পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lo/: তর্কভূষণমহাশয় জীবিতকালের শেষাবস্থায় অনেকগুলি ছাত্রকে শ্ৰীমদ্ভগবত এবং তন্ত্রশাস্ত্র অধ্যয়ন করাইয়া বিশেষ সন্তোষলাভ করিতেন। ভাগবতের ব্যাখ্যায় বেদান্ত দর্শনের স্থত্র প্রয়োগে এবং তন্ত্র শাস্ত্রের ব্যাখ্যায় ঐ শাস্ত্রের গুঢ় এবং প্রকৃত অর্থের উদ্ভাবনে, তাহার যৎপরোনাস্তি আনন্দ হইত। তিনি বলিতেন যে, তন্ত্রশস্ত্রে এবং বেদের শিরোভাগ উপনিষদে পরম্পর অভিন্ন মতবাদই প্রকটিত হইয়া অাছে। তিনি বলিতেন যে, পুরাণ-শাস্ত্র সমুদায় লৌকিক ব্যাপার গুলিকে অবলম্বমাত্র করিয়া, বেদের শাখা সকলকে ব্যাখ্যাত করে । তাহার মতে মহাভারত গ্রন্থ কৰ্ম্মকাও বেদকে এবং রামায়ণ উপাসনা কাও বেদকে সুবিস্তৃত করিবার উদ্দেশেই প্রণীত হইয়াছিল। তিনি পৌরাণিক সকল আখ্যায়িকারই এক একটি গুঢ়াৰ্থ প্রকটিত করিতেন এবং শাস্ত্রোক্ত যাবতীয় দেবমূৰ্ত্তির তাৎপৰ্য্যার্থ যে সেই উপনিষৎ-বেদ্য পুরুষ, তাহ জিজ্ঞাসা করিলে অতি সহজে এবং সুন্দররাপে বুঝাইয়া দিতেন। তর্কভূষণ মহাশয়ের বাহ্য জীবনী অতি সজোপে লিখিত হইল। তাহার অস্তজীবনী লিখিবার চেষ্টা করিতে গেলে লেখকের মনকে সেই বহু পূৰ্ব্বগত বৈদিক সময়ে উপস্থাপিত করিতে হয়। তর্কভূষণ মহাশয় প্রকৃত প্রস্তাবে ঋষিতুল্য ব্যক্তিই ছিলেন। তিনি সংসারাশ্রমের সমুদায় কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বিশেষ বত্ব পূর্বক নিৰ্ব্বাহিত করিয়াও লোভ, মোহ, মাৎসৰ্য্য, অভিমানাদির সর্বতোভাবে অনধীন এবং শোক, হর্ষ, বিষাদ বিবর্জিত হইয়। সৰ্ব্ব বিষয়ে সম্যক জ্ঞানদৃষ্টি হইয়াছিলেন। ১২৭২ সালের ভাদ্র মাসে চু চুড়ার বাটতে এক পুত্র, এক কন্য্যা এবং পৌত্র দৌহিত্রাদি রাখিয়৷ র্তাহার ৮ গঙ্গালাভ হয়। ঐ সময়ে সোমপ্রকাশ পত্রের লেখক তাহার বিষয়ে যেরূপ উক্তি করিয়াছিলেন, তাহ উদ্ধৃত করিয়া এই বিবরণী সমাপ্ত করা হইল। " “স্বৰ্গীয় তর্কভূষণ মহাশয় এক জন অতি প্রধান অধ্যাপক ছিলেন । ব্যাকরণ, স্মৃতি,পুরাণ, বেদাস্ত এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে তাহার প্রগাঢ় ব্যুৎপত্তি ছিল। তদ্ভিন্ন বৈদ্যশাস্ত্র, তন্ত্রশাস্ত্র এবং মিশ্রের প্রণীত ঘটক