পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমবায়-নেতার কথা আর এক চালায় শুয়োর রাখার জায়গা,—সচরাচর যেমন জঘন্ত নোংরা দুৰ্গন্ধ হয়, এ তা নয়, বেশ সাফমৃৎরে । দুটি মেয়ে দেখলাম সিদ্ধ আলু থে তলে শুঃোরদের সান্ধ্যভোজনের যোগাড় করছে। এদের হিসেবমতো এ বছরেই ২৫০ শুয়োর হবে। চালাগুলো পার হয়ে এক মনোরম উপবনে প্রবেশ করা গেল । আগে এটা ছিল জমিদারের খাস নন্দনকানন,—ইতর লোকের প্রবেশ নিষেধ। এখন হয়েছে সমবায়ী অসমবায়ী সকল গ্রামবাসীর মেলামেশা আমোদপ্রমোদের আডডা ; এখানেই সভাসমিতি নাটক সিনেমা গান বাজন হয়ে থাকে । এর পর নিয়ে গেল এক ফণকা জায়গায়, সেখানে অনেক বাড়ি তৈরি আরম্ভ হয়েছে, তাতে বসবে কারখানা, ভাণ্ডার, স্কুল, হাসপাতাল ; পরে কুলোলে ক্লাবের জন্যেও একটা বাড়ি হতে পারে । এটা হবে গ্রামের ভাবী কৃষ্টিকেন্দ্র। শেষে এক মাঠ দেখতে গেলাম যাতে ফলবাগান ফাদা হয়েছে। যতদূর চোখ যায়, রকম-বেরকম ফল গাছের চারার সার চলেছে। উৎসাহে উজ্জ্বলমুখ নেতা বললে, “আপনি আর বছর কয়েক পর ঘুরে আসবেন, এমন সব ফল খাওয়াব যা কখনো খাননি। এবার চলুন, একটা মজার জিনিস দেখাই ।” আপিলের কাছে ফিরে এসে, লাইনছাড়া একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে দেখালে মুরগির ডিমে তা দেবার কল । নেতা বললে, “এর ইতিহাসে একটু মজা আছে, শুকুন। এই কল আনার বিষয়ে তো সমবায়-সভা ডাকা গেল, অন্ত দেশের দৃষ্টাস্ত দেখানে হল, কত হাঙ্গাম কয়ে বোঝাবার চেষ্টা করলাম এর সুবিধেটা কী। সমবায়ীদের দল থেকে কত আপত্তি উঠল,— এরকম অস্বাভাবিক ১২৭