লখিমপুর আকৰ্ম্মণ্য ছিলেন এবং ঠাখার জীনস্থ কৰ্ম্মচারিবর্গ অযথা অত্যাচারপূর্বক ফরসংগ্ৰহ করিয়া প্রজাবৰ্গ প্রপীড়িত জরিতেছিল। এই গুয়োজখণ্ডাক্ষ মধ্যে পাৰ্ব্বতীয় অসভ্যজাতির দলে দলে অবতীর্ণ হইয় রাজ্যগুণ্ঠনপূর্বক জলপৃষ্ঠ করিয়া ফেলে। এই সময়ে পরিমগয়ে একজন খনৃষ্ঠী সর্দার স্থানীয় শাসনকর্তারূপে প্লাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিতে খাকেন । ১৮৩৫ খৃষ্টাঙ্গে ইংরাজরাজ একজন সেন্সাসায়কের অধীনে সদিয়া নগরে একদল সিপাহী স্থাপন কয়েম। উহার চারবৎসর পরে অকস্মাৎ একদিন পাৰ্ৱতীয় খমৃতীগণ পৰ্ব্বত হইতে সমতলক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া ইংরাজসেনানী ও পলিটিকাল এজেন্ট মেজর হোয়াইটুসহ সিপাহীদিগকে নিহত করে। তখন ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে ইংরাজরাজ আসামপ্রদেশের পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করিয়া পাৰ্ব্বতীয় শত্রুর আক্রমণ নিবারণের বিধিমত চেষ্টা করেন । তদবধি এখানে শাস্তিরাজ্য স্থাপিত হয়। আবর, আহম, ফল, কাছাক্ট, খমৃতী, কুকী, লালঙ্গ, মণিপুরী, মটক, চুটিয়া, মিকিয়, মিশনী, মাগ, নেপালী, রাভা, সাঁওতাল, শিম্পে প্রভৃতি অসভ্যজাতি এই জেলার পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে বাস করে । ঔপনিবেশিক হিন্দুর মধ্যে ব্রাহ্মণ, রাজপুত, কায়স্থ, আগরবালা বেগে ও কলিতা (ইছারা অসভ্য ও পাৰ্ব্বতীয় আসাম-রাজগণের পৌরোহিত্য কল্পিত, বৰ্ত্তমানকালে সকলেই কৃষিত্তি অবলম্বন করিয়াছে । ইহার এখানে সংশূদ্ৰ বলিয়া পরিগণিত। ) প্রভৃতি জাতি বিদ্যমান আছে। এই সুদূর পূর্বপ্রান্তে ইসলামধৰ্ম্ম বিস্তৃতি লাভ করে নাই। মোগল-সম্রাটের অধিকারুকালে মুসলমান সৈন্ত আসামপ্রদেশে প্রবেশ লাভ করিলেও জলবায়ুর প্রকোপ সহ্ করিতে না পারিয়া এতদেশ পরিত্যাগ কল্পিতে বাধ্য হইয়াছিল। আহম স্বাজগণ রাজসমৃদ্ধি বৃদ্ধিমানসে কয়েক ঘর মুসলমান কারিকর রাজধানীতে আনয়ন করিয়া স্থাপন করেন, ঐ সময়ে ঢাকা নগর হইতেও কয়েক ঘর মুসলমান দোকানদার লখিমপুরে . জাসিয়া বাস করে ; উহারা সকলেই ফরাইঞ্জী মতাবলম্বী। মরন বা মোয়ামারীগণ বর্তমান সময়ে বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছে। শক্তিউপাসক আসাম-রাজগণের অত্যাচারে এই বৈঞ্চবসম্প্রদায়ের মধ্যে কএফ বায় বিদ্রোহ উপস্থিত হয়। অবশেষে বৈষ্ণবগণেই প্রাধান্ত লাভ করে । এখানকার অধিবাসীদিগের অবস্থা নিভাক্ত মদ মন্থে । লবণ, অহিফেন প্রভৃতি কএকটী শ্ৰব্য ব্যঞ্জীপ্ত তাহারা শাপলাBB BBBBD BBB BBD BBBDDD BBB BBD DBB পারে। কাপাস-বস্ত্রাদি ব্যতীত এখানকার লোকে রেশমীবস্ত্র