Ե" ա বিশ্ব দার্থ-রামায়ণ । করত অর্ঘ্য প্রদান করিলেন। ঋষিপ্রদত্ত পুঞ্জ গ্রহণপূর্বক যামদগ্ন্য রাম দাশরথি রামের প্রতি কহিলেন—হে দাশরথি রাম ! তোমার অতি আশ্চর্য্য বীর্যের এবং হরধনুৰ্ভঙ্গের কথা আমি অশেষে শুনিয়াছি ; ঐ ধনুৰ্ভঙ্গ অতি অচিন্তনীয় ব্যাপার। ঐ কথা শুনিয়া অামি অপর একখানি ধনু লইয়া উপস্থিত হইলাম। তুমি এই যমদগ্নি-ক্রমাগত মহৎধনুতে শর যোজন। পূৰ্ব্বক ইহার আকর্ষণ কর। তাহাতে তোমার বল জানিয়া বীৰ্য্যবানদিগের অতি শ্লাঘনীয় যে দ্বন্দ্বযুদ্ধ তাহা করিব। তখন রাজা দশরথ অতি দীন, বিষণ্ণবদন ও কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিলেন—আপনি মহাতপস্বী ব্রাহ্মণ, আপনি ক্ষত্রিয়ের প্রতি ক্রোধ ত্যাগ করিয়াছেন । আমার পুত্ৰগুলি বালক । উহtদিগের প্রতি অভয়দান করুন । পরশুরামের প্রসন্নত না দেখিয়া রাজ। কহিলেচন—হে মহামুনে ! আপনি স্বাধ্যায় সম্পন্ন এবং ব্রতধারী ষে ভৃগুবংশীয় ঋষিগণ র্তাহাদিগের কুলে জন্মিয়াছেন; আপনি ইন্দ্রের সমক্ষে “আমি আর অস্ত্র ধারণ করিব না, এইরূপ প্রতিজ্ঞাপূর্বক অস্ত্র ত্যাগ করিয়য়াছেনু, কেশ্যপ মুনিকে সমুদায় পৃথিবী সমর্পণ করত পরম ধৰ্ম্মপর বনচারী হইয়। মহেন্দ্র পববতে বাস করিতেছেন,—এক্ষ৭ে কি আমার সববনাশ করিতে উপস্থিত হইলেন ? দশরথের বাক্যে অনাদর পূর্ববক পরশুরাম দাশরথিরামের প্রতি কহিলেন, এই দুই ধন্থ বিশ্বকৰ্ম্মারদ্বারা দেবতারা অতি যত্বপূর্ববক নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এই দুই ধন্থ সব্ব ধন্থর শ্রেষ্ঠ, অতি দৃঢ় এবং সকল লোকের পূজিত। ইহার মধ্যে ত্রিপুর-নাশক এই ধন্থ, যুদ্ধেচ্ছ ভগবান রুদ্রদেবকে দেবগণ, দান করেন, দ্বিতীয় এই ধনু বিষ্ণুকে দান করেন । এই সেই বিষ্ণুধনু রুদ্ৰধনুর প্রায় সমানাকার । বিষ্ণুকে এবং রুদ্রকে ধন্থদ্বয় দান করিয়া দেবগণ উইদিগের বলাবল পরীক্ষার্থ ব্ৰহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন । ভগবান ব্রহ্মা দেবতাদিগের অভিপ্রায় জানিয়া বিষ্ণু এবং রুদ্রের মধ্যে পরস্পর বিবাদ উদ্রিক্ত করেন। ঐ বিবাদে মহৎ যুদ্ধ হইল, সেই যুদ্ধে রুদ্ৰধনু শিথিল হইলে, দেবগণ বিষ্ণুধস্থকে মহত্তর বলিয়া জানিলেন। রুদ্রদেব ক্রুদ্ধ হইয়। নিজ ধনু মিথিলাদেশের রাজা দেবরাজের হস্তে সমর্পণ করেন, আর ভগবান বিষ্ণু এই ধনু ভৃগুবংশীয় ঋচীকমুনিকে ন্যাস অর্থাৎ গচ্ছিতরূপে দান করেন। ঐ মহাতেজস্বী ঋচীক নিজপুত্র ষমদগ্নিকে ধনু দেন এবং আমার পিত। যমদগ্নি তপোবল-প্রযুক্ত হইয়। এই বিষ্ণু ধনুর ব্যবহার
