পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিষ্ক্রয় । , মহেন্দ্র বাবু এই কথা শুনিয়া চন্দ্রকুমারকে সম্বোধন পূর্বক বলিলেন, “বংস ! তুমি স্বপ্রণালীক্রমেই প্রসশ্নের সহিত তর্ক কর । ইব্রার্জি, শিক্ষার পক্ষে এই সকল যাহা বলিতেছ, তাহা সত্য । আমার বোধ হয়, ইহাতে খ্ৰীষ্টধর্মের সহিত কোন সম্পর্ক নাই । বিশেষতঃ এখন ইংরাজি না শিখিলে, চলিবার উপায় নাই। দেখ তোমরা ইংরাজি শিখিয়া কেমন সৌভাগ্যশালী হইয়াছ । কিন্তু সূৰ্য্যকুমার আমাদের শাস্ত্রে এমন পণ্ডিত হইয়াওঁ সামান্য পুরোহিত হইয়া রহিয়াছেন । ইনি অপমাত্র উপার্জন করিয়া থাকেন; তাহাতে চলিয়া উঠে না। সন্তানদিগকে ইংরাজি শিক্ষা না দেওয়া অত্যন্ত অন্যায় কৰ্ম্ম । আমি নিশ্চয় বলিতেছি, ইব্রাজি শিক্ষায় প্রসম্নের পৈতৃক ধৰ্ম্মত্যাগে প্রবৃত্তি হয় নাই। প্রসন্ন যদি দুৰ্বাত্মা রামদয়াল ও এই মিষ্টমুখ পাদরীর নিকট মা আসিত তাহা হইলে পরম হিন্ডু থাকিত।” সূৰ্য্য পিতার এই কথাতে অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া মৃদু স্বরে বলিতে লাগিলেন, “ হা! দুরাকাঙক্ষ নিৰ্বোধ বৃদ্ধ! এই প্রকার টাকার লোভে আমরাই ধৰ্ম্ম নষ্ট করি ; এব• সন্তানেরা খ্ৰীষ্টান হইয়া চিরকালের নিমিত্ত বশ কলঙ্কিত করিলে, আপনাদের দুর্ভাগ্য মনে করিয়া, মনকে প্রবোধ দিয়া থাকি।” এই সকল কথা ধীরুম্বরে বলতে চন্দ্র শুনিতে না পাইয়া পিতা ও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সহিত প্রসন্নকে বাটতে যাইবার নিমিত্ত অনুরোধ করিতে লাগিলেন । চন্দ্র-বলিলেন, “প্রসন্ন ! ঈশ্বর যে এক, তুমি ও আমি ইহা উত্তম ৰূপে অবগত আছি; এবং আন্তরিক উপা