পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ζΣ' يوميالي চট্টোপাধ্যায়

ટ્ર *ংপূৰ্ব্বে fest Indian field नायक পত্রিকায় 0ত%দমোহসের * (fajmohun wife ) akw of উপন্যাস লিখিতে আরম্ভ করেন, কিন্তু ঐ পত্রিকাখনি • বন্ধ হইয়া খাওয়ায় তাঙ্গর ইংরাজী উপন্যাসখানিও অসম্পূর্ণ থাকিয়! যায় । পূৰ্ব্বেষ্ট পরিচয় দিয়াছি যে, ইংরাজীভাষায় বঙ্কিমচন্ত্রের স্বসাধারণ ব্যুৎপত্তি হইয়াছিল। ষ্টেট্স্ম্যান পত্রিকায় জেনেরল এসম্বর ভূতপূৰ্ব্ব প্রিন্সিপাল হেষ্টি পাছেবেৰ সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের .য প্রসিদ্ধ চলিয়াছিল, তাহাতে তাহার ইংরাজী লেখা পড়িয়া সকলেক্ট বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন । এমন কি, তাঙ্কার প্রতিদ্বন্দ্বী চেষ্ট সাহেবও মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছিলেন, “এতদিন পরে বাঙ্গ লয় একজন উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী পাইল্লাছি।” সরকারী চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণের কয়েক বৎসর পূর্কে বঙ্কিমচন্দ্র বেঙ্গল গবমেন্টের সহকারী সেক্রেটারীর পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু নানা কারণে তাঙ্গকে দে পদ পরিত্যাগ করিতে হইয়াচিল । - বঙ্কিমবাবুর প্রতিমূর্ষি। দুর্গেশনন্দিনা প্রচারেব সহিত বঙ্কিমচন্সের খাতি সৰ্ব্বত্র বিহুত ইয়া পড়িল। তৎপরে ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে কপালকুওগ ৭ ১৮. খুটাৰে মৃণালিনী বাহির হইল। ১৮৭২ খৃষ্টালে বজয়শন বাছির হইল। বঙ্গদর্শন প্রকাশের সহিত যেন বঙ্গসাহিত্যে যুগান্তর উপস্থিত হইল! বঙ্গীয় লেখকগণের রচিও পরিবর্ভূিত হইল। শিক্ষিত বঙ্গৰাসীর নিকট বঙ্গদশনের যেরূপ sদর হইয়াছিল, এরূপ কোন সাময়িক পত্রের সমাদর দৃষ্টিগোচর হয় না। বঙ্গদর্শনের সম্পাদকরূপে বঙ্কিমচন্দ্র আঙ্গকালকার শ্রেষ্ট অনেক লেখককেই লিখিবার রীতি শিখাইয়া ছিলেন এবং নিজেও ৰঙ্গদর্শনে বহু প্রবন্ধ ও উপভাল লিখিয়া XVII ( ஆe ) 3% বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 4. সাহিত্যজগতে একাধিপত্য লাভ করিয়াছিলেন । ধারার रुक्रडांशाहरु ौग्न भाङ्कज्राश স্বীকার *রিতে লঙ্গবোধ করিতেন, বটতলার পুথি দেখিয়া যাহার নাসাকুঞ্চন করিতেন, ইংরাজীভাষায় লিখিত পুস্তকই র্যাহাজের ੰ বেদস্বরূপ ছিল, বিদেশীর আয়ুকরণকেই যাহারা জীবনের একমাত্র কৃতকৃতাৰ্থতার কারণ বলিয়া গণ্য করিতেন—সেই পরম উদ্ধত প্রাজমানী নৰাৰজকে বঙ্কিমবাবুই বঙ্গভারতীর মন্দিরে উপস্থিত করিয়া তক্ষরণে অর্থ্যপ্রদান করিতে বাধ্য করেন, তদবধি ইংরাজীশিক্ষিত যুবকমণ্ডলীষ্ট বঙ্গভাষার সেবকগণের নেতা চুষ্টয় দাড়াইয়াছেন,—বঙ্কিমবাবুর এই কাৰ্য্য মাতৃভাষাচর্চাকল্পে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সার্থকতা বলিয়া গণ্য হইতে পারে, এই জম্বাই তিনি “বঙ্গভাষার সম্রাটু" পদবাচ। তিনি বঙ্গদর্শনে নিম্নলিখিত পুস্তকগুলি প্রকাশ করেন :– Σ. ১২৭৯ সালে বিষবৃক্ষ ও ইন্দির ; ১২৮০ সালে চন্দ্রশেখর ও যুগলাঙ্গুরীয় ; ১২৮১ সালে রজনী ; ১২৮-৮৯ ও ৮২ সালে কমলাকাস্তের দপ্তর, ১২৮৪ সালে কৃষ্ণকাস্তের উটুল, ১২৮৬ সালে রাজসিংহ, ১২৮৭ ও ৮৯ সালে মানন্দমঠ, ১২৮৭ সালে মুচীরামগুড়ের জীবনচরিত, ১২৮৮ সালে প্লেবী চৌধুরাণী । দেবী চৌধুরাণী বঙ্গদর্শনে কিয়দংশ বাহির হইয়া শেষে পুস্তককারে সমগ্র পুস্তক প্রকাশিত হয় । ১২৮৪ সালে বঙ্কিমচন্দ্র খঙ্গদর্শনের সম্পাদকতা ছাড়িয়া দিলে তাহার জ্যেষ্ঠ সঞ্জীৰচন্ম সম্পাদক হন। সঞ্জীবচক্সের মৃত্যুর পর বঙ্গদর্শন উঠিয়া যায়। ক এক বর্ষ পরে সাধারণী-সম্পাদক ঐযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয়েব চেষ্টায় নবঞ্জীবন প্রকাশিত হয়। নবজীবনের সঙ্গে বঙ্কিমচৰ্ম্ম যেন নবজীবন লাভ করিলেন । আনন্দমঠের শেষে এবং দেবী চৌধুরাণীতে তিনি যে জ্ঞান ও কৰ্ম্মযোগের স্বত্রপাত করেন, সীতারামে তাহার পরিণতি। বঙ্গের শেষ গৌরশ্বরবি সীতারামের প্রকৃত আলেথ্য তাতার তুলিকায় একটু ভিন্নরূপে চিত্রিত হইলেও, তাহার জীবনে যে সাসিরূপী মহাপুরুষের প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল, সীতারামে বঙ্কিমচন্দ্র সেই চিত্রই দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। ঐ সময় বঙ্কিমচন্দ্রের জামাতা রাখালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় "প্রচার” নামক এক মাসিক পত্র প্রচার করেন । এই মাসিক পত্র খানি যে বঙ্কিম বাবুর সম্পূর্ণ পরামর্শাহুসারে প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই ! প্রচারে তিমি কৃষ্ণচরিত্র ও গীতামৰ্ম্ম এবং নবজীবনে ধৰ্ম্মতত্ত্ব প্রকাশ করিয়া তাহার নবজীবনের প্রকৃত লক্ষা সাধারণের চিত্তগোচর করিয়াছিলেন । ডেপুটকার্যে ও টশগবমেন্টের নিকট ঠাঁহার বিশেষ মুখ্যাতি ছিল। যথাকলে তিনি পেনা গ্রহণ করিয়া অৱসর