প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ
উপায়ে কখনোই কাজ হতে পারে না; জমিদারদের তো অর্থের অভাব ছিল না, তারা এ কল আনায়নি কেন। মার্কিন দেশে আছে তো কী হল, তাদের সবই ছিষ্টিছাড়া। এ দেশে ও কল চলবে না। অনেক বকাবকি অনুনয় বিনয় করে শেষ কল আনাবার অনুমতি পেলাম।
“শহরে কল তো ফরমাশ দেওয়া গেল। যখন এসে পৌঁছল, ওর অন্ধিসন্ধি কেউ ভেদ করতে পারলাম না। কোথায় রে বই—বই আনিয়ে পড়ে যা বুঝলাম সেইমতো কল তো চালানো হল, কিন্তু এমনি কপাল, একশ’র মধ্যে মোটে দুটি তিনটি ডিম ফুটল। তখন হাসি টিটকারির ধুম দেখে কে। ফিরিয়ে দাও কল, বেচে ফেলো কল, বললাম ও কল এখানে চলবে না,—মহা শোরশরারৎ পড়ে গেল।
“আমরাও ছাড়বার ছেলে নই। আবার বোঝাতে বসলাম—দেখো ভাইসকল, কলের তো দোষ নয়, দোষ আমাদের আনাড়িপনার। ওস্তাদ নইলে কি কল চলে, বলো তো ওস্তাদ আনাই। কী ভাগ্যি, কথাটা লেগে গেল, বললে আচ্ছা আনাও, কিন্তু এবার খরচ নষ্ট গেলে আর হাসি নয়, মারধর হবে বলে রাখছি।
“সদরে লিখতে তাঁরা এই ওস্তাদনী পাঠিয়ে দিলেন”—ব’লে, নেতা এক মেয়েকে দেখিয়ে দিলে। “ইনি আসতেই আমি বললাম—দেখো ওস্তাদনী, তোমার উপর বড়ো গুরুভার। এবার ফেল হলে আর রক্ষে নেই। মেয়েটি এক কথায় বুঝে নিলে, কাজও যেমন জানে খাটুনিও খাটল তেমনি—না ওস্তাদনী?” মেয়েটি একটু সলজ্জ হাসি হাসল। “যা হোক, সেবার মানটা রইল, শতকরা ৭০টা ডিম ফুটে বাচ্ছা হল। চাষারা মহা খুশি, এখন বলে আরো কল চাই।
“হায়রান হয়ে তো আপিসে ফেরা গেল। শ্রান্তি দূর করাবার জন্যে
১২৮