পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ চাষা তো চাষা, কবির মনেও আনন্দ ধরে না। কে বলবে মামুষে-শস্তে নিন্দের সম্পর্ক । অনেক স্থলে গাছ দিগ্বিজয় করারও সুযোগ পেয়েছে। মানুষ কত হাজার বৎসর ধরে পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কত রকম কারণে এক এক দলকে দেশাস্তরে যেতে হয়েছে—আজ বলে নয়, আদিকাল থেকে ; শুধু কাছাকাছি নয়, এক মহাদেশ থেকে অন্ত মহাদেশে, নানা জাতের মামুষের যাতায়াতের চিহ্ন আছে,— কখনো আবহাওয়ার হেরফেরে, কখনো বা মামুষের প্রধান শক্র মামুষের তাড়া খেয়ে । যারা যখন যেখানে গেছে সঙ্গে নিয়েছে খাবার ফলমূল দানা, তার মধ্যে পথে কিছু পড়ে গিয়ে মাটিতে লেগে গেছে, নতুন বসতি করার পর কিছু ইচ্ছে করেও লাগানো হয়েছে। এ রকম করে গম, ধান, আরো কত কী ফলশস্ত পৃথিবীর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের আম গেছে মার্কিন দেশে, চীনের লিচু এলেছে এখানে, মতমান ( Martaban ) কলা, বাতাবি ( Batavia ), মোসম্বী ( Mozambipue ) নেবু, আজও নিজের নিজের নামে আদিস্থানের পরিচয় দিচ্ছে। তার উপর বীজ বাছাই করে, কলম করে, সার দিয়ে নানান উপায়ে ফলশস্তের জাতের উন্নতি করা হয়েছে । জঙ্গলের টোকো এসো আম, বাগানের ল্যাংড়া বোম্বাইয়ে দাড়িয়েছে। পাহাড়ী বাছুরে নাশপতি, মুগন্ধী রসালে কাশ্মীরী pear হয়ে উঠেছে। আর শস্ত তো সবি রকম-রকম বুনো ঘাস থেকে জাতে তোলা । মামুষের এত দিনের চেষ্টাচরিত্রে তো এই ব্যাপার করে তুলেছে, তবে USER-এর এ বিষয়ে আর নতুন দেখাবার থাকল কী। আছে, ঢের আছে। এত দিন কী ভাবে চলে আসছে জান ! নতুন জায়গায় যে বীজ পৌছল, তার ঝড়তি-পড়তি আপনি লাগল もb列