পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বিশ্ব-পরিচয় তার বোধের চেয়ে আরো অনেক বেশি, জগতের সকল দৌড়ের সঙ্গেই সে পাল্লা দেবার স্পর্ধ রাখে। সে এই প্রকাও জগতের প্রকাণ্ড মাপের খবর জানতে বেরল, অনুভূতির ছেলে-ভুলোনো গুজব দিলে বাতিল ক’রে । ন কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইলকে আমরা কোনো মতেই অনুভব করতে পারিনে, কিন্তু বুদ্ধি হার মানলে না, হিসেব কষতে বসল। বাইরের বিশ্বলোকটার কথা থাক, আমরা যে পৃথিবীতে আছি, তার চেয়ে কাছে তো আর কিছুই নেই, তবু এর সমস্তটাকে এক ক’রে দেখা আমাদের বোধের পক্ষে অসম্ভব । কিন্তু একটি ছোটো গ্লোবে যদি তার ম্যাপ অণক দেখি, তাহলে পৃথিবীর সমগ্রটাকে জানার একটুখানি গোড়াপত্তন হয়। আয়তন হিসাবে গ্লোবটি পৃথিবীর অনেক হাজার ভাগের একভাগ মাত্র। আমাদের অন্ত্য সব বোধ বাদ দিয়ে কেবলমাত্র দৃষ্টিবোধের অাচড়-কাট পরিচয় এতে আছে । বিস্তারিত বিবরণ হিসাবে, এ একেবারে ফণকা । বেশি দেখবার শক্তি আমাদের নেই ব’লেই ছোটো করেই দেখাতে হোলো । প্রতিরাত্রে বিশ্বকে এই যে ছোটো করেই দেখানো হয়েছে সেও আমাদের মাথার উপরকার আকাশের গ্লোবে । দৃষ্টিবোধ ছাড়া অন্য কোনো বোধ এর মধ্যে জায়গা পায় না । যা চিন্তা করতে মন অভিভূত হয়ে যায় এত বড়ো জিনিসকে দিকসীমানায় বদ্ধ এই আকাশটুকুর মধ্যে আমাদের কাছে ধরা হোলো । কতই ছোটো ক’রে ধরা হয়েছে তার একটুখানি আন্দাজ