পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোচক [ ৩১১ ] লোচনহিত “গ্রহনক্ষত্ৰতারাভিশ্চর্শ্বচিত্ৰং নভস্তলম্। স্বরাঘুপ্রেতবিজ্ঞানাং পতীন লোকেশ্বরান হুয়ান্‌ ” ( છત્રછ ન૭8ાર: ) লোকেশ্বরাত্মজা (স্ত্রী) লোকেশ্বরস্ত বুদ্ধস্ত আত্মজেব। বুদ্ধশক্তিভেদ। পৰ্য্যায়—তারা, মহাত্র, ওঙ্কার, স্বাহ, শ্ৰী, মনোরমা, তারিণী, জরা, অনন্ত, শিবা, খজুরবাসিনী, ভদ্র, বৈশু, নীলসরস্বতী, শঙ্খিনী, মহাতার, বসুধার, ধনমাদ, ত্রিলোচনা, লোচনা । ( হেম ) লোকোঃ (স্ত্রী) ইষ্টভেদ। (আখ’ শ্রেী ২। ১• । ১৯) লোকৈকবন্ধু (পুং ) লোকানাং এক এব বন্ধঃ । গৌতম বুদ্ধ বা শাক্যমুনি । লোকৈষণ (স্ত্রী) স্বৰ্গপ্রাপ্তির ইচ্ছ। লোকোক্তি (স্ত্রী) প্রবাদ, কিংবদন্তী। প্রচলিত বাক্য। লোকোত্তর (ত্রি) ১ অসামান্ত, অলৌকিক । ২ আদর্শ পুরুষ। ৩ রাজা । লোকোত্তরবাদিন (পুং ) বৌদ্ধসম্প্রদায়ভেদ। লোকোদ্ধার ( কী ) তীর্থভেদ। এই তীর্থ ত্রিলোকপুজিত, এই তীর্থে স্নান করিলে স্বীয় সকল লোক উদ্ধার হয় । ( ভারত ৩৬৯৷১১ শ্লোক ) লোক্য (ত্রি) ১ লোকান্বিত। ২ বিস্তৃতস্থানযুক্ত। ৩ যুদ্ধার্থ পরিষ্কৃত স্থানযুক্ত। ৪ জগদব্যাপ্ত। লোক্যতা (স্ত্রী) শ্রেষ্ঠ লোকপ্রাপ্তি। (শতপথব্রা ১০৩২৷১৩) লোগ (পুং ) ১ মৃৎপিণ্ড, লোষ্ট । লোগাক্ষ (পুং ) পত্তিতভেদ। [ লোগাক্ষি দেখ। ] লোঙ্গর (পারসী ) নদী বা সমুদ্রবক্ষে জাহাজ আটকাইয়া রাখিবার জন্ত বড়শীর আকার লৌহশলাকাবিশেষ । লোগেষ্টকা (স্ত্রি) মৃত্তিকানিৰ্ম্মিত ইষ্টকভেদ। ( শতপথব্রা” ৭ । ৩। ১ । ১৩ ) লোচ, ১ ঈক্ষণ, দর্শন। দীপ্তি। ভূৰি আনে সক সেট। দীপ্ত্যৰ্থে চুরাদি পরশ্বৈ" অক সেটু। লটু লোচতে। লিটলুলোচে। লুটু-লোচিত। লুণ্ড, অলোষ্টি, অলোচিঘাতাং অলোচিত। সৰু লুলোচিযতে। যঙ, লোলোচ্যতে। চুরাপিক্ষে লট, লোচয়তি। লুঙ, অগুলোচৎ। আ+লোচ=আলোচন । লোচ (ক্লী) লোচ্যতে পর্যালোচরতি মুখখোদিকমিতি লোচ-অচ,। অশ্র। ( জটাধর ) লোচক (পুং) লোচতে ইতি লোচ-খুল। ১ মাংসপিণ্ড । • ২ অক্ষিতারকা। ৩ ফজল । ৪ খ্ৰীদিগের ললাটাভরণ। • কালী। ৬ নীলবস্ত্র। ৭ নিৰ্বদ্ধি। ৮ কর্ণপুর। ৯ মূৰ্ব্বী। ১• ক্রশ্নখচৰ্ম্ম । ( মেদিনী ) ১১ নিৰ্দ্দোক । (পারস্থা” ) লোচন (স্ত্রী) লোচ্যতেইনেনেতি