পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > 8 বিশ্বাস-বিজয় । এই কথা শুনিয়া, আচার্য্যপত্নী হাসিতে ২ বলিলেন, “প্রশসাটা কিছু অস্পষ্ট বোধ,হয়। ভাল, এই অভূত বিষয়ে আপনার মত বিশেষ করিয়া ব্যক্ত কৰুন!” প্রসন্ন কহিলেন, “আপনাকে যথার্থ বলিতে কি, আমি উহার কিছুই স্থির করিতে পারি নাই। আমাদের স্ত্রীলোকদিগের সৌন্দর্য্য, মাধুর্য্য ও বুদ্ধিও আছে, কিন্তু উদ্যানকুসুমে ও বনপুষ্পে যাদৃশ প্রভেদ, ইব্রাজ ও বাঙ্গালি স্ত্রীলোকেও তাদৃশ প্রভেদ দেখিতেছি ।” 我 আচাৰ্য্যপত্নী বলিলেন, “বাবু সুশিক্ষার অভাব ঈদৃশ প্রভেদের প্রধান কারণ। ধৰ্ম্মপ্ররক্তি ও বুদ্ধিরত্তির চালনাতেই ইংরাজ স্ত্রীদিগের এমত অবস্থা হইয়াছে। র্তাহাদের মনোরক্তি সকল যত বিশুদ্ধ ও পরিস্কৃত হইতেছে, মনও ততই বিশুদ্ধ ও উন্নত হইতেছে । ভাল, আপনাদের স্ত্রীলোকেরা বাল্যাবস্থায় কি করেন ? মনের উন্নতিসাধক ও প্রক্লত জ্ঞানোৎপাদক কি ২ শিক্ষা তাহারা বাল্যকালে প্রাপ্ত হন ?” • প্রসন্ন কহিলেন, “হায়! আমাদের সেন্ধপ কিছুই নাই! আমাদের বালিকারা একেবারে ধৰ্ম্ম বিহীন । চতুৰ্দ্দশ বৎসর বয়স হইলে তাহাদের কর্ণে মন্ত্র দেওয়া হয় । এপর্য্যন্ত র্তাহারা কোন উপাসনাই জানেন না। এই সময়ের মধ্যে র্তাহাদের একটী সামান্য ধৰ্ম্মকার্য্য আছে । তাহাতে ভাল হওয়া দূরে থাকুক, বর° মন্দই হুইয়া থাকে।” আচাৰ্য্যপত্নী জিজ্ঞাসা করিলেন, “ সেই ধৰ্ম্মকাৰ্য্য কি ?” i. প্রসন্ন বলিলেন, “সে পাগলামি মাত্র, আপনার