পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিজয় । R » » উtহার পত্নী ইংরাজ ছিলেন, সুতরা তাহারা প্রসন্নের প্রতি সম্পূর্ণৰূপে সমবেদন প্রকাশ করিতে পাৱিতেন না । দেশীয় খ্ৰীষ্টানেরাই তাহার পরম বন্ধু হইয়া উঠিলেন ; দিন ২ তাহীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি হইতে লাগিল । প্রসন্ন ব্রাহ্মণু হওয়াতে, নূতন ধৰ্ম্মে জাতিভেদ নাই বলিয়া বিরক্ত হইয়াছিলেন, এমন অনুভব হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু তাহার সেৰাপ হয় নাই । তিনি একেবারে জাতিভেদ না থাকাই ন্যায়ানুগত ও যুক্তিসিদ্ধ বোধ করিতেন । ইতিপূৰ্বে নীচজাতিরা তাহার প্রসাদ খাওয়া গৌরব, র্তাহার আশীৰ্বাদ অপরিসীম অনুগ্রহ, ও কেহ ২ তাহার পাদোদক পান মহৌষধি বোধ করিত। এখন সেই সকল রহিত হইল । সকলেই তাহার প্রতি মনুষ্যের ন্যায় ব্যবহার করিতে লাগিল, স্বভাব, ব্যবহার ও বিদ্যা ভদ্রলোকের মত হওয়াতে, তিনি মনুষ্যের ন্যায় সম্মানিত হইলেন, ব্রাহ্মণ বলিয়া, তাহাকে আর কেহই সন্মান করিত না । তিনি আপনার সহোদর সূর্য্যের ন্যায় শিক্ষিত হইলে, জনসমাজে নীচ শূদ্রদিগের অপেক্ষ অধঃপতিত হইতেন। খ্ৰীষ্টানদের মধ্যে আহারের ভেদাভেদ নাই ; যিনি যাহা ইচ্ছা তনি তাহাই ভোজন করিতেন। যাহাতে যাহার ইচ্ছা হুইত না তিনি তাহাঁ ভক্ষণ করিতেন না। এই ধৰ্ম্মে যেমন কোন আহারের নিষেধ নাই সেই ৰূপ কোন দ্রব্য অবশ্যই আহার করিতে কুইবে বলিয়া বিধিও নাই । হিন্দুর এই বিষয়ে কত অলীক অনুমান করিয়া থাকেন। ঈশ্বর সকুল মনুষ্যকেই সমভাবে নিরীক্ষণ করেন । 2 в 2