লোচ-লুটি, । চক্ষুঃ। গরুড়পুরাণে লিখিত আছে,—বক্রান্ত ও পদ্মাত লোচন হইলে মুখ, বিড়ালের ভায় চক্ষু হইলে পাপী,মধুপিঙ্গলবৰ্ণ হইলে মহাশয়, কেকয়াক্ষ (টের) হইলে কয়, হরিণের স্থায় হইলে পাপী, কুটিল হইলে ক্রর, গঙ্গচক্ষু হইলে সেনাপতি, গভীর লোচন হইলে প্রন্থ, স্থলচক্ষু হইলে মন্ত্রী, নীলোৎপলক্ষ হইলে বিৰা, গুবিচক্ষু হইলে সৌভাগ্যশালী, কৃষ্ণতারকাবিশিষ্ট হইলে চক্ষুর উৎপাটক, মওলাক্ষ হইলে পাপী ও দীর্ঘলোচন হুইলে নিঃশ্ব হইয়া থাকে। “বক্রস্তৈঃ পদ্মপত্রাভৈলোচনৈঃ মুখভাগিনঃ। মার্জারলোচমৈঃ পাপে মহাত্মা মধুপিঙ্গলৈঃ ॥ ক্রাঃ কেকরনেত্রাশ্চ হরিণাক্ষা: স কল্মষা: | জিন্ধৈশ্চ লোচনৈঃ ক্ররা সেলাষ্ঠোগজলোচনাঃ ॥ গম্ভীরাক্ষা ঈশ্বরা; সুমণি: স্থলচক্ষুষ: | নীলোৎপলাক্ষা বিৰাংসঃ সৌভাগ্যং খাবচক্ষুযাম্ ॥ স্যাৎ কৃষ্ণতারকাঙ্কাণামক্ষামুৎপাটনঃ কিল। মণ্ডলাক্ষাশ্চ পাপাঃমু নিঃস্বাঃ সুদীর্ঘলোচনা: ॥” ( গরুড়পু ৬৫অ” ) ২ জীয়ক। (বৈসুকনি” ) ৩ গবাক্ষ। (বাভট উ ৩৯ অ" ) লোচনগোচর (পুং ) দৃষ্টিপথ । দিঘলয়। (ত্রি ) দৃষ্টি পথারূঢ় । লোচনকার (পুং ) লোচন নামক গ্রসিদ্ধ অলঙ্কারপ্রণেতা। সাহিত্যদর্পণে ( ২২ । ১৫ ) ইহার নাম উল্লেখ আছে। অনেকে ইহাকে অভিনবগুপ্ত বলিয়া মনে করেন। লোচনপথ (পুং ) লোচনন্ত পন্থা । নেত্রপথ, দৃষ্টিমার্গ। লোচনপুর, বাঙ্গালার বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত একটা বদর। কঁাসবাশ নদীতীরে অবস্থিত। বর্তমান কালে নদীর মোহামা পলিময় চরে পূর্ণ হওয়ায় ঐ নগরের চারি পার্শ্ব ঐক্ষণে জঙ্গলাবৃত হইয়া পড়িয়াছে । ৪৫ টনের অধিক বোঝাই লইয়া নৌকাদি এই নদীবক্ষে এখন আর ভাসিয়া যাইতে পারে না ; সুতরাং ক্ষুদ্র পোতসমূহে মাল লইয়া অদূরে সমুদ্রবক্ষে রাখিয়া আসিতে হয়। চাউল ও অন্তান্ত শস্তাদি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ নৌকায় বোঝাই হয় । ভাটার সময় জল সরিয়া গেলে বড় নৌকাগুলি কাদার পলির উপর আটকাইয়া থাকে। সুতরাং সমুদ্রোপকূলবৰ্ত্তা ঝড়ে তাহদের বিশেষ ক্ষতি করিতে পারে না। ইহার পর্শ্বে চুড়ামণ নামক বঙ্গার অবস্থিত। নদীর মোহান ভরিয়া উঠার ক্রমশঃ বাণিজ্যের ক্ষতি হইতেছে। " লোচনহিত (ত্রি) চক্ষুর হিতকর (অঙ্গনাদি)।