প্রবাসী গ্রামবাসী সংবাদ
একপত্তন ছুটি পেল। তখন আমরা বাইরে এসে কাটাগাছের গুঁড়ির উপর গল্প করতে বসলাম।
সম্পাদক তামাশা করে আরম্ভ করলেন— “মোটরগাড়ি চড়বে বীরা?”
সে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে উঠল—“চড়ব বৈ কি। কোথায়, কার মোটর।”
“এই প্রবাসী ভায়ার।”
“কৈ। দেখছিনে তো।”
“না, না, আমি মজা করছিলাম। ইনি হেঁটে এসেছেন।—জান, প্রবাসী ভাই, আমাদের বীরার শখ সাধের অন্ত নেই। বলো না বীরা তোমার সব মনের কথা।”
বীরা। আমার এমন কী বেশি শখ দেখতে পেলেন।
সম্পাদক। তবু তোমার কী কী করতে ইচ্ছে করে বলো না।
বীরা। মোটরগাড়িতে বোঁ বোঁ করে লম্বা পাড়ি দিতে সত্যি বড়ো মজা। আর রাজধানীতে প্রধান বিদ্যালয়ের ডিগ্রীটা নিয়ে আসতে পারলে হত। আর এরোপ্লেনে উড়তে ইচ্ছে করে। আর কলের লাঙল চালাতে। আর আর—একটা ভালো সিনেমার ছবি দেখতে,—এখানে যত পচা ছবি আসে। আচ্ছা, প্রবাসী মশায়, আপনাদের মার্কিন দেশের ছোটো গ্রামেও ভালো ছবি দেখায়?
আমি। তা দেখায় বই কি।
বীরা। একেই তো বলি সুবন্দোবস্ত। আমরা এখনো অতটা এগোতে পারিনি। কিন্তু ক্রমে করে তোলা যাবে। তাহলে আপনাদের বিপ্লব আরম্ভ হলে এখানে বসে তার ছবি দেখব। তার আর দেরি কত বলুন তো।
১৩২