পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ყხ- বিশ্ব-পরিচয় একটা কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিয়ে বলা যাক । আমাদের দেহে যে সব অনুভূতি ঘটছে আমাদের কাছে তার খবরচালাচালির ব্যবস্থা করছে অসংখ্য স্পর্শনাড়ী । এই নাড়ীগুলি অামাদের শরীর ব্যাপ্ত ক’রে মিলেছে মস্তিষ্কে গিয়ে । টেলিগ্রাফের তারের মতো তাদের যোগে মস্তিষ্কে খবর আসে, আমরা জানতে পারি কোথায় পিপড়ে কামড়াল, জিবে ষে খাদ্য লাগল সেটা মিষ্টি, যে তুধের বাটি হাতে তুললুম সে গরম । আমাদের শরীরটা হাওড়া থেকে বধ মানের মতে। প্রশস্ত নয়, তাই খবর পেতে দেরি লাগে না । তবু অতি অল্প একটু সময় লাগেই ; সে এতই অল্প যে তা মাপা শক্ত । কিন্তু পণ্ডিতেরা তাও মেপেছেন । তারা পরীক্ষা ক’রে স্থির করেছেন যে মানুষের শরীরের মধ্য দিয়ে দৈহিক ঘটনা অনুভূতিতে পৌছয় সেকেণ্ডে চারশে ফুট বেগে । মনে করা যাক, এমন একটা দৈত্য আছে, পৃথিবী থেকে হাত বাড়ালে যার হাত সূর্যে পৌছতে পারে । দুঃসাহসী দৈত্যের হাত যতই শক্ত হোক, সূর্যের গ৷ ছোবামাত্রই যাবে পুড়ে । কিন্তু পুড়ে যাওয়ার যে ক্ষতি ও যন্ত্রণা নাড়ীযোগে সেটা টের পেতে তার লাগবে প্রায় চল্লিশ বছর । তার আগেই সে মারা যায় তো জানবেই না । সূর্যের ব্যাস ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার মাইল ; ১১০টি পৃথিবী পাশাপাশি এক সরল রেখায় রাখলে সূর্যের এক প্রান্ত থেকে অন্ত প্রান্তে পৌছতে পারে। সূর্যের ওজন পৃথিবীর চেয়ে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার গুণ বেশি, তাই নিজের দিকে সে টান