পঞ্চভূতের বশীকরণ
অবশিষ্ট জায়গায় জায়গায় পাওয়া যায়। এত কষ্টে গড়া জিনিস মানুষে নষ্ট হতে দেয় কেন।
তাতে প্রকৃতির হাত কিছু থাকতে পারে, কিন্তু মানুষের নিজের দুর্বুদ্ধি নির্বুদ্ধিতা আসলে দায়ী।
রাজাদের দিগ্বিজয় কাহিনী বেশ চটকদার করে লেখা হয়, কিন্তু তলিয়ে দেখলে তাদের কার্যকলাপ মোটেই মনোরম নয়। তারা বেরত কোনো সুদূর ধনের লোভে লোভে, মাঝপথে বাধা পেলে হন্যে হয়ে উঠত। যোদ্ধার সাজসজ্জা ছাড়িয়ে ফেললে ভিতরে বেরিয়ে পড়ে নিছক গুণ্ডা, বিপক্ষকে যেমন-তেমন করে কাবু করা বৈ সে কিছুই বোঝে না। সে জানে জলের নহর ভেঙে দিলে মরুবাসী রাজা একেবারে কাবু। তখন তার এলাকার ভিতর দিয়ে লুটপাট করে চলে গেলেও তাকে নিরুপায় হয়ে সইতে হবে; পরে প্রজা বাঁচুক মরুক বিজয়ী বীর তার থোড়াই তোয়াক্কা রাখে। পুরোনো কীর্তিনাশের এই এক কারণ।
আর এক কারণ হচ্ছে কর্মকর্তার নিজের আহাম্মকি। জমির রকম না বুঝে জল হুড়মুড় করে এনে ফেললেই তো কাজ হয় না, আশপাশের চেয়ে জমি যদি নিচু হয় তবে তো মজে হেজে গিয়ে বসবাসের বার হয়ে যায়। তখন তৈরি নহরের মায়া কাটিয়ে স’রে পড়া ছাড়া গতি থাকে না, শেষে মরা নহরের উপর খাঁড়ার ঘা দেবার ভার পড়ে প্রকৃতি-দেবীর উপর।
আচ্ছা, সেকালে না হয় মানুষের সুবুদ্ধির উদয় হয়নি, বিদ্যেও গজায়নি, তাই তাদের প্রাণপণ অধ্যবসায় সত্ত্বেও পৃথিবীর অনেক জমি পতিত হয়েই রইল। কিন্তু তার পরে তো ছটফটে রাজাগুলো
২৮