পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদিকাণ্ড । ৬৩ উত্তর পর্বতস্থ হইয়া বিশ্বামিত্র যে ঘোর তপস্যারম্ভ করিলেন, দেবতার তাহাতে ভীত হইয়াঋষিবর্গের সহিত মিলিত হইয়া ব্রহ্মার সমক্ষে নিবেদন করিলেন—ভগবন! কৌশিক-মূমি মহর্ষি পদবাচ্য হউন। ব্রহ্মা দেবগণের বাক্য শ্রবনান্তে বিশ্বামিত্র সমীপে আসিয়া অতি মধুত্বস্বরে কহিলেন—হে বিশ্বামিত্র ! তোমার কঠোর তপস্যায় প্রাত হইয়া তোমাকে মহর্ষি উপাধি প্রদান করিলাম । ভগবান ব্রহ্মার এই উক্তি শুনিয়া বিশ্বামিত্র কৃতাঞ্জলিপুট হইয়া প্রণতি পূর্বক কহিলেন—ভগবন! যদি আমার প্রতি মহর্ষি শব্দ প্রযুক্ত করিলেন, তবে , আমি বিজিতেন্দ্রিয় হইবার জন্য যত্ন করি । ব্রহ্ম বলিলেন, তুমি এখনও সৰ্ব্বতোভাবে জিতেন্দ্রিয় হও নাই; অতএব তাহ হইবার জন্য যত্ন কর। এই বলিয়। তিনি দেবগণের সহিত অস্তৰ্হিত হইলেন । বিশ্বামিত্র পুনৰ্ব্বার তপশ্চরণ করত দিবাতে অবলম্বনরহিত এবং রাত্রিতে বায়ুমাত্র ভোজী, গ্রীষ্মকালে পঞ্চতপা, বর্ষাকালে নিরাবরণস্থলস্থ, শীতকালে জলস্থ, হইয়া সহস্ৰ বৎসর পর্য্যস্ত ঘোর তপস্যা করিলেন । এই তপঃপ্রভাবে দেবগণের এবং ইন্দ্রের মহা সস্তাপ হওয়াতে, ইন্দ্র রস্তা নামী অপসারীর প্রতি আত্মোপকারক এবং বিশ্বামিত্রের অহিতজনক কার্ষ্যের আদেশ করিলেন । তিনি বলিলেন—হে রম্ভে ! কামপরবশত প্রযুক্ত অন্তঃকরণের বিরসতী উৎপাদন দ্বারা বিশ্বামিত্রের প্রতারণ করাই অতি মহৎ দেবকীর্য্য । ইহা তোমার কৰ্ত্তব্য । রস্ত এই অণজ্ঞ শ্রবণে আপনাকে তৎকার্য্যে অসমর্থ জানিয়া লজ্জিতা এবং কৃতাঞ্জলি তাৎপর্য্যার্থ। অথবা, বিশ্বামিত্র পুঙ্করতীর্থে বনশোভ, জলশোভ, পববতাদি শোভা দর্শনে বহু কাল অতিবাহিত করেন । কৰ্ম্মকাণ্ডুে বস্তুভেদ দর্শন হইয়া থাকে। মন তাহাতে সাতিশয় সংযুক্ত হইলে তপস্যার ফল অল্প হয়। ( ১ ) রতি শব্দে ধাতুঃ—অয়ৎ প্রত্যয় নিম্পন্ন রম্ভ। রম্ভ অঙ্গর অন্তঃকরণের আকর্ষক ধ্বনি, সামান্ততঃ গীতি, ইহা ইন্দ্রিয়ের উত্তেজক । কিন্তু বৈদিক গাথ। ব্ৰহ্মাদ্বৈততত্ত্বে অন্তকরণের নিষ্ঠা জন্মায় । এই জন্য ব্রাহ্মণস্পর্শে অর্থাৎ ব্রহ্ম-গীতিতে রম্ভার শাপান্ত । > o.