পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি কাণ্ড । 이 이 করুন । বশিষ্ঠ তথাস্তু বলিয়া বিশ্বামিত্র এবং শতানন্দকে লইয়া পানীয়গৃহমধ্যে বেদী নিৰ্ম্মণপূৰ্ব্বক গন্ধপুষ্পাদিদ্বারা বেদী সুসজ্জ করিলেন, এবং সুবর্ণযুক্ত পাত্রের সহিত মনোহররূপে চিত্রিত কুম্ভ এবং অঙ্কুরপূর্ণ শরাব, সধুপ ধুপপাত্র, শঙ্খপাত্র এবং অর্ঘ্যপাত্র ক্রক ক্ৰবাদিদ্বারা শোভিত করিয়৷ তন্মধ্যে অগ্ন্যাধানপূৰ্ব্বক যথাবিধি মন্ত্রপূর্বক হোম সমাপন করিলেন । পরে জনক রাজা সৰ্ব্বাভরণভূষিত সীতাকে আনিয়া অগ্নি-সমক্ষে শ্রীরামের প্রতি কহিলেন—ইনি পতিব্ৰতা এবং মহা কীৰ্ত্তিমতী – ইনি ছায়ার ন্যায় তোমার অনুগত এবং সহধৰ্ম্মিণী হইলেন। অভিলাষ সহকারে ইষ্ঠার পাণি’ গ্রহণ কর। ইহা কহিয়া মন্ত্রপূত জল নিক্ষেপ করিলেন । দেবগণ ও ঋষিগণ পুনঃ পুনঃ সাধুবাদ করিতে লাগিলেন। সেই সময়ে দেবদুন্দুভিধ্বনি এবং মহতী পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল । জনক রাজা আনন্দপুর্ণান্তঃকরণে পুনৰ্ব্বার কহিলেন—হে লক্ষ্মণ –এই উৰ্ম্মিল কন্য। আমার দেয়, পাণিগ্রহণ পূর্বক ইহাকে গ্রহণ কর। পরে ভরতকে কহিলেন—তুমি কন্যা মাগুবীর পাণিগ্রহণ কর । অনন্তর শক্রস্তুকে কহিলেন—তুমি কন্যা শ্ৰুতকীৰ্ত্তির পাণিগ্রহণ কর । তোমরা সকলেই ব্রহ্মচর্য্যাদি কৰ্ত্তব্য ব্রত উত্তমরূপে সাধন করিয়াছ । অতএব কালাত্যয়ে প্রয়োজন নাই, সকলেই পত্নীযুক্ত হও । জনক রাজার বাক্য শ্রবণানন্তর বশিষ্ঠ মহর্ষির মতানুসারে চারি দাশরথি ঐ চারি কন্যার পাণিগ্রহণ পূৰ্ব্বক অগ্নি-সহিত বেদিও ঋষিবৰ্গ এবং জনক রাজাকে প্রদক্ষিণ করিয়া যথাবিধি সপ্তপদী গমনাদি বিবাহকৰ্ম্ম সমাপন করিলেন। আকাশ হইতে মহতী পুষ্পবৃষ্টি এবং দেবদুন্দুভি ধ্বনি হইল, এবং অন্যান্য বাদ্যসহকারে অপসরাগণের আশ্চৰ্য্য নৃত্য আর গন্ধৰ্ব্বগণের মনোহর গীত হইল। এইরূপ হইলে পর, লৌকিক বাদিত্রের তুমুল মনোরম ধ্বনি কালে তিন বার অগ্নি প্রদক্ষিণ পূৰ্ব্বক দশরথ-কুমারগণ স্ব স্ব ভাৰ্য্যা গ্রহণ করিলেন এবং সভাৰ্য্য হইয়। শিবিরে গমন করিলেন। রাজা দশরথ, ঋষিগণ এবং বান্ধবগণের সহিত সভাৰ্য্য কুমারবর্গকে দর্শন করত তাহাদিগের পশ্চাদগামী হইলেন । i ঐ রাত্রি প্রভাত হইলে মহামুনি বিশ্বামিত্র দশরথ রাজা এবং জনক রাজাকে সম্ভাষণপূর্বক উত্তর পববতে অর্থাৎ হিমালয় প্রদেশে গমন করি,