ৰন্ধন করে। এখানে ছুই প্রকার রেশম প্রভক্ত হয় । উহার [ ১৩৪ } লখেরা কীট এড়িয়া ও মুগা নামে প্রসিদ্ধ। স্ত্রীলোকেরাই প্রধানতঃ রেশমীকাপড় প্রস্তুত করে। পুরুষরা বাগানে পোকা পালন কার্যে ব্যস্ত থাকে। এতদ্ব্যতীত কৃষিকাৰ্য ও সন্ধিৰা হইতে তৈল প্রস্তুত করা পুরুষদিগের অপর জার একটা প্রধান কাৰ্য্য। ’ এখানকার চা-বাগানে উৎকৃষ্ট চা প্রস্তুত হইয়া থাকে। ঐ চা এবং কার্পাস বস্ত্র, মুগা ও এণ্ডি-রেশমের কাপড়, মাটির বাসন, পাট, মাদুর, রবার ও মোম এস্থান হইতে প্রভূত পরিমাণে বাঙ্গালায় সপ্তানী হুইয়া থাকে। সদিয়ায় গৰমেণ্টের তত্ত্বাবধানে প্রতিবৎসর একটী মেলা অনুষ্ঠিত হইয়া খাকে। কলিকাতা হইতে খুৰী, ডিব্ৰুগড় ও কাছাড় যাতায়াভের জন্য রেলপথ বিস্তৃত হইয়াছে । ঐ রেলপথে এবং ষ্টীমার ও নৌকাযোগে নদীপথে এখানকার বাণিজ্য চালিত হইতেছে। ২ উক্ত জেলার উত্তরস্থ একটা উপবিভাগ, উত্তর-লখিমপুর নামে খ্যাত। ভূপরিমাণ ৭৭৫০ বর্গমাইল । ইহার উত্তরে দক্ষ লা ও মীরীশৈল এবং দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নয়। লখিমপুর নগর ইহায় সদয় । ৩ উত্তর-লখিমপুর উপবিভাগের অন্তর্গত একটা গণ্ডগ্ৰাম । সুবর্ণগ্রনীর গড়িয়াজান শাখার কূলে অবস্থিত। অক্ষা, ২৭-১৪৫ উঃ এবং গ্রাঘি• ৯৪”৭১. পুং । এখানে ইংরাজরাজের একটা ছাউনী আছে। - লখিমপুর, অযোধ্য প্রদেশের খের জেলার একটা তহলীল। অক্ষা” ২৭°৪৭′১৫′ উঃ হইতে ২৮-২৯৩০% উঃ এবং দ্রাঘি৮৮°২০′ হইতে ৮১°৪' পূঃ মধ্য। ভূ-পরিমাণ ১০৭৮ বর্গমাইল । খেী, ঐনগর, ভূর, পৈলা ও কুকৃড়া-মৈলানী পরগণা ইহার অন্তৰ্ভুক্ত । 鄰 ২ শ্বেরীজেলার প্রধান নগর ও লখিমপুর তহলীলের সদর । উল নদীর দক্ষিণকুলে ১ মাইল দূরে অবস্থিত। অক্ষা ২৭° s৬ ৪৫° উঃ এবং দ্রাধি ৮• ৪৯২*পূঃ। এই নগরটা বাণিজ্যবাহুল্যহেতু বিশেষ সমৃদ্ধিসম্পন্ন। g লক্ষ্মীপুর (লক্ষ্মীপুর), আসামের গোৱালপাড়া জেলার দক্ষিণস্থ একটা গণ্ডগ্রাম। গারোশৈলের উত্তরপাদমূলে অবস্থিত। অক্ষা” ২৬° ৯/৫ উঃ এবং দ্রাধি” ৯০° ২৫- পুং। এখানে মেচপাড়ার প্রসিদ্ধ জমিদারের প্রাসাদ বিদ্যমান। ইনি স্থানীয় বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যয়ভার বহন করির জালিতেছেন। লখীপুর (লক্ষ্মীপুর), আসামপ্রদেশের কাছাড় জেলা পূৰ্ব্বদিকৃস্থ একটা গওগ্রাম। করা ও ৰিী নদীয় সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গ্রামপ্রাস্তে মণিপুর-মহারাজের একটী কাছারী আছে। • কাখের, লাক্ষ বা গালা হইতে চুরি প্রভৃতি জগষ্কার ও খেলনা প্রান্তকারী জাতিবিশেষ। সম্ভবতঃ সংস্কণ্ড লাক্ষাকাঙ্ক শব্দের
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১৩৮
অবয়ব