পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैछन ভাছাকে বন্ধ-বলে, কৰ্ম্ম ও পুদগল দুই পরস্পর মিলিত হইলে ভাইকে? বন্ধ বলা যায়। বন্ধ চারি প্রকার—প্রকৃতিবন্ধ, স্থিতিবন্ধ, অমুভাগবন্ধ ওঁ প্রদেশবন্ধ। কৰ্ম্মৰন্ধের মিথ্যাম্বন্ধপ झम्न ७ कोब्र विकल्ल श्राप्छ् । জ্ঞানাবরণ, দর্শনাবরণ, বেদনীয়, মোহ, আয়ু, নামকৰ্ম্ম, গোত্র ও অন্তরায় এই আট স্বভাবরূপ কৰ্ম্ম যে জীবের সহিত ক্ষীরনীরবৎ মিথ্যাদি হেতুতে বদ্ধ হয়, তাহার নাম প্রকৃতিবন্ধ। ঐ জাট প্রকৃতি যত দিন আত্মার সহিত থাকে, সেই স্থিতি বা কালমৰ্য্যাদাকে স্থিতিবন্ধ বলা যায় । ঐ মোট প্রকৃতিতে তীব্র মন্দ রস দেখা দিলে, তাহার নাম অনুভাগবন্ধ । কৰ্ম্মপ্রদেশের ষে প্রমাণ অর্থাৎ এই প্রকৃতিতে এত পরমাণু আছে, ঐ পরমাণুগণের আত্মার সহিত যে বন্ধ, তাহার নাম প্রদেশবন্ধ * । অবিরতি, কষায়, রূপ ও যোগ এই চাপি বন্ধের মূল হেতু । বন্ধের মূলহেতু চারি প্রকার হইলেও উদ্ভবহেতু ৫৭ প্রকার । তাছার প্রথম মিথ্যাস্তু ৫ প্রকার—যথা, অভিগ্ৰন্থমিথ্যাঙ্ক, অনভিগ্রহমিথ্যাক্স, অভিনিবেশমিথ্যাতৃ, শংস মিথ্যাঘ্র ও অনাভোগমিথ্যাত্র। যে আপনার মত মিথ্যা হুইলে ও সত্য বলিয়া জানে এবং অপর সকলের মতকেই মিথ্যা বলে, তাড়ার পরিণামের নাম অভিও{হমিথ্যাত্ৰ । যে না দেখিয়া না বুঝিয়া সকল মতই সত্য বলিয়া মানে, সকল মতেই মোক্ষ হয় এরূপ বিশ্বাস করে, তাহাকে অনভিগ্ৰহমিথ্যা" বলা যায়। যে শাস্ত্রার্থ প্রকৃত জানিয়াও নিজ বাক্য সমর্থনের জন্য মিথ্যা বলে, তাহার নাম অভিনিবেশ-মিথ্যাত্ৰ । নবাঙ্গ বৃত্তিকার অভয়দেবস্তুরি নবতত্ত্ব প্রকরণভাষ্যে গোষ্টামাহিলকে অভিনিবেশী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন (৬২) । জিনোক্ত তত্ত্বে শঙ্কা করার নাম সংশয়মিথাত্ । জিনভদ্রগণিক্ষমাশ্রমণ র্তাহার ধ্যানশতকে সংশয়মিথ্যাম্বের কারণ এইরূপ লিখিয়াছেন,—জৈন মত স্তাদ্বাদরূপ অনস্ত নয়াত্মক, এই জন্য সহজে বুঝা অতি কঠিন, সপ্তভঙ্গী, সকলাদেশী, বিকলাদেশী, ভঙ্গের স্বরূপ, অষ্ট পক্ষ, সাতশত নয়, চারি নিক্ষেপ, দ্রব্য ক্ষেত্র কাল ভাব, ষড় ভঙ্গী ( যথা—উৎসর্গ, অপবাদ, উৎসর্গাপবাদ, অপবাদোৎসর্গ, উৎসর্গোৎসর্গ, অপবাদাপবাদ ), বিধিবাদ, চরিত্রামুবাদ, ” जननित्य ( भागशेखावाङ्ग बउि) क+अप्इ क्रादि वाकव्र बिर्ड विक्ङ्ग" झडेव] । 