Wo o বিশ্বনাথ-রামায়ণ । কহিলেন, জ্যেষ্ঠ পুত্র অবিক্রেয়, মাত কহিলেন, কনিষ্ঠ অবিক্রেয় ; ফলতঃ তাহাদিগের মধ্যম পুত্র বিক্রয়েই মতি হইল ; মহারাজ ! আমাকেই লউন । অনন্তর রাজা কোটি স্বর্ণ এবং লক্ষ গো পণ প্রদান পূর্বক শুনসেফকে স্বরথে আরোহণ করাইয়া সত্বর গমন করিলেন । পরে মধ্যtছু সময়ে রাজা পুষ্কর তীর্থ স্থলে বিশ্রাম করিলে, শুনঃসেফ অতি বাকুল হইয়া তপশ্চরণে রত ঋষিবর্গের মধ্যে আপন মাতুল বিশ্বামিত্রকে দেখিতে পাইয়া, ক্ষুধা, তৃষ্ণ, পথ শ্রম এবং মরণ ভয়ে অতি দীন এবং বিষঃ-মুখ হইয়া, বিশ্বামিত্রের ক্রোড়ে পতিত হইয়। বলিল—ভগবন! আমি জনক জননীকর্তৃক বিক্রীত, অতএব পিতৃ মাতৃ হীন, আমার জ্ঞাতি বান্ধবগণও দূরে অবস্থিত, আমার রক্ষণকৰ্ত্ত অপর কেহই নাই ; হে কৃপাময় ! আপনি ধৰ্ম্মে সকলের রক্ষিতা, আমায় পরিত্রণ করুন ; আমি অনাথ। যাহাতে রাজার উদ্দিষ্ট যজ্ঞ ফলের লাভ হয়, এবং আমিও দীর্ঘায়ু হইয়া তপশ্চরণ পূৰ্ব্বক স্বর্গ প্রাপ্ত হইতে পারি, আপনি প্রসন্ন মনে পিতার পরিত্যক্ত এই পুত্রের নাথ হইয়া, আমাকে উপস্থিত আপদ হইতে ত্ৰাণ করুন । মহাতপা বিশ্বামিত্ৰ শুনঃসেফের বাক্য শ্রবণাস্তে, তাহাকে বহুবিধ আশ্বাস প্রদান করিয়া নিজ পুত্রদিগের প্রতি কহিলেন–পিতা পরলোক হিতার্থ পরলোক হিতার্থী পুত্রের উৎপাদন করেন। আমার সেই কাল উপস্থিত হইয়াছে। এই বালক, মুনি সস্তান, আমার শরণাগত, ইহার জীবন রক্ষার দ্বারা আমার প্রিয়সাধন কর । তোমারা সকলেই পুণ্যকৰ্ম্ম এবং ধৰ্ম্মপরায়ণ । তোমরা অম্বরীষ রাজার যজ্ঞের পশু হইয়া অগ্নিকে তৃপ্ত কর, শুনসেফ রক্ষা পাউক এবং রাজার ষজ্ঞ অচ্ছিদ্র হউক, দেবতাদিগের তুষ্টি হউক,এবং আমার বাক্যরক্ষা হউক। বিশ্বামিত্রের বাক্য শ্রবণান্তে মধুচ্ছন্দাদি র্তাহার পুত্রের কহিলেন—ঠাকুর! আপনার পুত্র ত্যাগ করিয়া অপরের পুত্রের রক্ষণ, ক্ষুধার্থ ব্যক্তিয় স্বমাংস ভোজনের স্তায় অকাৰ্য্য—কি প্রকারে এরূপ আকার্ষ্যে অমুমতি করেন ? বিশ্বামিত্র পুলদিগের এই উক্তি শুনিয়া ক্রোধে রক্ত লোচন হইয়া কহিলেন ; তোমরা ধৰ্ম্মনিন্দিত,যাহা কহিলে তাহ আমার উক্তির অতিক্রান্ত,যাহা শুনিলে লোমাঞ্চিত হইতে হয় একথা এমন নিযুর, অ ত এ জাতিতে বশিষ্ঠ পুত্রদিগের তুল্য হইয়। পূর্ণ সহস্র বর্ষ শ্বমাংসাহারী হইয়া পৃথিবীতে বিচরণ কর । পুত্রদিগের প্রতি
