পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমবায়-নেভার কথা আমাদের গ্রামের চাষার সমবায়ে অনেকে ঢুকতে পিছপাও বটে, কিন্তু সকলেই আমায় বলে— সমবায় দেখবে তো ক-গ্রামেরটা দেখে, ও রকম পেলে আমরা সবাই যোগ দিতাম। ক-গ্রাম বেশি দূর নয়, তাই অবসরমতো একদিন হেঁটে চলে গেলাম। • সে গ্রামে পৌছে প্রথমটা নতুন কিছু চোখে পড়ল না,— চারদিকে সেই অযত্বের লক্ষণ, শুয়োর মুরগিগুলো রাস্তায় উঠনে, বাড়ির ভিতর, যেখানে-সেখানে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। সমবায়ের আস্তানাটা গ্রামের ওঁ-পারে, সেদিকে যেতে তবে নতুন জীবনের নড়াচড়া জানান দিল। ইটকাঠ খড় বোঝাই গাড়ির উপর গাড়ি আনাগোনা করছে—এ দৃশু গ্রামে বড়ো একটা দেখা যায় না। সমবায়ের আপিসঘরের সামনে এসে, না বলে কয়ে ঢুকে পড়লাম। সবে তৈরি বাড়ি, এখনো টাটকা কাঠের সুগন্ধ ছাড়ছে। ঘরের দেয়ালে বিপ্লবীকৰ্তাদের ছবি টাঙানো, একটা তাকে মলাটের উপর কাগজমোড়া বই সাজানো, বড়ো বড়ো দুই জানলা দিয়ে হাওয়া আলো আসছে। আমার দিকে পিঠ করে দুটি যুবা এক লম্বা টেবিলে বলে একমনে হিসেব মেলাচ্ছে। আমি গলার আওয়াজ দিতে তারা আমার দিকে ফিরে, তখনি অভিবাদন করে আমাকে বলতে বললে। এদের মধ্যে একজন সমবায়ের নেতা, বছর ত্রিশেক বয়স হবে, প্রফুল্ল তেজী চেহারা ; অন্তটি তার সহকারী, বাইশ বছরের সুন্দর নীলচোখো ছোকরা। দুজনেই চাষার ছেলে। আমার দেশে আসার সংবাদ এর আগেই পেয়েছিল, বললে আমাকে এনে সব দেখাবার ইচ্ছে ছিল। আমি আপনি এসে পড়ায় আনন্দ প্রকাশ করলে। 'S (t