পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G 8 বিশ্বনাথ রামায়ণ । কার অনুগ্রহে আমাতে স্ফৰ্ত্তি পাউক । ভগবান রুদ্রদেব তথাস্তু বলির অন্তৰ্হিত হইলেন। মহাবল বিশ্বামিত্র অস্ত্র প্রাপ্তিতে দর্পপূর্ণ হইয়া পৰ্ব্ব, কালীন সমুদ্রের ন্যায় বিবৰ্দ্ধমান হইলেন, এবং মনে করিলেন যে, আমা হইতে বশিষ্ঠ হত হইবেন । অনন্তর বশিষ্ঠাশ্রম প্রাপ্ত হইয়া অস্ত্রগণের প্রক্ষেপ আরম্ভ করাতে ঐ সকল অস্ত্র প্রভাবে বশিষ্ঠাশ্রম দগ্ধপ্রায় হইবার উপক্রম হইল। বশিষ্ঠ ঋষি মাভৈৰ্মাভৈঃ’ কহিলেও আশ্রম বাসী মুনিগণ এবং শিষfবর্গ অতিভীত হইয়া নানাদিকে পলায়নপর হওয়াতে বশিষ্ঠাশ্রম উষর ভূমির ন্যায় শূন্য হইল । তথন বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্রের প্রতি কহিলেন —তুমি আমার চিরকালের আশ্রম অকারণে বিধৰস্ত করিলে, অতএব রে হ্রাচীর । রে মূঢ় ! তুই থাকিবি না। বশিষ্ঠ এই সরোষ বাক্য কহিয়া বিধুম কালাগ্নি তুল্য বা সাক্ষাং যমদণ্ডতুল্য ব্রহ্মদও উদ্যত করিলেন। বিশ্বামিত্র আগ্নেয়, বারুণ, রৌদ্র, পাশুপত, ঐশিক, মোহন, স্বপন, গান্ধৰ্ব্ব, সন্তাপন, জম্ভণ, শোষণ, ব্রহ্মপাশ প্রভৃতি সমস্ত অস্ত্র প্রয়োগ করিলেন । পরস্তু ঐ অতিঘোর মহাস্ত্ৰগণ বশিষ্ঠের একমাত্র ব্রহ্মদণ্ড দ্বারা নিরাকৃত হইল । বশিষ্ঠের ত্ৰৈলোক্য-মোহজনক অতি দারুণাকার রূপ প্রবল হইল, এরং তাহার হস্তে উদ্যত ব্ৰহ্মদণ্ড বিধূম জলৎকালাগ্নির ন্যায় দেদীপ্যমান হইল। অনন্তর মুনিগণ বিনয়পুৰ্ব্বক কহিলেন—আপনকার বল অথরিষিত এবং অব্যৰ্থ ; বিশ্বামিত্রের নিগ্রহ ৱিশিষ্টরূপেই হইয়াছে, এক্ষণে আপনার তেজ স্বয়ং শাস্ত করুন—ত্রিলোকের ভয় নষ্ট হউক। বশিষ্ঠ এই কথা শুনিয়া আপন তেজের শাস্তি করিলেন। বিশ্বামিত্ৰ সৰ্ব্বতোভাবে নিরস্ত (১) হইয়। পুনঃ পুনঃ দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করত চিন্ত করিলেন, ক্ষত্রিয় Ꮠ তাৎপৰ্য্যাৰ্থ । 战 * ১। বিশ্বামিত্র ভগবান রুদ্রদেবের আরাধন করিলেন, অর্থাৎ রৌদ্র মূৰ্ত্তি অভিচার যোগ গ্রহণ করিলেন। কিন্তু জিতেন্দ্রিয় এবং জিতান্তঃকরণ ব্রহ্মোপাসকের প্রতি অভিচার যোগ অকিঞ্চিৎকর হয় । আপন৷ অপেক্ষায় মহন্তরের ক্রুতি অভিচার প্রয়োগে তৎপ্রয়োক্তারই হানি হয়। তাহার পর তিনি অভিচার যোগ পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক বিশেষ বিশেষ ক্রিয়াশালী এবং স্থিরদৃষ্টি ও দৃঢ়াসন হইলে রাজর্ষি-পদবাচ্য হইলেন। अक