অণহারের সমস্যা চুক্তিটা সমবায়লম্বন্ধের একটা সুন্দর দৃষ্টাত্ত— কোনো পক্ষের লোকসান নেই—উভয়েরই লাভ । চোরের উপর বাটপাড়ি করে উদ্ভিদ-খেকো জন্তু মেরে খাওয়া বাদ দিলেও দুধ ডিম খাওয়া, রোয়া-পালক পরা, আরো পাচ কাজ আদায়ের কারণে পশুপাখির সঙ্গে মামুষের সম্বন্ধ রাখতে হয়। পাশ্চাত্ত্য দেশে গোরুর পালের চাকচিক্য দেখলে চোখ জুড়োয়, মানুষের যত্নচেষ্টায় তাদের দেহ বংশ দুই বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকে না ; স্বীকার করতে হয়, সেখানে দুধ দিয়ে গোজতি যথেষ্ট প্রতিদান পাচ্ছে। কিন্তু পূজিত গো-মাতার দেশে তার ক্ষীণ থর্ব দেহ, তার বাছুরের হাড়-সার দশা দেখলে দরদীর দুধ খাবার রুচি উড়ে যায়। পুরো খেতে না দিয়ে অতিরিক্ত খাটিয়ে আধমরা করে রাখার যে-অহিংসা, তার চর্চা না করে বরং ওরকম ভবযন্ত্রণা থেকে সংক্ষেপে নিস্কৃতি দেওয়াটা বেশি দয়াধর্মের পরিচয় কিনা, সে প্রশ্ন ওঠে ; কিন্তু এখানে তার বিচার নাইবা করা গেল । তার চেয়ে ঘাসের দিকে চোখ ফেরানো যাক। বুনো অবস্থায় ঘাসের বিচি হবার পরেও বটে আগেও বটে, বনের জন্তুরা খেয়ে মাড়িয়ে তার কর্ম-সারার যোগাড় করে। তা সত্ত্বেও যে-বিচিগুলো পেকে উঠতে পায় তাও কতক পাথুরে জমুিতে পড়ে ওখোয়, কতক জলে পচে, কতক নান বিপাকে মারা পড়ে ; শেষে হাজার-করা দুচারটে যা সুবিধেমতে। জায়গায় আস্ত পৌঁছয়, তারাই ঘাসবংশ বজায় রাখে । এর তুলনায় ঘাসের শস্ত-দাদার আরামের কথা ভাবো। কত খাটুনি দিয়ে তৈরি, কত আগাছা নিড়িয়ে পশুপাখি খেদিয়ে সাবধানে রাখা জমিতে বীজ লাগানো হয়, বঁচিয়ে রাখার জন্তে কত রকমের তদ্বির চলতে থাকে। শেষে খেতের উপর খেত জুড়ে নধর সবুজের বাহার দেখে, சூடி
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬৭
অবয়ব