প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ
কর, তোমাদের সকলকে সমবায়ী শ্রমিক করে মানুষ করব তবে ছাড়ব।
বেলা হয়ে এল, মজলিশ ভেঙে গেল, আমরা যে-যার বাড়ি চলে এলাম।
জমিদার-রাখালের কথা
ইহুদী জমিদার ইব্রাহিম-দাদাকে আমার বেশ মনে ছিল। লম্বা শরীর, চোস্ত চেহারা, ফিটফাট পোশাক, হাসিখুশি মানুষ। ইহুদীদের অবশ্য জমিদারি-স্বত্ব পাওয়ার অধিকার ছিল না, তবে তিনি ছিলেন বড়ো জোতদার, ব্যবসাদারও বটে। প্রদেশের মধ্যে তার গোরুর পাল বিখ্যাত। রাস্তা থেকে একটু ভিতরের দিকে তাঁর সুন্দর সাজানো বাড়ি ফুলবাগান, ফলবাগান সমেত বেশ পরিপাটি।
আমরা যখন গ্রামে ছিলাম, এ পাড়ায় এলে ইব্রাহিম-দাদা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে চা[১] খেয়ে যেতেন, সে সূত্রে আমাদের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বও হয়েছিল। বিপ্লবের পর তাঁর আর খোঁজ রাখতে পারিনি। এখন শুনলাম তিনি সমবায়ভুক্ত হয়ে বাড়িতেই আছেন।
কথাটা একটু আশ্চর্য লাগল কারণ সমবায় হল চাষীদের, জমিদার বা জোতদারদের তাতে কেমন করে স্থান হতে পারে। তবে সম্রাটের আমলে ইহুদীদের উপর অমানুষিক উপদ্রব হয়েছিল বলে বিপ্লবের পর তারা অনেক বিষয়ে আসন পেয়েছে শোনা যায়। শুনলাম ইব্রাহিম নাকি সমবায়ের গোরুর পালের খবরদারি করার ভার পেয়েছেন।
১২০
- ↑ রুশ-গৃহস্থদের বাড়িতে সারাদিন স্যামোভার-এ চা চড়ানো থাকে। কেউ দেখা করতে এলে এক গেলাস গরম চা দুধ চিনি দিয়ে নয়, নেবুর রস দিয়ে তৈরি করে আতিথ্যকরা রীতি।