উভয়েরই পরম শত্ৰ ; রামমোহন রায় ঈশ্বরের বহুত্ব ও অবতারবাদ উভয়েরই প্রতিবাদী । ঐ ছুটী মতই হিন্দু ও ত্রিত্ববাদী খৃষ্টান উভয়েরই মূল মত। সুতরাং এস, আমরা ( হিন্দু ও খৃষ্ঠান ) একত্র মিলিত হইয়। আমাদের সাধারণ শত্র রামমোছন স্নায়কে আক্রমণ করি।” এই উত্তরপত্র খানি কোথা হইতে আসিল, কেহ জানিতে পারিল না । একজন ঘৃণিত পৌত্তলিক, খৃষ্ঠানের সহিত সাধারণভূমিতে দণ্ডায়মান হইতে চায়, ইহা টাইটুলর সাহেব বা অপর খৃষ্টানাদগের সহ হইল না । তিনি বিশেষ বিরক্ত হইয়। রামদাসের পত্রের উত্তরে বলিলেন যে, “খুষ্টধৰ্ম্মে ও হিন্দুধৰ্ম্মে তুলনা করা অতি অন্যায় কৰ্ম্ম ; উহাদের সাধারণভূমি এক হইতে পারে না ।" ‘রামদাস’ লিখিলেন যে, য়িত্ববাদী খৃঃানের ধৰ্ম্ম ও পৌত্তলিক হিন্দুর ধৰ্ম্মেয় ভিত্তিমূল এক —অবতারবাদ ও .ঈশ্বরে বন্ধ । খৃষ্টধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করিবার জন্য টাইটুলয় সাহেব ও তাছার পঞ্চসমৰ্থনকারী খৃষ্টানগণ ধূরে [ ¢०२ ] 线 রামমোহন রায় অলৌকিক ক্রিয়া, খৃষ্টধৰ্ম্মে ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হওয়া ইত্যাদি অনেক দেথাইলেন । ‘রামদাস’ ও হিন্দুশাস্ত্র হইতে ঐক্লপ যথেষ্ট প্রমাণ প্রদর্শন করিলেন। অনেক প্রত্যুত্তরের পর ‘রামদাসে’রই জয় হইত। উভয় পক্ষের পত্র পরে পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইয়াছিল।" এই সময়ে উইলিয়ম আডাম নামক এক জন ত্রিত্ববাদী বাপুটিষ্ট, খৃষ্টান মিসনরি ভারতবর্ষে আগমন করেন। রামমোহন রায়ের সহিত র্তাহার আলাপ হইলে, তিনি তাহাকে খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার জন্তু অত্যন্ত যত্ন করিতে লাগিলেন । কিন্তু ফল বিপরীত হইয়া দঁাড়াইল । রামমোহন রায় খৃষ্টান ন হইয়া, আডাম সাহেবকে তাহার মতে আনিলেন। তিনি তাহাকে বুঝাইয়া দিলেন যে, পরমেশ্বরের ত্রিত্ব, খুষ্টের ঈশ্বরত্ব, ও তাহার রক্তে পাপীর পরিত্রাণ ইত্যাদি মত বাইবেলবিরুদ্ধ। ১৮২১ খৃষ্টাব্দে, আডাম সাহেব, রামমোহন রায়ের উপদেশে "ইউনিটেরিয়ান হইলেন । চতুর্দিকে হল স্থল পড়িয়া গেল। গোড়। খৃষ্টানের witgift attoo “Second fallen Adam" of oil foi" করিতে লাগিলেন অর্থাৎ সম্লতানের প্ররোচনার প্রথম মঙ্গুষ্য আড়ামের যেমন পতন হয়, সেইরূপ রামমোহন রায়ের হাতে পড়িয়া আডাম সাহেবের দ্বিতীয়বার পতন হইল । ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে তিনি কলিকাতাবাসী হুইয়া একবর্ষ পরে নিজ মানিকতলার বাটীতে আত্মীয়সভা স্থাপন করেন। উহ! পরবর্তী বৎসরে তাছায় সিমল ষষ্ঠীতলার বাটতে স্থানান্তরিত হইয়। পরে উপরোক্ত গৃহে পুনরায় আনীত হয় । সপ্তাহে একদিন সভা হইত। শিব প্রসাদ মিশ্র ঐ সভায় বেদপাঠ করিতেন এবং গোবিন্দ মালা ব্রহ্মসঙ্গীত গাইতেন। দ্বারকানাথ ঠাকুর, এজমোহন মজুমদার প্রভৃতি নিয়মিতরূপে ঐ সভায় যোগদান করিতেন, কিন্তু জয়কৃষ্ণ সিংহ প্রমুখ অনেকে লোকনিন্দাভয়ে তাহাকে পরিত্যাগ করেন । এই সময়ে তাহার ভ্রাতুপুত্রের তাহাকে পৈতৃক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করিবার আশায় তাহার বিরুদ্ধে মোকদনা উপস্থিত করেন। নানা বৈষয়িক গোলমালে ব্যাপৃত থাকায় তিনি নিয়মিতরূপে সভার কায্য পর্য্যবেক্ষণ করিতে পাল্লিতেন না ; সেইজন্য কখন বৃন্দাবনমিশ্রের বাটতে, কখন বা ভূকৈলাসের রাজ। কালীশঙ্কর ঘোষালের মালয়ে, কখন বা ভুলাবাজারে বিহারিলাল চৌবের বাটতে সভার অধিষ্ঠান হইত। এইরূপ কিছুকাল আত্মীয়সভার কার্য্য চলিলে পর, ১৮১৯ খৃষ্টাঙ্গে বিহারীলালের বাটতে এক মহাगडी रहA.,थे गङाझ् ब्रामप्मारनग्न गरिङ विशद्र रब्रिदtत्र