পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ ο বিশ্ব-পরিচয় একটি আরেকটিকে আমাদের দৃষ্টিলক্ষ্য থেকে আড়াল করে দেয়, উজ্জলতায় দেয় বাধা । কিন্তু উজ্জ্বলতায় বিশেষ লোকসান ঘটত না যদি আড়ালকারী নক্ষত্র অপেক্ষাকৃত অনুজ্জল না হোত । নক্ষত্রে নক্ষত্রে উজ্জলতার ভেদ যথেষ্ট আছে । এমনও অাছে যে কোনো নক্ষত্র তার সব দীপ্তি হারিয়েছে । প্রকাণ্ড আয়তন ও প্রচণ্ড উত্তাপ নিয়ে যে সব নক্ষত্র তাদের বাল্যদশা শুরু করেছে, তিনকাল যাবার সময় তারা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়ে খরচ করবার মতো আলোর পুজি ফুকে দিয়েছে । শেষ দশায় এই সব দেউলে নক্ষত্র থাকে অখ্যাত হয়ে অন্ধকারে । বেটেলজিয়ুস নামে এক মহাকায় নক্ষত্র আছে, তার লাল আলো দেখলে বোঝা যায় তার বয়স হয়েছে যথেষ্ট । কিন্তু তবু জ্বলজ্বল করছে। অথচ আছে অনেক দূরে, পৃথিবীতে তার আলো পৌছতে লাগে ১৯০ বছর । আসল কথা, আয়তন এর অত্যন্ত প্রকাণ্ড, নিজের দেহের মধ্যে বহুকোটি সূর্যকে জায়গা দিতে পারে । ওদিকে বৃশ্চিক রাশিতে অ্যণ্টারেস নামক নক্ষত্র আছে তার আয়তন বেটেলজিয়ুসের প্রায় তুনো। আবার এমন নক্ষত্র আছে তারা গ্যাসময় বটে কিন্তু যাদের বস্তপদার্থ ওজনে লোহার চেয়ে ভারি । , মহাকায় নক্ষত্রদের কায় যে বড়ো তার কারণ এ নয় যে, তাদের বস্তু-পরিমাণ বেশি, তা’র অত্যন্ত বেশি ফেঁপে উঠেছে মাত্র । আবার এমন অনেক ছোটো নক্ষত্র অাছে তা’রা যে ছোটো তার কারণ তাদের গ্যাসের সম্বল অত্যন্ত ঠাসা ক’রে