পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$, S. বিশ্বাস-বিজয়। হইবে এই ভাবিয়া, আমি দুই বারই তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিয়াছিলাম। যাহা হউক, উহা যে সম্পন্ন হইয়াছে, মঙ্গলের বিষয় বলিতে হইবে। তুমি যে তাহাকে দিয়াছ আমি তাহাতে সস্তুষ্ট হইয়াছি । কারণ দেবতাদের ক্রোধ অতি ভয়ানক ব্যাপার।” এই কথা বলিতে ২ তাহার নয়নযুগলহইতে অনবরত অশ্রু বর্ষণ হইতে লাগিল। তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, “ কিন্তু ও মহেন্দ্রের মা! তোমার এই ধীর ও প্রফুল্ল মুখ দেখিয়া আমি তোমাকে অধিক ভাল বাসিতে পারি মা ! তোমার এই ভাব এত অস্বাভাবিক ও এত উদাসীন, যে তোমাকে দেখিতে আমার ভয় হয়। ও স্ত্রীলোক! তুমি কেমন করিয়া এৰূপ রহিয়াছ, বল ।” এক্ষণে র্তাহার নিস্তব্ধ ভাব ভঙ্গ হইবার সময় উপস্থিত হইল। এক্ষণে র্তাহার গোপনীয় বিষয় অবশ্যই প্রকাশ করিতে হইবে। তিনি পতির পদতলে নিপতিত হইয়াবলিলেন, “ সে নষ্ট হইলে কি আমি তোমাকে সেই বিবরণ বলিতে জীবিত থাকিতে পারিতাম ? না ২, আমাদের বাছা মরে নাই । সে বাচিয়া আছে । আমি তাহাকে ফিরাইয়া আনিয়াছি। সে স্থির হইয়া দোলাতে ঘুমাইতেছে।” ইহা শুনিয়া পিতা কঁাপিতে ২ বলিলেন, “ কেমন কথা ! অভিসম্পাত ! তোমার কি অভিসম্পাতের ভয় নাই ? নিশ্চয়ই অভিসম্পাত বর্তিবে। ওস্ত্রীলোক তুমি কি করিয়াছ ” “তুমি আমাকে দূষিবার পূর্বে ক্ষণকাল বিলম্ব কর।” ব্রাহ্মণী পতিকে এই অনুরোধ করিলেন, এবং কি প্রকারে সলিলসমাধিহইতে প্রিয়তম পুঞ্জের জীবন রক্ষা করিয়াছিলেন, তৎসংক্রান্ত সমুদায় বৃত্তান্ত বর্ণণ করিলেন, কেবল