পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বনাথ রামায়ণ । * معيامنا আপনি স্ত্রীরাম লক্ষ্মণের সহিত আমার যজ্ঞে আগমন পুৰ্ব্বক দৃষ্টিগোচর হইয়।

  • তাৎপর্য্যাথ ।

দুঃখ নিবৃত্ত্যন স্তর অনন্ত হুখের ভাজন করেন । অতএব ইনিই বিশ্বের মিত্র এবং বিশ্বামিত্র পদবাচ্য । কৰ্ম্মকাণ্ড বেদ সবিকল্প সমাধি পর্যন্ত দশ ইয়। বিরাম করিলে, উপাসনাকী ও বেদের কার্য্যা রম্ভ হয় । তিনি সাধককে গন্ধ, রস, রূপ. স্পশ্ব, শব্দ এই গুণ পঞ্চকের সহিত, ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম এই ভূত পঞ্চকের জয়ে প্রবৃত্ত করেন । ইহাদিগের জয় হইলেই জগৎ জয় হইল, কারণ জগতে তগ্রামাতিরিক্ত সামগ্ৰী নাই । ভূত পঞ্জক জিত হইলে জ্ঞানেন্দ্রিয়গণ স্ব স্ব গ্রাহ বস্তুর প্রত্যক্ষাভাব প্রযুক্ত স্বয়ং নষ্টপ্রায় হয় । এই ভূতপঞ্চক কেবল পরমেশ্বরের অলৌকিক বিগ্রহের ধ্যান কালে নেতি নেতি বাক্যে প্রতিযোগিরূপে মাত্র থাকে। ঐ অবস্থায় আপনার দেহেন্দ্রিয়াদির প্রতি স্মরণ হইয়। তৎক্ষণাৎ জগৎ সম্পাদক সামগ্রীর মধ্যে আমি কিছু নহি, এই জ্ঞানের উদয় হইয় তাহার পরিপাকে সমগ্রভূত জয় হয় । সুতরাং গ্রাহাবস্তুর অপ্রাপ্তি নিবন্ধন মনের যে কার্য্য অর্থাৎ সঙ্কল্প এবং বিকল্প, তাহার সৰ্ব্বতোভাবে নাশ হয় । এই অবস্থাকে মনোলোপ বলে। ফলতঃ একমাত্র বিষয়ে মনের অত্যন্ত নিবেশ হইলে প্রায়ই সঙ্কল্পবিকল্পরূপ দ্বৈধের অভাব হওয় তে তাহাকেও মনোলোপ বলা যায় । মনস্তর বুদ্ধির ধৰ্ম্মবিবেকও, সামগ্রীর দ্বৈত না থাকায় কাৰ্য্যকারী হইতে পারে না । সুতরাং মনোcলাপের সহিত বুদ্ধিরও নাশ হইয়া যায় । অপরস্তু, বস্তুর দ্বিধা ভাবের অভাব হইলে সুখদুঃখাদি ভেদ থাকে না । সুতরাং অহং সুর্থী অহং দুঃখী’ এরূপ অভিমানেরও স্থল থাকে না । অতএব অহঙ্কার নাশ হইয়া যায় । কেবল কদাচিৎ জগৎ সম্পাদক কোন সামগ্রীর স্মরণ মাত্র থাকে। উপাসনকাও বেদ এই পর্য্যন্ত করিয়া উপরক্ত হয়েন । ইনি গ্রাহা বস্তুর নশ্বরতা প্রযুক্ত তাহার অভাব সাধন সহকারে ইন্দ্রিয়গণের জয় লাভ করেন । অতএব উপাসনাকীও অতি জিতেন্দ্রিয় এবং সেই জচাই বশিষ্ঠ পদ বাচা হইয়াছেন। মহর্ষি বশিষ্ঠ এবং বিশ্বামিত্রের বিলদ বর্ণন চছলে উভয়ক গু বেদের ー・・ア /