পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিস্তু য়। &哈 পাদরির সহিত যে কথাবার্ত হইয়াছিল, তাহা বলিলেন না । পিতা একতান মনে ও হর্ষবিকসিত নেত্রে তৎসমুদায় শ্রবণ করিলেন, এব” কথা সমাপ্ত হইলে, “ হাঁ ২ সিপাহিরা যাহা বলিয়াছে, তাহা সত্য, গঙ্গাদেবী আমাদের . কোন অনিষ্ট করিবেন না,” এই কথা বলিতে ২ তাড়াতাড়ি পাশ্ববৰ্ত্তি কুঠরীতে শিশুটীকে আলিঙ্গন করিতে গেলেন। ইঙ্গলণ্ডীয় শাসনকৰ্ত্তাদের সুশাসনদ্বারা বহুকালাবধি কোন পরিবারের বিবরণে পূৰ্বোল্লিখিত শোচনীয় ঘটনা ব্যক্ত করিতে হয় না । এক্ষণে হিন্দু মাতার ঈশ্বরদত্ত সন্তানের পরিবর্তে গঙ্গাসাগরে পুষ্প ও নারিকেল প্রভৃতি ফল নিক্ষেপ করিবার সময় তাহাদিগকে আশীৰ্বাদ করিয়া থাকেন, এই সমুদায় ভাবিয়া ইংরাজ শাসনকৰ্ত্তারা আনন্দিত হউন । • মধ্যাহ্ন কালীন উপাসনা ও আহ্লিক সমাপন না করিয়া, প্রগাঢ় হিন্দুরা কখনই আহার করেন না। পিতা পুঞ্জের আহার হইলে, বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ মহেন্দ্রকে গঙ্গাসাগরহইতে কি ২ দ্রব্য আনিয়াছে, জিজ্ঞাসা করিলেন । মহেন্দ্র এই কথা শুনিয়া অমনি মাতার নিকটে দৌড়িয়া গেল। মাতা যদিও ক্লান্ত ও শ্রান্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু পতির আহার সমাপন না হইলে আহার করিতে বসেন নাই। তিনি আহ্বার করিতে বসিতেছেন, এমন সময়ে মহেন্দ্র গিয়া বলিল, “ মা ! আমরা গঙ্গাসাগরহইতে যে সকল সামগ্ৰী আনিয়াছি, সেই সমুদায় আমাকে দেও, বাবা দেখিবেন ।” মাতা নূতন ধৰ্ম্মনিয়মের কথা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। তিনি মহেন্দ্রকে আপনার