韃 | (৬৯) “গোটুঠামহিল মাদ ণং জং অভিনিবিসি তু ভয়ং।" (नदउसूयंक्ङ्ग१उांषा ।) "זזדץ"ד [ ২৯১ ] ँश्चन যথাস্থিতবাদ ইত্যাদি। জৈনশাস্ত্রে এইরূপ অনন্তনয়ের প্রসঙ্গ আছে, এই সকল জানিতে হইলে বড় নিৰ্ম্মল বুদ্ধি চাই ও উপযুক্ত গুরু চাই, নহিলে সংশয়মিথ্যাভের কারণ ঘটবে। ষাহীর ধৰ্ম্মধৰ্ম্মে জ্ঞান নাই, বিকলেঞ্জিয়, তাহার নাম অনাভোগমিথ্যাত। এতদ্ভিন্ন প্ররূপণ, প্রবর্তন, পরিণাম, প্রদেশ, ধৰ্ম্মে অধৰ্ম্মজ্ঞান, অধৰ্ম্মে ধৰ্ম্মজ্ঞান, সত্যে অসত্যজ্ঞান, বিষয়মার্গকে সৎমার্গবোধ, সাধুকে অসাধু, অসাধুকে সাধু, ষটুকায় জীবকে অজীব, অজীবকে জীব, মূৰ্ত্তিকে অমূৰ্ত্তি এবং অমূৰ্ত্তিকে মূৰ্ত্তিজ্ঞান, এ ছাড়া লৌকিকদেব, লৌকিক গুরু, লৌকিক লোকোত্তরলে, লোকোত্তরগুরু, লোকোত্তরপর্ব ইত্যাদি ভেদ আছে । 參 বার প্রকার আবিরতির মধ্যে পাচ ইঞ্জিয়গত, মনোগত ও ছয় কায়গত । কষায় — ষোল কষীয় ও নয় প্রকার নোকষায় ভেদে পচিশ প্রকার ।

  • যোগ নামক বন্ধহেতু তিনপ্রকার—মনোযোগ, বচনযোগ ও কায়যোগ । মনোযোগ আবার চারিপ্রকার—সত্যমনেযোগ, অসত্যমনোযোগ, মিশ্রমনোযোগ ও ব্যবহারমনোযোগ । সত্যবচন দশ প্রকার-জনপদসত্য, সম্মতসত্য, স্থাপনাসত্য, নামসত্য, রূপসত্য, প্রতীতসত্য, ব্যবহারসত্য, ভাবসত্য, যোগসত্য ও উপমাসত্য। } অসত্য বা মিথ্যাবাক্যও দশ

প্রকার-ক্রোধ, মান, মায়া, লোভ, রাগ, দ্বেষ, হাস্ত, ভয়, বিকথা ও হিংসাসংযুক্ত এই দশপ্রকার অসত্য । মিশ্রবচন ১• প্রকার ; যথা—উৎপন্নমিশ্রিত, বিগতমিশ্রিত, উৎপন্নবিগতমিশ্রিত, জীবমিশ্রিত, অজীবমিশ্রিত, জীবার্জীবমিশ্রিত, অনস্তমিশ্রিত, প্রত্যেকমিশ্ৰিত, অদ্ধামিশ্রিত ও অদদ্ধামিশ্রিত। ব্যবহারবচন ১২ প্রকার ; যথ-আমন্ত্রণা, আজ্ঞাপন, যাচনা, পৃচ্ছন, প্রজ্ঞাপন, প্রত্যাখ্যানী, ইচ্ছামুলোম, অনভিগৃহীত, অভিগৃহীত, সংশয়, প্রকট ও অপ্রকট । কায়যোগ সাতপ্রকার— ঔদারিককায়যোগ, ঔদারিক মিশ্রকায়যোগ, বৈক্রিয়মিশ্রকায়যোগ, আহারককায়যোগ, আহারকমিশ্রকায়যোগ ও কাৰ্ম্মণকায়যোগ । ইহার প্রথম দুই কায়যোগ মনুষ্যের, তৎপরবর্তী দুই চতুর্দশ পূৰ্ব্বপাঠা সাধুর এবং পরম্ভবগামী সমুদঘাত-অবস্থাপ্রাপ্ত কেবলী ও তৈজস শরীরযুক্ত জীবের কাশ্মণ যোগ হইয়া থাকে । মোক্ষ। জীবের সম্পূর্ণ জ্ঞানাবরণাদি কৰ্ম্ম ক্ষয় হইলে যে স্বরূপাবস্থা আইসে, তাহার নাম মোক্ষ । মোক্ষ জীবের ধৰ্ম্ম। সুতরাং সকল স্থানে জীবপৰ্য্যায় জীব হইতে ভিন্ন হইতে পারে না, সিদ্ধ জীব হইতে কথঞ্চিৎ অভিন্ন ।