বিশ্বাস-বিজয়। ۹۹ ها “ তুমি কি স্বরুত কোন উপায়ে মুক্তি লাভ করিতে পারিত না ?” “লা, আমি তাহ পারিতাম না । আমাদের আদি পুৰুষের পতন হওয়া পৰ্য্যন্ত মনুষ্যের প্রকৃতি, কার্য্য, মন এবং বাক্যসম্বন্ধে এত মন্দ হইয়াছে, যে তাহাতে বোধ হয়, আমি অন্য কোন উপায়ে স্বভাবসিদ্ধ পাপহইতে মুক্ত হইতে অথবা ঈশ্বরের নিয়ম রক্ষা করিতে পারিতাম না ।” “অনন্তর তুমি যে হিন্দুধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিতেছ, উহাতে কি পাপের প্রায়শ্চিত্ত ও পাপির পরিত্রাণের উপায় কিছুই নাই ?” প্রসন্ন উত্তর করিলেন ; “হিন্দুধৰ্ম্ম মিথ্যা, প্রবঞ্চনা এবঅপবিত্রতায় পরিপূর্ণ। উহাতে কেবল বালকবৎ কতকগুলি বাহ্যিক কার্য্য প্রায়শ্চিত্তৰূপে উল্লিখিত হইয়াছে । সেই সকল কাৰ্য্য কোন প্রকারেই ঈশ্বরের লঙ্ঘিত নিয়মের প্রতিকার করিতে পারে না ।” - “ খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রহণ করিয়া, তুমি কি নিয়মানুসারে জীবন মাপন করিতে বাঞ্ছা কর?” । - প্রশ্নের উত্তরবিষয়ে প্রসন্ন এই প্রথম বার সন্দিগ্ধমনা হইলেন । গত কএক সপ্তাহের শোচনীয় ঘটনা সকল তাহার স্মৃতিপঞ্চে উদিত হইল। কি নিয়মানুসারে স্বকার্য্য নিৰ্বাহ করিয়াছেন, আপনা-আপনি এই প্রশ্ন করিলেন, কিন্তু কিছুই উত্তর করিতে পারলেন না। তাছার যে ৰূপ ঘটিয়াছিল, ধৰ্ম্মপুস্তকে উল্লিখিত কোন ব্যক্তির প্রক্তি ৰুে ৰূপ ঘটে নাই, গুড় যদিও ঘটিয়া থাকে,
