পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতালের কথা লে মাটির নিচে এ জাতীয় পাথর যেখানে আছে সেদিকে ঝোকে – তার ঝোকার রোখে লাইন টানলে সে লাইন ধাতুর সন্ধান বাৎলে দেবে । দু তিন জায়গা থেকে এ রকম লাইন টানলে তারা যেখানে মিলবে সেখানে পাথরও মিলবে। এ লাইনের উলটো দিকে থাকতে পারে মুন বা চুন বা কয়লার খনি। ভূমিকম্পের মতো শক্রপক্ষের কাছ থেকেও এ বিষয়ে সহায়তা পাওয়া যায়। ভূকম্প মাপার সিসমগ্রাফ ( seismograph ) নামে এক রকম কম্পমান যন্ত্র আছে, সে ভূমির কাপুনির রকম অনুসারে কাগজে আঁকজোক কাটে । তার লিখন যে পড়তে জানে, সে কৈাগজে-আঁকা রেখার খেলা দেখে বুঝতে পারে কোন দিকে কত দূরে কাপুনি শুরু হয়েছিল, কোন পথ দিয়েই বা সেটা ঘুরে ফিরে কম্পমান যন্ত্রে পৌছেছে। মেঘ ডাকার আওয়াজের কথা ভাবলে এ যন্ত্রের ক্রিয়া বোঝার কতক সুবিধে হতে পারে। দুপাশ থেকে দামী-দামিনীর দল যখন বজ্রনিনাদে মাঝের বায়ুস্তর ফুড়ে এসে মেলে, তখন কাছাকাছি শ্রোতার কানে প্রথমে তার কড়াৎ শব্দ বাজে । তার পরে আসতে থাকে তার প্রতিধ্বনি—গুড় গুড় গুড় গুড় গুড়ুম গুড়ুম গুড়ুম গুডুম। প্রথম গুড়গুড়-গুলো হল কাছের মেঘ, মাঝের মেঘ, ক্রমশ দুরের মেঘ থেকে সেই গোড়ার কড়াৎ-টা পর পর ঠিকরে আসার শব্দ। যখন এমন হয় যে দূরের মেঘ থেকে, আর কাছের এ-মেঘ ও-মেঘ সে-মেঘ ঘুরে, দুই আওয়াজ একসঙ্গে কানে পৌছয়, সেবারে হয় গুডুম ; যে-বারে এক সঙ্গে তিন চার দিক থেকে আওয়াজ এসে পড়ে, সেবার হয় জানলাদরজা-কাপানো বড়ো গুড়ুম ; তার পরে সেই গুড়মের আওয়াজ এদিক-ওদিক থেকে ঠিকরে ছোটে। ছোটো গুড় মে অবসান হয়। &సె