পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতালের কথা আগলে রাখেন, এক বিজ্ঞানীর উপরই বা কটাক্ষ করা কেন। এই লাভ বা প্রতিপত্তির মোহে কত ভালো ভালো আবিষ্কার সাধারণের চির-সম্পত্তি হতে পায়নি তার কি ঠিক আছে। বিপ্লবের আগে থেকেই রুশের কস্ক (Kursk ) জেলার লোকের নজরে ঠেকত যে, সেখানকার সব কম্পাসের কাটা নিচের দিকে একটু বুকে থাকে। এর কারণ বার করার জষ্ঠে লীষ্ট (Leist) নামে এক জর্মান পণ্ডিতকে সকলে ধরে পড়ল। সে বিজ্ঞান-পাগল এ কাজে লেগে গেল তো বারো বৎসর টানা খেটেই চলল। তার হাতে ক্রমশ ৪৫০০ দাগের এক জটিল নকশা গড়ে উঠল, যার এক এক দাগ ফেলতে তাকে চৌপর দিন ধুলোয় জঙ্গলে হাটাইটি করতে হয়েছে, কারণ দাগ বেঠিক পড়লে তাতে অকাজ ছাড়া কোনো ফল হবে না । যারা কম্পাস বয় তাদের কোটে লোহার বোতাম বা পকেটে চাবির গোছা, বা কাছাকাছি লোহার যন্ত্রপাতি থাকতে কম্পাসের কাটার লাইনে দাগ কাটলে ভুল হবে। হাড়ভাঙা খাটুনির পর তো নকশা দাড়াল। বাকি রইল পীচ জায়গায় গত করে নকশার লিখন ক্ষেত্রে যাচানো –কিন্তু তার টাকা আসে কোথেকে । খনি বেরলে তো জমিদারদের লাভ। কিন্তু নকশা এত বড়ো জায়গা দেখাচ্ছে, যা অনেক জমিদারের এলাকায় চারিয়ে পড়ে। অথচ মিলেমিশে কাজ করার অভ্যেস জমিদারদের আদবেই নেই, বিজ্ঞানের তার কোনো ধার ধারেন না ; এক মুদ্রা বার করলে সেটা হাল-ফিল ছ মুদ্র হয়ে ফের চাই, এই এক তত্ত্ব তারা নিশ্চয় জানেন। কাজেই অনেক কষ্টে যদি বা পরীক্ষার জন্তে র্তারা চাদার টাকা কবলালেন, তো মেওয়া ফলার সবুর তাদের সইল না, কাজ শেষ হবার ولا وغا -