পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদিকাণ্ড । ○" শতানন্দ শ্রীরাম লক্ষ্মণ সমক্ষে এই পর্য্যন্ত কহিয়া বিরত হইলে, জনক রাজা কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিলেন—হে ভগবন কৌশিক ! AeeAeAeeAAAS AAAAA AAAAeeAeeAMA AeeAeeAeeeAAASAAAA كوفييتي تقضي حيخليجي شیمیایی است. তাৎপর্য্যাৰ্থ । অন্তঃকরণকে নিশ্চেষ্ট করিতে হয়। পক্ষান্তরে, ক্রিয়ার সাধন ব্যতিরেকে অন্তঃকরণকে স্থির ভাবে রাখা অতি কঠিন । এই জন্ত সমস্ত ফলাভিসসন্ধিশূন্ত হইয়া ক্রিয়া সাধন চেষ্টাই এই সময়ে বৈধ । ঐ সকল ক্রিয়ানুষ্ঠানকালেও বহুবিধ বিঘ্ন উপস্থিত হয় । বহু জপ চান্দ্রণয়ণদি ব্রতের দ্বারা ঐ সকল বিঘ্ন উত্তীর্ণ হইলে, অন্তঃকরণের হঠাৎ বিক্ষেপ হইতে থাকে । মৌন এবং উপবাসাদি দ্বারা তাহার কিয়দংশ নিবৃত্ত হয় এবং বিষয়াদিতেও অভিনিবেশের শিথিলতা জন্মে। কিন্তু উদ্বোধক বস্তুর উপস্থিতিতে ইন্দ্রিয়গণ তখনও তুষ্ট হইতে পারে এবং পাছে তাদৃশ কোন দোষ জন্মে অন্তঃকরণে এইরূপ ভয় থাকাতে অভ্যন্তরে ক্রোধেরও বীজ থাকিয়া যায়। সেই ক্রোধের জয় ব্যতিরেকে ক্রিয়া বিশুদ্ধ হয় না । ইন্দ্রিয় জয়ে প্রবৃত্ত হইয় প্রথমতঃ সাত্ত্বিক আহার, পরে অল্পাহার, আনস্তর নিরাহার পর্য্যন্ত করিতে হয়। অন্তথা ইন্দ্রিয়গণের প্রাবল্য হরণ সম্যক্রূপ হয় মা। মনেরও স্বার্থপরতা এবং কুরতা সৰ্ব্বতোভাবে অপগত হয় না । যে ইন্দ্রিয় ধৰ্ম্ম খৰ্ব্ব বা নষ্ট হয় তাহার ধৰ্ম্ম মনোমধ্যে উপস্থিত হইতে থাকে । মন বায়বীয় পরমাণুর সদৃশ বস্তু। তাহাকে বদ্ধ না করিলে চাঞ্চল্য যায় না। অতএব তাহার চাঞ্চল্য নিবারণার্থ আসন শুদ্ধি করিয়া প্রণায়াম করিতে হয় । তদনন্তর পরমেশ্বরের বামনী মূৰ্ত্তিতে জপপুজাদি করিলে হৃষীকেশ প্রত্যক্ষ হইয়। ইন্দ্রিয়গণের সহিত মনের তাদৃশ ষোগ রহিত হইয়া যায়। তখন সকল ইন্দ্রয়ই অস্তমুখ হইয়া বাহ - বস্তুতে অভিনিবেশ ত্যাগ করে । এই কালে অন্তঃকরণের অনবস্থা হইতে পারে । অতএব শাস্ত্রীকুমত পরমেশরূপ নিরস্তর চিন্তন করা আবশ্যক । তাহা করিতে করিতে মনের স্থৈৰ্য্যোলুথত। জন্মে। এবং ক্রমশঃ অন্তঃকরণ ক্ষণকাল ব্যাপিয়া নিরবলম্ব হইতে থাকে । ইহাকে সবিকল্প সমাধি কহ যায় । কৰ্ম্মকাণ্ড বেদ এই প্রকারে পশুতুল্যধৰ্ম্ম মানুষাকার জীবকে সাংসারিক