পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিদ্রনারায়ণের মোহভঙ্গ পরে অবত বোঝা গেল, কোনো অবসরে রায়টা চুপি চুপি দিয়ে রাখা হয়েছিল। - লাখ কথা লাগেনি, এক কথার সে রায়—“বিপ্লব !” ছাও কিন্তু অনেক-কাল নথির মধ্যেই চাপা পড়ে রইল। অবশেষে ডিক্রি জারি হল ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে । জারির দিনটা কি বিশ্বমানবের একটা পরবের মধ্যে দাড়াবে। দেখা যাক। জানা যাবে USSR-এর যজ্ঞ আর একটু এগোলে। ডিগ্রির মোট কথা এই—এ রাজা, সে উজীরের দোষ নয়, কুব্যবস্থার দোষেই মানুষ দুরবস্থায় পড়ে। যে জিনিস সকলের, তাকে “আমার” *আমার” বলে টানাটানি, বিনা শ্রমে পরের শ্রমের ফলভোগের চেষ্টা, এতেই পাপ পাপ করা, পাপের প্রতীকার না করা, দুয়েরই পরিণাম মৃত্যু বুদ্ধিবৃত্তি অনুসারে মামুষের দেবার ক্ষমতা কম-বেশি ; কিন্তু শরীর মনকে সুস্থ রাখবার জছে খাওয়াপরার দরকার সকলের পক্ষে সমান। অতএব যার যতদূর ক্ষমতা সকলে উৎপাদন করুক, উৎপন্ন ফল সবাইকে যথাযথ ভাগ করে দেওয়া হোক। এই নিয়ম পালন করলে-পর সমবেত চেষ্টার ফলন কারো পক্ষে অকুলন হবে না। শ্রমিক প্রজা, শ্রমিক রাজা, শ্রমিক ছাড়া আর পক্ষই নেই, এ রকমটা হলে রাজা-প্রজার, ধনী-দরিদ্রের, বিবাদ ভঞ্জন হবে, মুনিয়মের ব্যতিক্রম ঘটার যা মূল কারণ সেই লোভের লোপ হবে। দৈবের উপর নির্ভর করা ছেড়ে দিয়ে নরনারী দেবতাকে নিজের বশে আনতে পারলে তারা নরোত্তম পদ লাভ করবে, তখন অভাব বা অসাধ্য কিছু থাকবে না । এ রায়ের জোরে আশা হয়, লম্বা লম্বা তিন যুগের ভোগ ভুগে, মামুষের ধর্মবুদ্ধির জড়তা এবার হয়তো কাটবে। আর কিছু না হোক,