পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক 8ማሉ বেগনি-পারের আলে। জ্যোতিষীদের কাছে লাল-উজানি আলোর মতো এত বেশি কাজে লাগে না । তার কারণ এই খাটে। ঢেউয়ের আলোর অনেকখানি পৃথিবীর হাওয়া পেরিয়ে আসতে নষ্ট হয়, দূরলোকের খবর দেবার কাজে লাগে না । এর খবর দেয় পরমাণুলোকের । একট। বিশেষ পরিমাণ উত্তেজনায় পরমাণু সাদা আলোয় স্পন্দিত হয়। তেজ আরো বাড়লে দেখা দেয় বেগনি-পারের আলো । অবশেষে পরমাণুর কেন্দ্রবস্তু যখন বিচলিত হোতে থাকে তখন সে আরো খাটে। ঢেউ নিয়ে গামা রশ্মিতে গিয়ে পৌছয়। মানুষ তার যন্ত্রের শক্তি এতদূর বাড়িয়ে তুলেছে যে এক্স-রশ্মি বা গামা-রশ্মির মতে রশ্মিকে মানুষ ব্যবহার করতে পারে । যে কথা বলতে যাচ্ছিলুম সে হচ্ছে এই যে, বর্ণলিপি-বাধা দূরবীন ফোটোগ্রাফ দিয়ে মানুষ নক্ষত্রবিশ্বের অতি দূর অদৃশ্য লোককে দৃষ্টিপথে এনেছে । আমাদের আপন নাক্ষত্ৰলোকের সুদূর বাইরে আরো অনেক নাক্ষত্ৰলোকের ঠিকানা পাওয়া গেল। শুধু তাই নয়, নক্ষত্রেরা যে সবাই মিলে আমাদের নাক্ষত্র আকাশে এবং দূরতর আকাশে ঘুর খাচ্ছে তাও ধরা পড়েছে,এই যন্ত্রের দৃষ্টিতে । দূর আকাশের কোনো জ্যোতিময় গ্যাসের পিণ্ড, যাকে বলে নক্ষত্র, যখন সে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে কিংবা পিছিয়ে যায় তখন আমাদের দৃষ্টিতে একটা বিশেষত্ব ঘটে। ঐ পদার্থটি স্থির থাকলে যে পরিমাণ দৈর্ঘ্যের আলোর ঢেউ আমাদের অন্তভূতিতে পৌছিয়ে দিতে পারত কাছে এলে