পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ38 বিশ্বনীথ-রামায়ণ | হইয়। কছিল—দেবরাজ ! এই বিশ্বামিত্ৰ ঋষি অতি ক্রোধাবিষ্ট মহা তপস্বী, ইনি আমার প্রতি ক্রোধ করিবেন। আপনার আদিষ্ট কাৰ্য্য সাধনে প্রবৃত্ত হইতে আমার অতিশয় ভয় হইতেছে, আপনি প্রসন্ন হইয়া আমাকে ক্ষমা করুন। অতিভয়ে কম্পমান রম্ভীর কাতরোক্তি শ্রবণাস্তে ইন্দ্রদেব মাভৈঃ শব্দ প্রয়োগ পূর্বক বলিলেন, তুমি আমার আজ্ঞ প্রতিপালন কর, এই বসন্ত কালীন আশ্চর্ষ্য শোভা বিশিষ্ট: বৃক্ষে বসিয়া কোকিল মনোহর ধ্বনি করিবে এবং অামি কামদেবের সহিত তোমার পাশ্ববৰ্ত্তী থাকিব ; তুমি আপন সুপরিস্কৃতরূপের সহ হাব ভাবাদি যোগ করত মহামুমির তপশ্চালনে চেষ্টাবতী হও । ইন্দ্রের বাক্য শ্রবণে পরম রূপবতী রম্ভ। ললিত ভাবে মৃত্যু হাস্য করিয়া মহামুনির লোভেtৎপাদনে উদ্যত হইল। সেই সময়ে কোকিলের মনোহরধ্বনিও শ্রত হইল এবং মহামুনিও হৃষ্টমনে রম্ভার প্রতি নিরীক্ষণ করিলেন। কিন্তু বিশ্বামিত্র তৎক্ষণেই বুঝিতে পারিলেন যে, ইহা ইন্দ্রদেবের কৃত র্তাহার তপোবিঘ্ন ; এই বোধ হইবামাত্র তিনি ক্রোধাবিষ্ট হইলেন এবং ক্রোধ জন্ত সন্তাপ অন্তঃকরণে ধারণ করিতে অসমর্থ হইয়া রম্ভার প্রতি শাপোক্তি করিলেন—দশ সহস্রবর্ষ পর্ষ্যস্ত অতি দুর্গমদেশে শিলাময়ী প্রতিমা হইয়া থাক । পরক্ষণেই বোধ হইল যে, ইন্দ্রের অপরাধে রস্তার প্রতি শাপ প্রয়োগ করিলাম । এই ভাবিয়া বলিলেন—অতি তেজস্বী কোন ব্রাহ্মণ তোমাকে এই শাপ হইতে মুক্ত করিবেন । অনন্তর বিশ্বামিত্র ঋষি মনে মনে চিন্তা করিলেন, অজিতেন্দ্রিষত বশতঃ অন্তঃকরণে শাস্তিপ্রাপ্ত হইলাম না । অতএব যে পৰ্য্যস্ত ব্রহ্মণ্য প্রাপ্তি না হয়, তাবৎ যাহাতে ক্রোধ জন্মিতে না পারে, তাহার উপায় করিব । এইরূপ প্রতিজ্ঞা করিয়া বিশ্বামিত্র ইন্দ্রিয়গণকে শুস্ক করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন, বহুবর্ষ নিশ্বাস রোধ, ফলতঃ প্রণয়াম যোগ এবং অtহার রোধ করিবেন। তিনি নিশ্চয় করিলেন যে, তপোবল প্রভাবে শরীর নষ্ট হইতে পরিবে না। অনন্তর উত্তর দিক হইতে পুৰ্ব্বাভিমুখে গমন করিলেন এবং স্বীয় প্রতিজ্ঞার অনুরূপ ঘোর তপস্যা করিলেন। ঐ তপস্যাতে সহস্ৰ বৎসর মৌনব্রত ধারণ করিলেন । ইহার মধ্যে শুষ্ক কাঠতুল্য শরীরধারী সেই মহামুনির প্রতি নানা বিঘ্ন হওয়াতেও